মানুষের মতের অমিল, শত মতপার্থক্য স্বাভাবিক বিষয়। হাতের পাঁচটি আঙুল যেমন এক সমান নয়। তেমনি মানুষের মন-মানসিকতাও কখনো এক রকম হয় না। হবেও বলে মনে হয় না। এ সম্ভব নয় কখনোই।
এভাবেই মতভিন্নতা ও মতভেদ তৈরি হয়। মতের এই ভিন্নতাই হলো বৈচিত্র্য। তাই এ কথা মনে রাখা জরুরি যে, মতের অমিল হওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। অতি সাধারণ বিষয়। তাই বলে বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসীকে গালমন্দ করা। তার বিরুদ্ধে কটু কথা বলা। তাকে অবজ্ঞা করা। মোটেও এমন আচরণ করা উচিত নয়।
এমনকি এসব মন্দ আচরণ, কথাবার্তা ও ইশারা ইঙ্গিত করে; কাউকে খোঁচা দিয়ে কথা বলা এসব অত্যন্ত নিকৃষ্ট কাজ এবং শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ। কারও থেকে কখনও এ জাতীয় আচরণ কাম্য নয়। এজন্য কাউকে গালি দেওয়া, খোঁচা দিয়ে কথা বলা, হেয় করে তুচ্ছ মনে করে কথা বলতে ইসলাম নিষেধ করেছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে। কেননা, হতে পারে যাকে উপহাস করা হচ্ছে, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম। আর কোনো নারীও যেন অপর কোনো নারীকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হচ্ছে, সে উপহাসকারিনী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করবে না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডাকবে না৷ আল্লাহর ওপর ঈমান আনার পর কাউকে মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। যারা এ ধরনের আচরণ হতে নিবৃত্ত না হয় তারাই জালিম। (সুরা হুজুরাত ১১)
এ আয়াতের শিক্ষা হলো, আমরা কাউকে গালাগাল করব না। হেয় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করব না। ছোট করে অপমান করে কথা বলব না। মন্দ নামে কাউকে কটাক্ষ করে ডাকব না। হতে পারে, যার সঙ্গে এমন খারাপ আচরণ করা হচ্ছে, সে ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় এবং পছন্দের। আর যারা এমন মন্দ আচরণ করে, কোরআনের ভাষায় তারা হলো জালিম।
আর আল্লাহ তায়ালা কখনো কোনো জালিমকে পছন্দ করেন না। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণনা, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসেকি (জঘন্য পাপ) এবং হত্যা করা বা তার সঙ্গে লড়াই করা কুফরি। (সহিহ বুখারি)
এ ছাড়া হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, প্রকৃত মুসলমান ঐ ব্যক্তি, যার হাত ও মুখের আচরণ থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে। এজন্য আমাদের হাত দ্বারা এমন আচরণ করা উচিত হবে না। যাতে করে কোনো মুসলমান কষ্ট পায়। এমনিভাবে মুখে কাউকে এমন কিছু বলা যাবে না। যা মানুষের কষ্টের কারণ হতে পারে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মানুষকে কষ্ট দেয় এ জাতীয় সকল আচরণ করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।
লেখক: খতিব, ভবানীপুর মাইজপাড়া হক্কানি জামে মসজিদ, গাজীপুর
এভাবেই মতভিন্নতা ও মতভেদ তৈরি হয়। মতের এই ভিন্নতাই হলো বৈচিত্র্য। তাই এ কথা মনে রাখা জরুরি যে, মতের অমিল হওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। অতি সাধারণ বিষয়। তাই বলে বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসীকে গালমন্দ করা। তার বিরুদ্ধে কটু কথা বলা। তাকে অবজ্ঞা করা। মোটেও এমন আচরণ করা উচিত নয়।
এমনকি এসব মন্দ আচরণ, কথাবার্তা ও ইশারা ইঙ্গিত করে; কাউকে খোঁচা দিয়ে কথা বলা এসব অত্যন্ত নিকৃষ্ট কাজ এবং শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ। কারও থেকে কখনও এ জাতীয় আচরণ কাম্য নয়। এজন্য কাউকে গালি দেওয়া, খোঁচা দিয়ে কথা বলা, হেয় করে তুচ্ছ মনে করে কথা বলতে ইসলাম নিষেধ করেছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে। কেননা, হতে পারে যাকে উপহাস করা হচ্ছে, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম। আর কোনো নারীও যেন অপর কোনো নারীকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হচ্ছে, সে উপহাসকারিনী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করবে না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডাকবে না৷ আল্লাহর ওপর ঈমান আনার পর কাউকে মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। যারা এ ধরনের আচরণ হতে নিবৃত্ত না হয় তারাই জালিম। (সুরা হুজুরাত ১১)
এ আয়াতের শিক্ষা হলো, আমরা কাউকে গালাগাল করব না। হেয় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করব না। ছোট করে অপমান করে কথা বলব না। মন্দ নামে কাউকে কটাক্ষ করে ডাকব না। হতে পারে, যার সঙ্গে এমন খারাপ আচরণ করা হচ্ছে, সে ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় এবং পছন্দের। আর যারা এমন মন্দ আচরণ করে, কোরআনের ভাষায় তারা হলো জালিম।
আর আল্লাহ তায়ালা কখনো কোনো জালিমকে পছন্দ করেন না। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণনা, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসেকি (জঘন্য পাপ) এবং হত্যা করা বা তার সঙ্গে লড়াই করা কুফরি। (সহিহ বুখারি)
এ ছাড়া হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, প্রকৃত মুসলমান ঐ ব্যক্তি, যার হাত ও মুখের আচরণ থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে। এজন্য আমাদের হাত দ্বারা এমন আচরণ করা উচিত হবে না। যাতে করে কোনো মুসলমান কষ্ট পায়। এমনিভাবে মুখে কাউকে এমন কিছু বলা যাবে না। যা মানুষের কষ্টের কারণ হতে পারে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মানুষকে কষ্ট দেয় এ জাতীয় সকল আচরণ করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।
লেখক: খতিব, ভবানীপুর মাইজপাড়া হক্কানি জামে মসজিদ, গাজীপুর