মশা কামড়ে ফুলিয়ে দিয়েছে শিশুর হাত, কপাল। অভিভাবেকরা কলার খোসা সেই স্থানে ঘষে দিচ্ছেন। দাবি, ঘরোয়া এই টোটকার জেরেই কমবে লাল হয়ে যাওয়া ফোলা ভাব। স্বস্তি পাবে সন্তান।
কলার খোসা কি সত্যিই মশার কামড় থেকে স্বস্তি দিতে পারে? সমাজমাধ্যমে এই বিষয় নিয়ে খোঁজখুজি করলে মিলবে বিস্তর রিল, ভিডিয়ো। কিন্তু সত্যি কি এই কৌশল কাজে আসে?
আমেরিকার শিশুরোগ চিকিৎসক মোনা আমিন সমাজমাধ্যমে নানা রোগ এবং সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দেন। তাঁর অনুসরণকারীও যথেষ্ট। সমাজমাধ্যমে এই টোটকার কথা চাউর হতে তিনিও তাঁর মত জানিয়েছেন। মোনা বলছেন, ‘‘কলার খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড্স এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। গবষেণায় দেখা গিয়েছে প্রদাহ কমাতে তা সাহায্য করে। সুতরাং এই যুক্তি দিয়ে দেখলে, এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান, চুলকানোর ফলে যে জ্বালা হয় বা যে অংশটি ফুলে যায়, তা সাময়িক ভাবে কমাতে পারে। তবে এর কিন্তু কোনও পরীক্ষিত প্রমাণ নেই। তবে ঘোরায়া টোটকা হিসাবে এটি নিরাপদ।’’ একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করছেন, চুলকানোর ফলে নখের আঁচড় লাগলে বা কোনও কারণে ক্ষত হলে সেখানে কলার খোসার টোটকা প্রয়োগ না করাই উচিত। কলায় অ্যালার্জি থাকলে তা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। মোনার কথায়, কলার খোসা কোনও ম্যাজিক দেখাতে পারে না। তবে প্রাকৃতিক গুণ আছে এতে।
কলার খোসার গুণাগুণ নিয়ে মোনার সঙ্গে একমত মুম্বইয়ের এক হাসপাতালের চিকিৎসক সোনালি কোহলি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘‘মশার কামড়ে ত্বক ফুলে গেলে কলার খোসা ঘষে দিলে আরাম মিলবে। কলার খোসা বেটে গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল মিশিয়ে সেই স্থানে লাগালেও কাজ হবে। ১০-১৫ মিনিট রাখলেই চুলকানি এবং প্রদাহ কমবে।’’
তবে দুই চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়ে সহমত নন কলকাতার ত্বকের অসুখের চিকিৎসক অভীক শীল। তাঁর বক্তব্য, মশার কামড়ে শিশুদের ত্বক একটু ফুলে গেলেও এমনিতেই তা সেরে যায়। কোনও কিছুই লাগানোর দরকার হয় না। তবে যদি মনে হয় বেশি চুলকাচ্ছে বা জ্বালা দিচ্ছে, বরফ বা ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেতে পারে। কোনও ময়েশ্চারাইজ়ারও লাগিয়ে দেওয়া যায়। তবে কলার খোসা না ব্যবহার করাই ভাল। মশা কামড়ানোর পর চুলকানি ভাব কমাতে যে এটি কাজ করে, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং কলার খোসা ঘষাঘষি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ত্বক কালচে হয়ে যাওয়া বা এগজিমার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
কলার খোসা কি সত্যিই মশার কামড় থেকে স্বস্তি দিতে পারে? সমাজমাধ্যমে এই বিষয় নিয়ে খোঁজখুজি করলে মিলবে বিস্তর রিল, ভিডিয়ো। কিন্তু সত্যি কি এই কৌশল কাজে আসে?
আমেরিকার শিশুরোগ চিকিৎসক মোনা আমিন সমাজমাধ্যমে নানা রোগ এবং সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দেন। তাঁর অনুসরণকারীও যথেষ্ট। সমাজমাধ্যমে এই টোটকার কথা চাউর হতে তিনিও তাঁর মত জানিয়েছেন। মোনা বলছেন, ‘‘কলার খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড্স এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। গবষেণায় দেখা গিয়েছে প্রদাহ কমাতে তা সাহায্য করে। সুতরাং এই যুক্তি দিয়ে দেখলে, এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান, চুলকানোর ফলে যে জ্বালা হয় বা যে অংশটি ফুলে যায়, তা সাময়িক ভাবে কমাতে পারে। তবে এর কিন্তু কোনও পরীক্ষিত প্রমাণ নেই। তবে ঘোরায়া টোটকা হিসাবে এটি নিরাপদ।’’ একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করছেন, চুলকানোর ফলে নখের আঁচড় লাগলে বা কোনও কারণে ক্ষত হলে সেখানে কলার খোসার টোটকা প্রয়োগ না করাই উচিত। কলায় অ্যালার্জি থাকলে তা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। মোনার কথায়, কলার খোসা কোনও ম্যাজিক দেখাতে পারে না। তবে প্রাকৃতিক গুণ আছে এতে।
কলার খোসার গুণাগুণ নিয়ে মোনার সঙ্গে একমত মুম্বইয়ের এক হাসপাতালের চিকিৎসক সোনালি কোহলি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘‘মশার কামড়ে ত্বক ফুলে গেলে কলার খোসা ঘষে দিলে আরাম মিলবে। কলার খোসা বেটে গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল মিশিয়ে সেই স্থানে লাগালেও কাজ হবে। ১০-১৫ মিনিট রাখলেই চুলকানি এবং প্রদাহ কমবে।’’
তবে দুই চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়ে সহমত নন কলকাতার ত্বকের অসুখের চিকিৎসক অভীক শীল। তাঁর বক্তব্য, মশার কামড়ে শিশুদের ত্বক একটু ফুলে গেলেও এমনিতেই তা সেরে যায়। কোনও কিছুই লাগানোর দরকার হয় না। তবে যদি মনে হয় বেশি চুলকাচ্ছে বা জ্বালা দিচ্ছে, বরফ বা ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেতে পারে। কোনও ময়েশ্চারাইজ়ারও লাগিয়ে দেওয়া যায়। তবে কলার খোসা না ব্যবহার করাই ভাল। মশা কামড়ানোর পর চুলকানি ভাব কমাতে যে এটি কাজ করে, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং কলার খোসা ঘষাঘষি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ত্বক কালচে হয়ে যাওয়া বা এগজিমার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।