ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ চলছে। তাতে বিধ্বস্ত ইজ়রায়েলের অন্যতম বৃহৎ শহর তেল আভিভ। শুক্রবার রাতে সেখানে অন্তত পাঁচ বার জায়গা বদলাতে হয়েছে খোদ মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে। বাসস্থান থেকে বার বার আশ্রয়ে (শেল্টার) যেতে হয়েছে। নাগরিকদের সকলকেই কোনও না কোনও আশ্রয়ের কাছাকাছি থাকতে বলেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। যাতে যে কোনও মুহূর্তে সেখানে ঢুকে প্রাণরক্ষা করা যায়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিজে জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত একটি রাত কাটাতে হয়েছে তাঁকে। ঘুম যে হয়নি, বলাই বাহুল্য! ইরানে শুক্রবার বড়সড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। তার পর থেকেই পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ইরানে এই হামলার কথা জানতেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলাকে তিনি সমর্থনও করেছেন। জানা গিয়েছে, ইরানে ইজ়রায়েলের এই হামলার ঠিক আগে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন নেতানিয়াহু। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প তখনই জানিয়ে দেন, ইজ়রায়েল হামলা চালালে আমেরিকা বাধা দেবে না।
ইজ়রায়েলের হামলার পর রাতভর তেল আভিভে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে ইরান। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি সমাজমাধ্যমের পোস্টে সেই রাতের বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন, ‘‘ইজ়রায়েলে এই রাতটা খুব কঠিন ছিল। পাঁচ বার আমাকে শেল্টারে ছুটে যেতে হয়েছে। এখন এখানে শাব্বাত চলছে। চারদিক শান্ত থাকার কথা। কিন্তু থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। গোটা দেশকে শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে বৃহস্পতিবার ফোনে কথা হয়েছিল। ট্রাম্পকে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আপনি ইরানকে পরমাণু চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য যে ৬০ দিনের সময় দিয়েছিলেন, আজ তার শেষ দিন। ইজ়রায়েল আর অপেক্ষা করতে পারবে না। আমাদের আত্মরক্ষা করতে হবে।’’ জবাবে নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ইরানে ইজ়রায়েল হামলা চালালে আমেরিকা তাতে কোনও বাধা দেবে না।’’ তবে ট্রাম্প এ-ও জানিয়ে দেন, ইজ়রায়েলকে কোনও হামলায় সাহায্যও করবে না মার্কিন বাহিনী।
ইজ়রায়েলের হামলার পর ট্রাম্প স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি এই পদক্ষেপের কথা আগে থেকে জানতেন। ইরানকে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘কী চলছে, আমি জানি। ইজ়রায়েলের খুব সফল একটা অভিযান। আমি ইরানকে বলেছিলাম, চুক্তি করার জন্য তোমাদের কাছে ৬০ দিন সময় আছে। ৬১তম দিনে ওরা হামলা চালিয়েছে। আজই সেই ৬১তম দিন। আগেই ওদের চুক্তিতে রাজি হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এখনও ওরা চুক্তি করতে পারে। ইরান কোনও পরমাণু অস্ত্র হাতে পাবে না। কারণ, সেটা হলে তা হবে বিশ্বের জন্য ভয়ঙ্কর।’’ ইজ়রায়েলের হামলায় ইরানের চার শীর্ষ সেনাকর্তা এবং ছ’জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে। পাল্টা ইরানও হামলা চালিয়েছে। হামলা এবং পাল্টা হামলায় পশ্চিম এশিয়ার পারদ চড়ছে।
ইজ়রায়েলের হামলার পর রাতভর তেল আভিভে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে ইরান। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি সমাজমাধ্যমের পোস্টে সেই রাতের বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন, ‘‘ইজ়রায়েলে এই রাতটা খুব কঠিন ছিল। পাঁচ বার আমাকে শেল্টারে ছুটে যেতে হয়েছে। এখন এখানে শাব্বাত চলছে। চারদিক শান্ত থাকার কথা। কিন্তু থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। গোটা দেশকে শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে বৃহস্পতিবার ফোনে কথা হয়েছিল। ট্রাম্পকে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আপনি ইরানকে পরমাণু চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য যে ৬০ দিনের সময় দিয়েছিলেন, আজ তার শেষ দিন। ইজ়রায়েল আর অপেক্ষা করতে পারবে না। আমাদের আত্মরক্ষা করতে হবে।’’ জবাবে নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ইরানে ইজ়রায়েল হামলা চালালে আমেরিকা তাতে কোনও বাধা দেবে না।’’ তবে ট্রাম্প এ-ও জানিয়ে দেন, ইজ়রায়েলকে কোনও হামলায় সাহায্যও করবে না মার্কিন বাহিনী।
ইজ়রায়েলের হামলার পর ট্রাম্প স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি এই পদক্ষেপের কথা আগে থেকে জানতেন। ইরানকে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘কী চলছে, আমি জানি। ইজ়রায়েলের খুব সফল একটা অভিযান। আমি ইরানকে বলেছিলাম, চুক্তি করার জন্য তোমাদের কাছে ৬০ দিন সময় আছে। ৬১তম দিনে ওরা হামলা চালিয়েছে। আজই সেই ৬১তম দিন। আগেই ওদের চুক্তিতে রাজি হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এখনও ওরা চুক্তি করতে পারে। ইরান কোনও পরমাণু অস্ত্র হাতে পাবে না। কারণ, সেটা হলে তা হবে বিশ্বের জন্য ভয়ঙ্কর।’’ ইজ়রায়েলের হামলায় ইরানের চার শীর্ষ সেনাকর্তা এবং ছ’জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে। পাল্টা ইরানও হামলা চালিয়েছে। হামলা এবং পাল্টা হামলায় পশ্চিম এশিয়ার পারদ চড়ছে।