তেষ্টার মুখে জল যেমন আরামদায়ক, তেমনই শসাও। রসালো এই ফলের তৃষ্ণা নিবারণ করার এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখার ক্ষমতা মোটামুটি সকলেই জানেন। নানা সময়ে তার প্রমাণও পেয়েছেন। শসার ওই সমস্ত গুণের জন্যই তাকে শুধু গরমের খাবার হিসাবে নয়, রূপচর্চা এবং ত্বকের পরিচর্যার অঙ্গ হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। আবার, শসা হজমেও সাহায্য করে বলে মানেন অনেকে। যে কারণে ভারী খাবার খাওয়ার পরে দই আর শসা দিয়ে রায়তা খাওয়ার চল আছে এ দেশে। কিন্তু শসা সংক্রান্ত এই সবক’টি ধারণা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছে ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো!
ভিডিয়োটিতে এক ফিটনেস প্রশিক্ষককে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘দিনের যেকোনও সময়ে যখন তখন শসা খাওয়া যায় না। শসা খেতে হবে সকালে বিটনুন দিয়ে। তা ছাড়া রাতে খাবারের সঙ্গে বা দই দিয়ে শসা খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল।’’ এই বক্তব্য প্রশ্ন তুলেছে শসা খাওয়ার এত দিনের অভ্যাস নিয়ে। কারণ শসা সকাল ছাড়া অন্য সময়েই খাওয়ার প্রচলন বেশি এ দেশে। কেউ বিকেলের ঝালমুড়িতে শসা খান তো কেউ শসা খান রাতের খাবারের সঙ্গে স্যালাডে। দই দিয়ে শসাকুচি মেখে রায়তা বানিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে তো খাওয়া হয়ই। তবে কি দিনের পর দিন ধরে চলে আসা সেই ধারণা ভুল? পুষ্টিবিদ শ্রেয়া চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘পুরনো ধারণা যেমন পুরোপুরি ভুল নয়। তেমন পুরোপুরি ঠিকও নয়! এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে শসা খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে তাঁদের, যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে।’’
শসা খাওয়ার নিয়ম
১। কোন সময়ে?
পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, শসা সকালে খেলে প্রাতরাশের সঙ্গে খেলে তেমন ক্ষতি নেই। তবে শসা খাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হল দুপুরের খাওয়ার পরে। শ্রেয়া বলছেন, ‘‘শশায় রয়েছে কিউকারবিটাসিন নামের একটি উপাদান। যেটি পাকস্থলীতে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে, আইবিএস বা পেটফাঁপার মতো সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের রাতে শসা না খাওয়াই ভাল।’’
২। কী ভাবে?
শসা হালকা বিটনুন দিয়ে খাওয়ায় কোনও সমস্যা নেই। তবে শসা নুন ছাড়াও খাওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন আরও এক পুষ্টিবিদ দীপলক্ষ্মী। তিনি বলছেন, যদি বেলার দিকে বা দুপুরে খাওয়ার পরে শসা খাওয়া হয় তবে সামান্য বিটনুন ছড়িয়ে খাওয়া যেতেই পারে। বিটনুন যেহেতু হজমে সহায়ক, তাই যাঁদের পেটফাঁপার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সুবিধা হতে পারে। কিন্তু বিটনুন ছাড়াও শসা খেলে সকালে খেলে ক্ষতি হবে না কোনও। সে ক্ষেত্রে শরীরে বাড়তি সোডিয়ামের বোঝা চাপানো নিষ্প্রয়োজন। স্বাদের জন্য নিলে অল্প পরিমাণে বিটনুন ছড়াতে পারেন।
তবে দই দিয়ে শসা বা রায়তা খাওয়ার ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদ শ্রেয়া বলছেন, ‘‘আইবিএস বা গ্যাস-অম্বল অথবা পেটফাঁপার সমস্যা থাকলে রায়তা খুব বেশি না খাওয়াই ভাল। অতিরিক্ত দই আর শসা খেলে তাঁদের সমস্যা হতে পারে। তবে বাকিদের জন্য দই আর শসা এক সঙ্গে খেলে সমস্যা নেই কোনও।’’
ভিডিয়োটিতে এক ফিটনেস প্রশিক্ষককে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘দিনের যেকোনও সময়ে যখন তখন শসা খাওয়া যায় না। শসা খেতে হবে সকালে বিটনুন দিয়ে। তা ছাড়া রাতে খাবারের সঙ্গে বা দই দিয়ে শসা খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল।’’ এই বক্তব্য প্রশ্ন তুলেছে শসা খাওয়ার এত দিনের অভ্যাস নিয়ে। কারণ শসা সকাল ছাড়া অন্য সময়েই খাওয়ার প্রচলন বেশি এ দেশে। কেউ বিকেলের ঝালমুড়িতে শসা খান তো কেউ শসা খান রাতের খাবারের সঙ্গে স্যালাডে। দই দিয়ে শসাকুচি মেখে রায়তা বানিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে তো খাওয়া হয়ই। তবে কি দিনের পর দিন ধরে চলে আসা সেই ধারণা ভুল? পুষ্টিবিদ শ্রেয়া চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘পুরনো ধারণা যেমন পুরোপুরি ভুল নয়। তেমন পুরোপুরি ঠিকও নয়! এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে শসা খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে তাঁদের, যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে।’’
শসা খাওয়ার নিয়ম
১। কোন সময়ে?
পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, শসা সকালে খেলে প্রাতরাশের সঙ্গে খেলে তেমন ক্ষতি নেই। তবে শসা খাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হল দুপুরের খাওয়ার পরে। শ্রেয়া বলছেন, ‘‘শশায় রয়েছে কিউকারবিটাসিন নামের একটি উপাদান। যেটি পাকস্থলীতে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে, আইবিএস বা পেটফাঁপার মতো সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের রাতে শসা না খাওয়াই ভাল।’’
২। কী ভাবে?
শসা হালকা বিটনুন দিয়ে খাওয়ায় কোনও সমস্যা নেই। তবে শসা নুন ছাড়াও খাওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন আরও এক পুষ্টিবিদ দীপলক্ষ্মী। তিনি বলছেন, যদি বেলার দিকে বা দুপুরে খাওয়ার পরে শসা খাওয়া হয় তবে সামান্য বিটনুন ছড়িয়ে খাওয়া যেতেই পারে। বিটনুন যেহেতু হজমে সহায়ক, তাই যাঁদের পেটফাঁপার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সুবিধা হতে পারে। কিন্তু বিটনুন ছাড়াও শসা খেলে সকালে খেলে ক্ষতি হবে না কোনও। সে ক্ষেত্রে শরীরে বাড়তি সোডিয়ামের বোঝা চাপানো নিষ্প্রয়োজন। স্বাদের জন্য নিলে অল্প পরিমাণে বিটনুন ছড়াতে পারেন।
তবে দই দিয়ে শসা বা রায়তা খাওয়ার ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদ শ্রেয়া বলছেন, ‘‘আইবিএস বা গ্যাস-অম্বল অথবা পেটফাঁপার সমস্যা থাকলে রায়তা খুব বেশি না খাওয়াই ভাল। অতিরিক্ত দই আর শসা খেলে তাঁদের সমস্যা হতে পারে। তবে বাকিদের জন্য দই আর শসা এক সঙ্গে খেলে সমস্যা নেই কোনও।’’