ঘুম মানুষের ক্লান্তি-অবসাদ দূর করে। শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘুমের অবদান অসামান্য। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ ও নেয়ামত। মহৎ ইবাদতও বটে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমাদের নিদ্রাকে করেছি— ক্লান্তি দূরকারী।’ (সুরা নাবা, আয়াত : ০৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়লা বলেছেন, আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন আবরণস্বরূপ, বিশ্রামের জন্য তোমাদের দিয়েছেন নিদ্ৰা এবং ছড়িয়ে পড়ার জন্য করেছেন দিন। (সূরা ফুরকান, আয়াত : ৪৭)
কোরআনে রাতকে ঘুমের সময় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে হাদিসে দিনের বেলা সামান্য সময় বিশ্রামের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় যাকে ‘কাইলুলা’ বলা হয়।
আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন, যাতে তোমরা তাতে (রাতে) বিশ্রাম গ্রহণ করো ও (দিনে) তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। ’ (সূরা কাসাস, আয়াত : ৭৩)
ঘুমের জন্য উপযুক্ত সময় হলো রাত। দিনেও ঘুমানো যায়। কিছু সময় সময় না ঘুমাতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। হাদিসে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়েছে এমন কিছু সময় হলো—
ফজরের পর ঘুমানো
ফজরের পর ঘুমানোর ব্যাপারে হাদিসে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকেও সকালে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে ঘুমানো নাজায়েজ নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতের জন্য সকালের সময়ে বরকতের দোয়া করেছেন—
اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا
হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে সকালবেলা বরকত দান করবেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৩৬, ২২৩৭, ২২৩৮)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের জন্য সকাল বেলার সময়টাতে বরকত দেয়া হয়েছে। সুতরাং কেউ যদি সকালের সময়টিতে ঘুমিয়ে থাকে তবে কিভাবে বরকত আসবে। এ কারণেই দিনের শুরুতে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে কাজ শুরু করার মাধ্যমে বরকত ও কল্যাণ করা জরুরি।
আসরের পর
আসরের নামাজের পর ঘুমানো মাকরুহ। এই সময় ঘুমালে নিজের ব্রেনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা যে ব্যক্তি আসরের পর ঘুমায় আর তার বুদ্ধি কমে যায়, তবে সে যেন নিজেকে তিরস্কার করে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, বর্ণনা: ৪৮৯৭, আল ফিক্বহুল ইসলামী ১/৪৭০)
মাগরিবের পর ও ইশার আগে
মাগরিবের পর ও ইশার আগে ঘুমানো হারাম বা নিষেধ নয়। তবে সাধারণত এই সময় ঘুমালে ইশার জামাতে সমস্যা হতে পারে। তাই অনুত্তম। তবে কারো যদি একান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে ঘুমাতে পারেন।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং নামাজের পর অহেতুক গল্প-গুজব করা খুব অপছন্দ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫১৪)
                           অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়লা বলেছেন, আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন আবরণস্বরূপ, বিশ্রামের জন্য তোমাদের দিয়েছেন নিদ্ৰা এবং ছড়িয়ে পড়ার জন্য করেছেন দিন। (সূরা ফুরকান, আয়াত : ৪৭)
কোরআনে রাতকে ঘুমের সময় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে হাদিসে দিনের বেলা সামান্য সময় বিশ্রামের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় যাকে ‘কাইলুলা’ বলা হয়।
আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন, যাতে তোমরা তাতে (রাতে) বিশ্রাম গ্রহণ করো ও (দিনে) তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। ’ (সূরা কাসাস, আয়াত : ৭৩)
ঘুমের জন্য উপযুক্ত সময় হলো রাত। দিনেও ঘুমানো যায়। কিছু সময় সময় না ঘুমাতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। হাদিসে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়েছে এমন কিছু সময় হলো—
ফজরের পর ঘুমানো
ফজরের পর ঘুমানোর ব্যাপারে হাদিসে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকেও সকালে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে ঘুমানো নাজায়েজ নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতের জন্য সকালের সময়ে বরকতের দোয়া করেছেন—
اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا
হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে সকালবেলা বরকত দান করবেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৩৬, ২২৩৭, ২২৩৮)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের জন্য সকাল বেলার সময়টাতে বরকত দেয়া হয়েছে। সুতরাং কেউ যদি সকালের সময়টিতে ঘুমিয়ে থাকে তবে কিভাবে বরকত আসবে। এ কারণেই দিনের শুরুতে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে কাজ শুরু করার মাধ্যমে বরকত ও কল্যাণ করা জরুরি।
আসরের পর
আসরের নামাজের পর ঘুমানো মাকরুহ। এই সময় ঘুমালে নিজের ব্রেনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা যে ব্যক্তি আসরের পর ঘুমায় আর তার বুদ্ধি কমে যায়, তবে সে যেন নিজেকে তিরস্কার করে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, বর্ণনা: ৪৮৯৭, আল ফিক্বহুল ইসলামী ১/৪৭০)
মাগরিবের পর ও ইশার আগে
মাগরিবের পর ও ইশার আগে ঘুমানো হারাম বা নিষেধ নয়। তবে সাধারণত এই সময় ঘুমালে ইশার জামাতে সমস্যা হতে পারে। তাই অনুত্তম। তবে কারো যদি একান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে ঘুমাতে পারেন।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং নামাজের পর অহেতুক গল্প-গুজব করা খুব অপছন্দ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫১৪)
 
  ধর্ম ডেস্ক
 ধর্ম ডেস্ক  
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                     
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                