নড়াইলের লোহাগড়ায় এক গ্রাম্য সালিসে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে স্বামীকে জুতাপেটা করা হয়েছে। সালিসে জমি ও বাড়ি বিক্রি করে গ্রাম ছেড়ে অন্য জেলায় চলে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে স্বামী-স্ত্রীকে। গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের বাতাসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শহীদ খা নামের স্থানী এক আওয়ামী লীগ নেতা ওই সালিসে নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, নোয়াখালী জেলার ট্রাকচালক নাজিমুদ্দিন প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ে করেন লোহাগড়ার শালনগর ইউনিয়নের বাতাসী গ্রামের আম্বিয়াকে। জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করেন স্ত্রীসহ একটি পুত্র সন্তানকে নিয়ে। গ্রামের কিছু লোকের অভিযোগ নিজামউদ্দিনের স্ত্রী তাকে ফাঁকি দিয়ে দুই রাত অন্য পুরুষের সঙ্গে ছিলেন। অথচ নিজামউদ্দিন গ্রামবাসীদের বিষয়টি না জানিয়ে ওই স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছে।
এই তথ্য না জানানোর অভিযোগে নিজামউদ্দিনের বিচার করতে সালিস বসান আওয়ামী লীগ নেতা মো. শহীদ খা। এ ব্যাপারে শহীদ খা বলেন, আমরা প্রায় আড়াইশ গ্রামবাসী সালিস করেছি। সালিসের রায়ে নিজামউদ্দিনকে ৫/৬টি জুতার বাড়ি দিয়েছি। আরো বলেছি বৌ নিয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে।
ওই আওয়ামী নেতা আরো বলেন, নিজামের বৌ আম্বিয়ার চরিত্র ভালো না। একটি বিয়েসহ ৪/৫জন পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করেছে। গ্রামের অন্য এক যুবকের নামে অপবাদ দিয়েছে। তাই তাকে গ্রাম ছাড়তে বলেছি।
ভুক্তভোগী নিজামউদ্দিন ও আম্বিয়া বলেন, আমরা মুখ খুললে সমস্যা।
ভাই আমরা বিপদে আছি। কোন কথা বললেই সমস্যা।
আম্বিয়া বলেন, আমি ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। অথচ অপবাদ দিচ্ছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি জানিও না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
শহীদ খা নামের স্থানী এক আওয়ামী লীগ নেতা ওই সালিসে নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, নোয়াখালী জেলার ট্রাকচালক নাজিমুদ্দিন প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ে করেন লোহাগড়ার শালনগর ইউনিয়নের বাতাসী গ্রামের আম্বিয়াকে। জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করেন স্ত্রীসহ একটি পুত্র সন্তানকে নিয়ে। গ্রামের কিছু লোকের অভিযোগ নিজামউদ্দিনের স্ত্রী তাকে ফাঁকি দিয়ে দুই রাত অন্য পুরুষের সঙ্গে ছিলেন। অথচ নিজামউদ্দিন গ্রামবাসীদের বিষয়টি না জানিয়ে ওই স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছে।
এই তথ্য না জানানোর অভিযোগে নিজামউদ্দিনের বিচার করতে সালিস বসান আওয়ামী লীগ নেতা মো. শহীদ খা। এ ব্যাপারে শহীদ খা বলেন, আমরা প্রায় আড়াইশ গ্রামবাসী সালিস করেছি। সালিসের রায়ে নিজামউদ্দিনকে ৫/৬টি জুতার বাড়ি দিয়েছি। আরো বলেছি বৌ নিয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে।
ওই আওয়ামী নেতা আরো বলেন, নিজামের বৌ আম্বিয়ার চরিত্র ভালো না। একটি বিয়েসহ ৪/৫জন পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করেছে। গ্রামের অন্য এক যুবকের নামে অপবাদ দিয়েছে। তাই তাকে গ্রাম ছাড়তে বলেছি।
ভুক্তভোগী নিজামউদ্দিন ও আম্বিয়া বলেন, আমরা মুখ খুললে সমস্যা।
ভাই আমরা বিপদে আছি। কোন কথা বললেই সমস্যা।
আম্বিয়া বলেন, আমি ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। অথচ অপবাদ দিচ্ছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি জানিও না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।