রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চারঘাট আলহাজ্ব এম এ হাদী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবু তাহের ও শিক্ষক-কর্মচারীদের অশ্লীল গালাগাল ও হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা ও তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হবার উপক্রম তৈরি হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৬ জুন সকালে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে কলেজে প্রবেশ করেন মুরাদ পাশা। এরপর সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের অফিস কক্ষে ডেকে নেন। এরপর কলেজের ব্যাংক একাউন্ট থেকে কার অনুমতিতে টাকা তোলা হয়েছে জানতে চানতে। এসময় তিনি অধ্যক্ষের সাথে খারাপ আচরণ করেন। কর্মচারীদেরও বিভিন্ন ভাবে অপদস্ত করেন। এক পর্যায়ে তিনি সবাইকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে বলেন নয়তো এর শেষ দেখে থামবেন বলে জানান।
চারঘাট আলহাজ্ব এম এ হাদী কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ আগষ্ট সরকার পতনের পর প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কলেজের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আহবায়ক কমিটি গঠনের কথা বলা হলে কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা দুজনের নামই বোর্ডে পাঠান। কিছুদিন পর মুরাদ পাশা তাকে আহবায়ক করে কমিটির অনুমোদন নিয়ে আসেন।
মাস খানেক পর জাকিরুল ইসলাম বিকুলকে কলেজের আহবায়ক করে চিঠি দেয় শিক্ষাবোর্ড। এরপর থেকে তিনিই আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর মধ্যে গত ২২ মে আহবায়ক কমিটির তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় কেন্দ্র ফিসহ কলেজের বিভিন্ন খরচের বিল প্রদান করতে আহবায়ক কমিটির মিটিং এ কলেজের একাউন্ট সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিছু খরচের টাকা উত্তোলন করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, আমরা কলেজে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে পারছিনা। কলেজের বহিরাগতরা এসে নানা রকম চাপ প্রয়োগ করছে। কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিছু টাকা উত্তোলন করার সাথে সাথেই কিছু মানুষ এসে জনসম্মুখে সবাইকে লাঞ্চিত করছে। শিক্ষক হিসাবে এত অপমান কিভাবে সহ্য করবো আমরা।
চারঘাট আলহাজ্ব এম এ হাদী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কলেজ চলছে। আমরা তো যাকে খুশি তাকে আহবায়ক বানাতে পারিনা। নিয়ম অনুযায়ী জাকিরুল ইসলাম বিকুল এখন আহবায়ক তাকে নিয়েই আমরা কাজ করছি। মুরাদ সাহেব ফোন করে বলছেন আপনার বাবার টাকা তুলেছেন ব্যাংক থেকে? বাবার টাকা কেন তুলবো, কলেজের টাকা তুলে কলেজের পেছনেই খরচ করা হচ্ছে। তারপরও নানা ভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছি আমি নিজে এবং আমার স্টাফরা।
এ বিষয়ে জানতে মুরাদ পাশাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, কলেজের বিষয়টি নিয়ে দু পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
জানা যায়, গত ১৬ জুন সকালে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে কলেজে প্রবেশ করেন মুরাদ পাশা। এরপর সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের অফিস কক্ষে ডেকে নেন। এরপর কলেজের ব্যাংক একাউন্ট থেকে কার অনুমতিতে টাকা তোলা হয়েছে জানতে চানতে। এসময় তিনি অধ্যক্ষের সাথে খারাপ আচরণ করেন। কর্মচারীদেরও বিভিন্ন ভাবে অপদস্ত করেন। এক পর্যায়ে তিনি সবাইকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে বলেন নয়তো এর শেষ দেখে থামবেন বলে জানান।
চারঘাট আলহাজ্ব এম এ হাদী কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ আগষ্ট সরকার পতনের পর প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কলেজের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আহবায়ক কমিটি গঠনের কথা বলা হলে কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা দুজনের নামই বোর্ডে পাঠান। কিছুদিন পর মুরাদ পাশা তাকে আহবায়ক করে কমিটির অনুমোদন নিয়ে আসেন।
মাস খানেক পর জাকিরুল ইসলাম বিকুলকে কলেজের আহবায়ক করে চিঠি দেয় শিক্ষাবোর্ড। এরপর থেকে তিনিই আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর মধ্যে গত ২২ মে আহবায়ক কমিটির তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় কেন্দ্র ফিসহ কলেজের বিভিন্ন খরচের বিল প্রদান করতে আহবায়ক কমিটির মিটিং এ কলেজের একাউন্ট সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিছু খরচের টাকা উত্তোলন করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, আমরা কলেজে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে পারছিনা। কলেজের বহিরাগতরা এসে নানা রকম চাপ প্রয়োগ করছে। কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিছু টাকা উত্তোলন করার সাথে সাথেই কিছু মানুষ এসে জনসম্মুখে সবাইকে লাঞ্চিত করছে। শিক্ষক হিসাবে এত অপমান কিভাবে সহ্য করবো আমরা।
চারঘাট আলহাজ্ব এম এ হাদী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কলেজ চলছে। আমরা তো যাকে খুশি তাকে আহবায়ক বানাতে পারিনা। নিয়ম অনুযায়ী জাকিরুল ইসলাম বিকুল এখন আহবায়ক তাকে নিয়েই আমরা কাজ করছি। মুরাদ সাহেব ফোন করে বলছেন আপনার বাবার টাকা তুলেছেন ব্যাংক থেকে? বাবার টাকা কেন তুলবো, কলেজের টাকা তুলে কলেজের পেছনেই খরচ করা হচ্ছে। তারপরও নানা ভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছি আমি নিজে এবং আমার স্টাফরা।
এ বিষয়ে জানতে মুরাদ পাশাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, কলেজের বিষয়টি নিয়ে দু পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
আরিফুল হক (রুবেল),