লম্বা এবং সুস্থ জীবনযাপনের চাবিকাঠি শুধু ব্যায়াম বা সুষম খাদ্যাভ্যাস নয়, বয়স অনুযায়ী সঠিক স্বাস্থ্যপরীক্ষাও জরুরি। সুস্থ জীবন গড়ে তোলার পথ শুরু হয় ২০ বছর বয়স থেকেই। যদি আমরা সময়মতো প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং ও অভ্যাসগুলো গড়ে তুলি, তা হলে বয়স যতই বাড়ুক না কেন, জীবন হতে পারে সজীব, স্বাধীন ও দীর্ঘস্থায়ী।
সম্প্রতি একটি পোস্টে মার্কিন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দিমিত্রি ইয়ারানোভ লেখেন, “প্রতিটি বয়সের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই অনুযায়ী যদি আপনি নিয়মিত স্ক্রিনিং করেন, তা হলে অনেক রোগ আগেভাগে ধরা পড়বে এবং দীর্ঘ জীবন পাওয়া সহজ হবে।”
২০-এর কোঠায়: স্বাস্থ্য গড়ার ভিত
• বছরে একবার মেডিক্যাল চেকআপ: কোনও এক চিকিৎসকের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি করা শুরু করুন।
• রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল টেস্ট: পারিবারিক ঝুঁকি থাকলে আগেভাগে স্ক্রিনিং করুন।
• ভাল অভ্যাস গড়ে তুলুন: ব্যায়াম, পরিমিত আহার, ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন।
৩০-এর কোঠায়: নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণ
• রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা চালিয়ে যান: ৪-৬ বছর অন্তর, অথবা বেশি হলে আরও ঘন।
• ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং: ওবেসিটি বা পারিবারিক ইতিহাস থাকলে জরুরি।
• হার্টের যত্ন: ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং ঘুম ঠিক রাখা।
• মানসিক স্বাস্থ্য: কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করুন।
৪০-এর কোঠায়: সতর্কতার সময়
• রক্তে সুগারের মাত্রা দেখুন: প্রি-ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা।
• ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং: ৪০ বছর থেকে ম্যামোগ্রাম প্রয়োজন হতে পারে।
• প্রস্টেট পরীক্ষা: PSA টেস্টের বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন।
• হৃদরোগ ঝুঁকি: পারিবারিক ইতিহাস থাকলে চিকিৎসা শুরু করুন।
৫০-এর কোঠায়: সময় সচেতন চিকিৎসার
• কোলনোস্কপি: ৪৫ বছর থেকে শুরু করুন কোলন ক্যানসারের স্ক্রিনিং।
• হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা: মহিলাদের ক্ষেত্রে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে।
• মেনোপজ সংক্রান্ত আলোচনা: হরমোন পরিবর্তন নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬০-এর কোঠায়: হার্টের খেয়াল রাখুন বিশেষ করে
• কার্ডিওভাসকুলার স্ক্রিনিং: নিয়মিত হার্ট চেকআপ জরুরি।
• ফুসফুস ক্যানসার স্ক্রিনিং: অতীতে ধূমপান করলে, লো-ডোজ সিটি স্ক্যানের কথা ভাবুন।
• শরীর সচল থাকুক: ভারসাম্য ও নমনীয়তা বাড়াতে ব্যায়াম করুন।
• শোনা ও দেখার ক্ষমতা: নিয়মিত স্ক্রিনিং জরুরি।
৭০-এর পরে: গুণগত জীবনই মুখ্য
• ব্রেনের স্বাস্থ্য: মেমোরি ধরে রাখতে সামাজিক মেলামেশা ও মগজাস্ত্রের ব্যায়াম চালিয়ে যান।
• ওষুধের তালিকা দেখুন: অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বাদ দিন।
• রুটিন ক্যানসার স্ক্রিনিং: শরীরের পরিস্থিতি অনুযায়ী চিকিৎসকের সঙ্গে পর্যালোচনা করুন।
• সক্রিয় থাকুন: হালকা হাঁটা, স্ট্রেচিং ও হালকা শক্তিবর্ধক ব্যায়াম চালিয়ে যান।
সম্প্রতি একটি পোস্টে মার্কিন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দিমিত্রি ইয়ারানোভ লেখেন, “প্রতিটি বয়সের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই অনুযায়ী যদি আপনি নিয়মিত স্ক্রিনিং করেন, তা হলে অনেক রোগ আগেভাগে ধরা পড়বে এবং দীর্ঘ জীবন পাওয়া সহজ হবে।”
২০-এর কোঠায়: স্বাস্থ্য গড়ার ভিত
• বছরে একবার মেডিক্যাল চেকআপ: কোনও এক চিকিৎসকের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি করা শুরু করুন।
• রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল টেস্ট: পারিবারিক ঝুঁকি থাকলে আগেভাগে স্ক্রিনিং করুন।
• ভাল অভ্যাস গড়ে তুলুন: ব্যায়াম, পরিমিত আহার, ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন।
৩০-এর কোঠায়: নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণ
• রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা চালিয়ে যান: ৪-৬ বছর অন্তর, অথবা বেশি হলে আরও ঘন।
• ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং: ওবেসিটি বা পারিবারিক ইতিহাস থাকলে জরুরি।
• হার্টের যত্ন: ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং ঘুম ঠিক রাখা।
• মানসিক স্বাস্থ্য: কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করুন।
৪০-এর কোঠায়: সতর্কতার সময়
• রক্তে সুগারের মাত্রা দেখুন: প্রি-ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা।
• ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং: ৪০ বছর থেকে ম্যামোগ্রাম প্রয়োজন হতে পারে।
• প্রস্টেট পরীক্ষা: PSA টেস্টের বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন।
• হৃদরোগ ঝুঁকি: পারিবারিক ইতিহাস থাকলে চিকিৎসা শুরু করুন।
৫০-এর কোঠায়: সময় সচেতন চিকিৎসার
• কোলনোস্কপি: ৪৫ বছর থেকে শুরু করুন কোলন ক্যানসারের স্ক্রিনিং।
• হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা: মহিলাদের ক্ষেত্রে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে।
• মেনোপজ সংক্রান্ত আলোচনা: হরমোন পরিবর্তন নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬০-এর কোঠায়: হার্টের খেয়াল রাখুন বিশেষ করে
• কার্ডিওভাসকুলার স্ক্রিনিং: নিয়মিত হার্ট চেকআপ জরুরি।
• ফুসফুস ক্যানসার স্ক্রিনিং: অতীতে ধূমপান করলে, লো-ডোজ সিটি স্ক্যানের কথা ভাবুন।
• শরীর সচল থাকুক: ভারসাম্য ও নমনীয়তা বাড়াতে ব্যায়াম করুন।
• শোনা ও দেখার ক্ষমতা: নিয়মিত স্ক্রিনিং জরুরি।
৭০-এর পরে: গুণগত জীবনই মুখ্য
• ব্রেনের স্বাস্থ্য: মেমোরি ধরে রাখতে সামাজিক মেলামেশা ও মগজাস্ত্রের ব্যায়াম চালিয়ে যান।
• ওষুধের তালিকা দেখুন: অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বাদ দিন।
• রুটিন ক্যানসার স্ক্রিনিং: শরীরের পরিস্থিতি অনুযায়ী চিকিৎসকের সঙ্গে পর্যালোচনা করুন।
• সক্রিয় থাকুন: হালকা হাঁটা, স্ট্রেচিং ও হালকা শক্তিবর্ধক ব্যায়াম চালিয়ে যান।