রাজশাহীর তানোরের সরনজাই ইউনিয়নের (ইউপি) কাচারিপাড়া গ্রামে প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত অবৈধভাবে পুকুর পুনঃখনন ও মাটি বাণিজ্যে করে সরকারি পাকা রাস্তা নস্ট করা হচ্ছে।
পুকুর খননের বিক্রি করা মাটি পরিবহণ করায় রাস্তায় মাটি পড়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তা কাঁদায় পরিণত হয়েছে। কোনো ধরনের যানবহন চলা তো দূরে থাক পাঁয়ে হেটে চলাচল করাও দুরুহ হয়ে উঠেছে।
এদিকে, রাস্তায় পড়া কাঁদা মাটি কোদাল দিয়ে পরিস্কার করতে গিয়ে রাস্তার খোয়া পাথর উঠে যাচ্ছে। এতে গ্রামবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।কিন্ত্ত রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভবশালী পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। গত কয়েকদিনের ভারী ও মাঝারি বৃষ্টি পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। পুকুর মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসি। স্থানীয়রা জানান, পুকুর মালিক সার- কীটনাশক ব্যবসায়ী মুকুলসহ পুকুরের অংশিদারদের খাম খেয়ালীতে পুরো গ্রামের জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি পাকা রাস্তা নস্টের জন্য পুকুর মালিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন গ্রামবাসি।
গতকার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, সরনজাই বাজারে যাওয়ার আগেই মুল রাস্তার দক্ষিণে কাঁচারিপাড়া। গ্রামের মাঝে পাকা রাস্তা ঘেষে পুকুর। পুকুরের দক্ষিণ দিকে গাছ কাটা আছে এবং ভেকু মেশিন বন্ধ অবস্থায় ছিল। মাটি বহনকারী দুটি ট্যাক্টর রাস্তায় দাঁড় করানো আছে। ট্যাক্টরে করে পুকুরের কাঁদা মাটি বহন করার সময় রাস্তায় ব্যাপক হারে মাটি পড়ে রয়েছে।
একজন শ্রমিক সেই কাঁদা মাটি কোদাল দিয়ে পরিস্কার করছে। কোদাল দিয়ে পরিস্কার করার কারনে রাস্তার খোয়া পাথর উঠে যাচ্ছে। এ সময় শুরু হয় ভারি বৃষ্টি। কয়েকজন ব্যক্তি জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে খালি পায়ে হেটে যাচ্ছে। সেখানে গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এখন বর্ষা মৌসুম। এসময় পুকুর খনন করে মাটি বহন করা সঠিক কাজ না। রাস্তার যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে চলাচল করায় কষ্টকর ব্যাপার। এখানেই শেষ না মাটি বহনের কারনে রাস্তার বিভিন্ন স্থান দেবে গেছে। গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে ট্যাক্টর চালিয়ে সটকে পড়ে চালকরা।
এসময় বেশকিছু ব্যক্তিরা বলেন, মুকুল একজন কীটনাশক ও সার ব্যবসায়ী। তারা গ্রামের প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। এজন্য কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে তারা দেদারসে কাঁদা মাটি বহন করে পাকা রাস্তা চরম ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এসব কাঁদা মাটি কোনভাবেই রাস্তা থেকে সরানো যাবে না। বৃষ্টি হওয়ার কারনে পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে পুরো রাস্তা।
এসময় মোটরসাইকেল চালক জানান, সকালে দেখলাম রাস্তায় কোন মাটি ছিল না। কিন্তু দুপুরের দিকে আর মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। আলুর জমিতে চলছে পুরোদমে ধান কাটা মাড়াই। রাস্তায় কাঁদা মাটি পড়ে থাকার কারনে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি জানান, ঘটনাস্থল দেখে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। এবিষয়ে জানতে পুকুর মালিক মুকুলের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি রং নম্বর বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খানের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে স্থানীয় ভুমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত সালমান জানান, দ্রুত লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুকুর খননের বিক্রি করা মাটি পরিবহণ করায় রাস্তায় মাটি পড়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তা কাঁদায় পরিণত হয়েছে। কোনো ধরনের যানবহন চলা তো দূরে থাক পাঁয়ে হেটে চলাচল করাও দুরুহ হয়ে উঠেছে।
এদিকে, রাস্তায় পড়া কাঁদা মাটি কোদাল দিয়ে পরিস্কার করতে গিয়ে রাস্তার খোয়া পাথর উঠে যাচ্ছে। এতে গ্রামবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।কিন্ত্ত রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভবশালী পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। গত কয়েকদিনের ভারী ও মাঝারি বৃষ্টি পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। পুকুর মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসি। স্থানীয়রা জানান, পুকুর মালিক সার- কীটনাশক ব্যবসায়ী মুকুলসহ পুকুরের অংশিদারদের খাম খেয়ালীতে পুরো গ্রামের জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি পাকা রাস্তা নস্টের জন্য পুকুর মালিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন গ্রামবাসি।
গতকার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, সরনজাই বাজারে যাওয়ার আগেই মুল রাস্তার দক্ষিণে কাঁচারিপাড়া। গ্রামের মাঝে পাকা রাস্তা ঘেষে পুকুর। পুকুরের দক্ষিণ দিকে গাছ কাটা আছে এবং ভেকু মেশিন বন্ধ অবস্থায় ছিল। মাটি বহনকারী দুটি ট্যাক্টর রাস্তায় দাঁড় করানো আছে। ট্যাক্টরে করে পুকুরের কাঁদা মাটি বহন করার সময় রাস্তায় ব্যাপক হারে মাটি পড়ে রয়েছে।
একজন শ্রমিক সেই কাঁদা মাটি কোদাল দিয়ে পরিস্কার করছে। কোদাল দিয়ে পরিস্কার করার কারনে রাস্তার খোয়া পাথর উঠে যাচ্ছে। এ সময় শুরু হয় ভারি বৃষ্টি। কয়েকজন ব্যক্তি জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে খালি পায়ে হেটে যাচ্ছে। সেখানে গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এখন বর্ষা মৌসুম। এসময় পুকুর খনন করে মাটি বহন করা সঠিক কাজ না। রাস্তার যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে চলাচল করায় কষ্টকর ব্যাপার। এখানেই শেষ না মাটি বহনের কারনে রাস্তার বিভিন্ন স্থান দেবে গেছে। গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে ট্যাক্টর চালিয়ে সটকে পড়ে চালকরা।
এসময় বেশকিছু ব্যক্তিরা বলেন, মুকুল একজন কীটনাশক ও সার ব্যবসায়ী। তারা গ্রামের প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। এজন্য কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে তারা দেদারসে কাঁদা মাটি বহন করে পাকা রাস্তা চরম ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এসব কাঁদা মাটি কোনভাবেই রাস্তা থেকে সরানো যাবে না। বৃষ্টি হওয়ার কারনে পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে পুরো রাস্তা।
এসময় মোটরসাইকেল চালক জানান, সকালে দেখলাম রাস্তায় কোন মাটি ছিল না। কিন্তু দুপুরের দিকে আর মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। আলুর জমিতে চলছে পুরোদমে ধান কাটা মাড়াই। রাস্তায় কাঁদা মাটি পড়ে থাকার কারনে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি জানান, ঘটনাস্থল দেখে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। এবিষয়ে জানতে পুকুর মালিক মুকুলের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি রং নম্বর বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খানের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে স্থানীয় ভুমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত সালমান জানান, দ্রুত লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।