সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার শিশু একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছে। স্পর্শকাতর ও দুঃখজনক হলেও ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের ঠাকুরগাঁওয়ে।
জানা যায়, গতকাল বুধবার (১১ জুন) গভীর রাতে অন্তঃসত্ত্বা ওই শিক্ষার্থীর পেটে ব্যথা উঠলে তাকে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার গর্ভে থাকা পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই নবজাতকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিশুটির বাবা থানায় মামলা দায়ের করলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর তাদের জামিন দিয়েছেন আদালত।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, ঘটনায় দুই আসামির জামিন ও এজাহারভুক্ত মূল আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা হতাশ।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাদেরকে কৌশলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ধর্ষকরা।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, চলতি বছরের ১১ মার্চ ঠাকুরগাঁওয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা দুজনেই ঢাকায় থাকেন। অবুঝ শিশুটিকে লালনপালন করতেন তার বৃদ্ধা দাদি।
গত ১১ মার্চ শিশুটি নিজবাড়ির রান্নাঘরের পাশে ছাই ফেলতে গেলে একই গ্রামের শাহিনুর রহমান ওরফে বিশু (৪৩) তাকে টেনেহিঁচড়ে নিজের ঘরে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় চিৎকার অথবা এ ঘটনা কাউকে জানালে ট্রেনের নিচে ফেলে দিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি।
শিশুটির দাদি কৃষি শ্রমিকের কাজ করায় দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন, বাড়িতে ফিরেন সন্ধ্যায়। এই সুযোগে শিশুটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বিশু। একইভাবে গত ২১ মার্চ আমছার আলী (৬৩) ও ৩০ মার্চ আনছারুল হক (৪৫) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
সম্প্রতি শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন দেখতে পান তার দাদি। পরে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করালে শিশুটির অন্তঃসত্ত্বার কথা জানান চিকিৎসক। এরপর ওই শিশুকে চাপ প্রয়োগ করলে সে ধর্ষণের বিষয়ে পরিবারকে জানায়। গত ২৭ মে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ভূল্লী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আমছার আলী ও আনছারুল হককে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে আদালত তাদের জামিন দেন।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা জানান, যারা ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও আদালত তাদের জামিন দেন। মামলার প্রধান আসামি শাহিনুর রহমান ওরফে বিশু এখনো ধরাছোয়ার বাইরে। আমরা গরীব হওয়ায় পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবি জানাই।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মা ও প্রসূতি বিভাগের এক সিনিয়র নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘১২ বছরের এক শিশু প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে এলেও ওয়ার্ডে আসার আগেই তার পেটে থাকা বাচ্চা প্রসব হয়। পরে তাকে ওয়ার্ডে নিয়ে আসলে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুটি মারা গেছে।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। মামলার অপর আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’
জানা যায়, গতকাল বুধবার (১১ জুন) গভীর রাতে অন্তঃসত্ত্বা ওই শিক্ষার্থীর পেটে ব্যথা উঠলে তাকে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার গর্ভে থাকা পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই নবজাতকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিশুটির বাবা থানায় মামলা দায়ের করলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর তাদের জামিন দিয়েছেন আদালত।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, ঘটনায় দুই আসামির জামিন ও এজাহারভুক্ত মূল আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা হতাশ।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাদেরকে কৌশলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ধর্ষকরা।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, চলতি বছরের ১১ মার্চ ঠাকুরগাঁওয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা দুজনেই ঢাকায় থাকেন। অবুঝ শিশুটিকে লালনপালন করতেন তার বৃদ্ধা দাদি।
গত ১১ মার্চ শিশুটি নিজবাড়ির রান্নাঘরের পাশে ছাই ফেলতে গেলে একই গ্রামের শাহিনুর রহমান ওরফে বিশু (৪৩) তাকে টেনেহিঁচড়ে নিজের ঘরে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় চিৎকার অথবা এ ঘটনা কাউকে জানালে ট্রেনের নিচে ফেলে দিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি।
শিশুটির দাদি কৃষি শ্রমিকের কাজ করায় দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন, বাড়িতে ফিরেন সন্ধ্যায়। এই সুযোগে শিশুটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বিশু। একইভাবে গত ২১ মার্চ আমছার আলী (৬৩) ও ৩০ মার্চ আনছারুল হক (৪৫) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
সম্প্রতি শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন দেখতে পান তার দাদি। পরে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করালে শিশুটির অন্তঃসত্ত্বার কথা জানান চিকিৎসক। এরপর ওই শিশুকে চাপ প্রয়োগ করলে সে ধর্ষণের বিষয়ে পরিবারকে জানায়। গত ২৭ মে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ভূল্লী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আমছার আলী ও আনছারুল হককে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে আদালত তাদের জামিন দেন।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা জানান, যারা ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও আদালত তাদের জামিন দেন। মামলার প্রধান আসামি শাহিনুর রহমান ওরফে বিশু এখনো ধরাছোয়ার বাইরে। আমরা গরীব হওয়ায় পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবি জানাই।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মা ও প্রসূতি বিভাগের এক সিনিয়র নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘১২ বছরের এক শিশু প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে এলেও ওয়ার্ডে আসার আগেই তার পেটে থাকা বাচ্চা প্রসব হয়। পরে তাকে ওয়ার্ডে নিয়ে আসলে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুটি মারা গেছে।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। মামলার অপর আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’
অনলাইন ডেস্ক