রংপুরের মিঠাপুকুরে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জনতার রোষানলে পড়েন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। তাকে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
রোববার (১১ মে) সকালে উপজেলার বালুয়া মাছিমপুর ইউনিয়নে নিজ বাড়ির পাশ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফজলু মিয়া (৪৫) নামের একজনতে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত ফজলু কৌশলে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় চিৎকার দেওয়ায় শিশুটিকে হত্যা করা হয়। পরে বাড়ির পাশে বালুর স্তূপে মরদেহ চাপা দিয়ে রাখেন।
এরইমধ্যে শিশুটিকে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন বাড়ির লোকজন। এসময় প্রতিবেশী এক নারী বালুর নিচে হাত দেখতে পান। পরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ফজলুকে আটক করে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং গাছপালা কেটে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ফজলুকে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে অভিযুক্ত ফজলুর বাড়িতে আগুন ও গাছ কাটা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়েন ওসি আবু বকর সিদ্দিক। বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ধাওয়া করে একটি বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর পুলিশ সুপার, ইউএনও, সেনাবাহিনী, সিআইডিসহ বিভিন্ন দপ্তরের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, ভুক্তভোগী শিশুটি দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। অভিযুক্ত ফজলু বাড়িতে একা থাকেন। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। স্ত্রীও সঙ্গে থাকেন না। ফজলুর বিরুদ্ধে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।