আমেরিকানদের ইরানে না যাওয়ার পরামর্শ দিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। আমেরিকার বিদেশ দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বার্তা দিয়েছে। বিশেষত, আমেরিকা-ইরান দ্বৈত নাগরিকত্বপ্রাপকদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ইরানে ভ্রমণ ‘গুরুতর ঝুঁকি’ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘বোমা হামলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে মানে এই নয় যে, এখন ইরানে ভ্রমণ নিরাপদ।’’ ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ইরান দ্বৈত নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেয় না। শুধু তা-ই নয়, তেহরান কর্তৃপক্ষ আমেরিকানদের ইরানে ঢুকতে দিতে চান না।
মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে একটি ওয়েবসাইটও চালু করা হয়েছে। ইরানে আমেরিকানদের নির্বিচারে আটক করার বিষয় উল্লেখ করে যাবতীয় তথ্য প্রদান করা হয়েছে ওই ওয়েবসাইটে। উল্লেখ্য, দ্বৈত নাগরিকত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ইরানের আচরণ নিয়ে অতীতে বার বার উদ্বেগপ্রকাশ করেছে আমেরিকা। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশ কয়েক জন ইরান-আমেরিকানকে আটক করেছেন তেহরান কর্তৃপক্ষ। সেই সব বিষয় উল্লেখ করেই ইরানে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত এবং তাতে আমেরিকার যোগ দেওয়ার পর থেকে উত্তপ্ত পশ্চিম এশিয়া। গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে ‘রাইজ়িং লায়ন’ অভিযান শুরু করে ইজ়রায়েল। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের মূল লক্ষ্যই ছিল ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি। অভিযানের সময় ইরানের দুই পরমাণুকেন্দ্র নাতান্জ় এবং ফোরডোতে হামলা চালায় ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনী। বিমান হামলায় ইরানের বেশ কয়েক জন সামরিক প্রধান এবং পরমাণুবিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়। পাল্টা হামলা চালায় ইরানও। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে ঢুকে পড়ে আমেরিকাও। ইরানের পারমাণবিক পরিকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্যে গত ২২ জুন বিমান হামলা চালায় মার্কিন সেনা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হামলার পর দাবি করেন, ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করতে সফল হয়েছেন।
আমেরিকার হামলার জবাবে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এই সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই ট্রাম্প জানান, ইরান এবং ইজ়রায়েল দুই দেশই যুদ্ধবিরতিতে রাজি। ওয়াশিংটনও চায় না তেহরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে। শুধু তা-ই নয়, ইরানের সঙ্গে পরমাণুচুক্তির জন্য আলোচনা করতে চান বলেও দাবি করেন আমেরিকা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই আলোচনা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দুই দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা রয়েছে বলে দাবি অনেকের। সেই আবহে ইরান ভ্রমণ নিয়ে সতর্ক করল ট্রাম্প প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘বোমা হামলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে মানে এই নয় যে, এখন ইরানে ভ্রমণ নিরাপদ।’’ ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ইরান দ্বৈত নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেয় না। শুধু তা-ই নয়, তেহরান কর্তৃপক্ষ আমেরিকানদের ইরানে ঢুকতে দিতে চান না।
মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে একটি ওয়েবসাইটও চালু করা হয়েছে। ইরানে আমেরিকানদের নির্বিচারে আটক করার বিষয় উল্লেখ করে যাবতীয় তথ্য প্রদান করা হয়েছে ওই ওয়েবসাইটে। উল্লেখ্য, দ্বৈত নাগরিকত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ইরানের আচরণ নিয়ে অতীতে বার বার উদ্বেগপ্রকাশ করেছে আমেরিকা। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশ কয়েক জন ইরান-আমেরিকানকে আটক করেছেন তেহরান কর্তৃপক্ষ। সেই সব বিষয় উল্লেখ করেই ইরানে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত এবং তাতে আমেরিকার যোগ দেওয়ার পর থেকে উত্তপ্ত পশ্চিম এশিয়া। গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে ‘রাইজ়িং লায়ন’ অভিযান শুরু করে ইজ়রায়েল। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের মূল লক্ষ্যই ছিল ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি। অভিযানের সময় ইরানের দুই পরমাণুকেন্দ্র নাতান্জ় এবং ফোরডোতে হামলা চালায় ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনী। বিমান হামলায় ইরানের বেশ কয়েক জন সামরিক প্রধান এবং পরমাণুবিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়। পাল্টা হামলা চালায় ইরানও। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে ঢুকে পড়ে আমেরিকাও। ইরানের পারমাণবিক পরিকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্যে গত ২২ জুন বিমান হামলা চালায় মার্কিন সেনা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হামলার পর দাবি করেন, ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করতে সফল হয়েছেন।
আমেরিকার হামলার জবাবে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এই সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই ট্রাম্প জানান, ইরান এবং ইজ়রায়েল দুই দেশই যুদ্ধবিরতিতে রাজি। ওয়াশিংটনও চায় না তেহরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে। শুধু তা-ই নয়, ইরানের সঙ্গে পরমাণুচুক্তির জন্য আলোচনা করতে চান বলেও দাবি করেন আমেরিকা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই আলোচনা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দুই দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা রয়েছে বলে দাবি অনেকের। সেই আবহে ইরান ভ্রমণ নিয়ে সতর্ক করল ট্রাম্প প্রশাসন।