মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জের ধরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদারে মধ্যে সংঘর্ষ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন টেঁটাবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের বালুচর বাজারে মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালুচর বাজারে মোল্লাকান্দি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে শাহীন ব্যাপারীর একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজটির ছয় মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। সোমবার বেলা একটার দিকে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বকেয়া বিলের তাগাদা দিতে যান। ওই কর্মকর্তার সঙ্গে খাসমহল গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে সুলতান সরদারও গ্যারেজে যান। সে সময় ওই কর্মকর্তার সঙ্গে শাহীন ব্যাপারীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। সুলতান সরদার বিদ্যুৎ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে শাহীন ব্যাপারীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান। সে সময় সুলতান সরদারকে শাহীন মারধর করেন বলে অভিযোগ।
সুলতান সরদার বিষয়টি তার গ্রামের (খাসমহল) লোকজনকে জানান। ওই গ্রামের লোকজন টেঁটা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মোল্লাকান্দি গ্রামে আসেন। মোল্লাকান্দির লোকজনও বিষয়টি জানতে পেরে টেঁটা, লাঠি, ইটপাটকেল নিয়ে জড়ো হন। সে সময় দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন টেঁটাবিদ্ধ হন। ইটের আঘাত ও লাঠিপেটায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে বালুচর বাজারের সাত-আটটি দোকান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও সিরাজদিখান থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষ পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত ব্যক্তিদের গোপনে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠনো হয়। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খাসমহল এলাকার বাসিন্দা ও বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিল চাওয়াকে কেন্দ্র করে খাসমহল গ্রামের একজনকে মারধর করেন মোল্লাকান্দি গ্রামের লোকজন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মোল্লাকান্দির লোকজন তাঁদের লোকজনের ওপর হামলা করেন। এতে খাসমহল গ্রামের সাত-আটজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। দুজন গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় আছেন।
মোল্লাকান্দি গ্রামের পক্ষের আমির হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ঝগড়ার কথা শুনেছিলাম। পরে আমরা এসেছিলাম ঝগড়াঝাঁটি মীমাংসা করতে। সে সময় খাসমহল গ্রামের কয়েক শ মানুষ আমাদের ওপর টেঁটা, লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমিসহ আমাদের অন্তত ১৫ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। আমাদের যাঁরা টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন, তাঁরা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন।’
সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের বালুচর বাজারে মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালুচর বাজারে মোল্লাকান্দি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে শাহীন ব্যাপারীর একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজটির ছয় মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। সোমবার বেলা একটার দিকে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বকেয়া বিলের তাগাদা দিতে যান। ওই কর্মকর্তার সঙ্গে খাসমহল গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে সুলতান সরদারও গ্যারেজে যান। সে সময় ওই কর্মকর্তার সঙ্গে শাহীন ব্যাপারীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। সুলতান সরদার বিদ্যুৎ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে শাহীন ব্যাপারীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান। সে সময় সুলতান সরদারকে শাহীন মারধর করেন বলে অভিযোগ।
সুলতান সরদার বিষয়টি তার গ্রামের (খাসমহল) লোকজনকে জানান। ওই গ্রামের লোকজন টেঁটা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মোল্লাকান্দি গ্রামে আসেন। মোল্লাকান্দির লোকজনও বিষয়টি জানতে পেরে টেঁটা, লাঠি, ইটপাটকেল নিয়ে জড়ো হন। সে সময় দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন টেঁটাবিদ্ধ হন। ইটের আঘাত ও লাঠিপেটায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে বালুচর বাজারের সাত-আটটি দোকান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও সিরাজদিখান থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষ পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত ব্যক্তিদের গোপনে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠনো হয়। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খাসমহল এলাকার বাসিন্দা ও বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিল চাওয়াকে কেন্দ্র করে খাসমহল গ্রামের একজনকে মারধর করেন মোল্লাকান্দি গ্রামের লোকজন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মোল্লাকান্দির লোকজন তাঁদের লোকজনের ওপর হামলা করেন। এতে খাসমহল গ্রামের সাত-আটজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। দুজন গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় আছেন।
মোল্লাকান্দি গ্রামের পক্ষের আমির হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ঝগড়ার কথা শুনেছিলাম। পরে আমরা এসেছিলাম ঝগড়াঝাঁটি মীমাংসা করতে। সে সময় খাসমহল গ্রামের কয়েক শ মানুষ আমাদের ওপর টেঁটা, লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমিসহ আমাদের অন্তত ১৫ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। আমাদের যাঁরা টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন, তাঁরা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন।’
সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক