নাটোরের লালপুর-গোপালপুর সড়কের শিমুলতলা পুলিশ চেকপোস্ট এলাকায় মামুন নামের এক ফল ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ওই ফল ব্যবসায়ী ওয়ালিয়া গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, ছিনতাইয়ের ঘটনার সময় থানার এসআই ইউসুফ সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা পুলিশ চেকপোস্টের ঘরে রান্না করতে ব্যস্ত ছিলেন। এজন্য পুলিশ সদস্যরা সড়কে পাহারায় ছিলনা। এসময় পুলিশ সেজে সিভিল অবস্থায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটনায় দুর্বত্তরা। ফল ব্যবসায়ী মামুন তার চাচা হালিমকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে লালপুর বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিলেন।
লালপুর-গোপালপুর সড়কের শিমুলতলা পুলিশ চেকপোস্টের নিকট ৩টি মোটরসাইকেলে থাকা ৪ জন মানুষ ওই ফল ব্যবসায়ীর পথ রোধ করে বলে যে তোদের নিকট ইয়াবা ট্যাবলেট আছে। এই কথা বলে ফল ব্যবসায়ীর দেহ তল্লাশি করে। এসময় ফল ব্যবসায়ীর চাচাকে চড়থাপ্পড় মারতে থাকে সিভিলে থাকা মানুষ গুলো। পরে তাদের নিকট থাকা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়। ঘটনার সময় পুলিশ চেকপোস্ট এলাকার এস,আই ইউসুফ সহ পুলিশ সদস্যরা রান্না করতে ব্যন্ত ছিলেন। ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ফল ব্যবসায়ী মামুন বলেন,লালপুর বাজারে ফল ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। শিমুলতলা পুলিশ চেকপোস্ট এর নিকট ৩ টি মোটরসাইকেল যোগে ৪ জন মানুষ এসে আমাদের পথ রোধ করে এবং বলে যে তোদের নিকট ইয়াবা ট্যাবলেট আছে। এই কথা শুনে আমরা ভয় পেয়ে যায়। আমরা মনে করি সিভিলে পুলিশ চেকপোস্টে ডিউটি করছেন।
তিনি আরো বলেন. আমার নিকট থাকা ১লাখ ৬০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এদিকে সচেতন মহল বলেন,পুলিশ চেকপোস্ট এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে লালপুর থানার এসআই ইউসুফ হোসেন বলেন, ওসি স্যারের সাথে কথা বললে জানতে পারবেন। লালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মমিনুজ্জামান বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি। তবে কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। তিনি আরো বলেন,পুলিশের উপস্থিতিতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটার কোন সুযোগ নেই।