ঢাকা , শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে সংবাদকর্মীর মোবাইল ছিনিয়ে নিলেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শিক্ষক জান্নাতুলের মৃত্যুর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের: রিটার্নিং কর্মকর্তা সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে ঘুমনোর অভ্যেস বলিউডের ৫ তারকার চলনবিলে নৌকাবাইচ দেখতে লক্ষাধিক দর্শনার্থীর আগমন কেঁদে কেটে হাতে-পায়ে ধরি, তাও জোর করে আমাকে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে, বিস্ফোরক অক্ষয়ের নায়িকা! সরকারি চিকিৎসকদের জন্য ৮ দফা কঠোর নির্দেশনা খুলনায় বিদেশি অস্ত্রসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক নেপালে বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১, পলাতক ১২ হাজার ৫৩৩ কয়েদি হাজীগঞ্জ গায়ে হলুদে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে বরের মৃত্যু রোজ এনার্জি ড্রিঙ্ক খেলে কেবল ডায়াবিটিস নয়, সঙ্গে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও বাড়ে জাকসু নির্বাচন কমিশনার মাফরুহী সাত্তারের পদত্যাগ সুশীলা কার্কিকে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা পদত্যাগ করলেন জাকসু নির্বাচন কমিশনার মাফরুহী সাত্তার রাশিয়ার অন্দরে ঢুকে আবার ড্রোন হামলা ইউক্রেনের নোয়াখালীতে চালের টিন কেটে ওষুধ দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি তানোরের আলোচিত কথিত কবিরাজ আটক রাণীনগরে বিদ্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ নিয়ামতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী মিছিলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার -২ প্রিয়ঙ্কা-মলাইকা-জাহ্নবীদের নির্মেদ চেহারার রহস্য ফাঁস

সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ২মাস বৃদ্ধি: যে কাজগুলো করতে পারবে সেনাবাহিনী

  • আপলোড সময় : ১৩-০৭-২০২৫ ০৬:৪৩:৪৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৭-২০২৫ ০৬:৪৩:৪৭ অপরাহ্ন
সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ২মাস বৃদ্ধি: যে কাজগুলো করতে পারবে সেনাবাহিনী সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ২মাস বৃদ্ধি: যে কাজগুলো করতে পারবে সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা আরও ২ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রোববার (১৩ জুলাই) রাষ্ট্রপতির আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত তারা সারাদেশে এ ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৯৯৮ এর ১২ (১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সম-পদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তারা (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সম-পদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) সারাদেশে এই ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন।

প্রজ্ঞাপনে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ অনুযায়ী ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এসব ধারা অনুযায়ী সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

আইনের এসব ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যেসব ক্ষমতা রয়েছে-

ধারা ৬৪
নির্বাহী বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তিনি গ্রেপ্তার ও জামিন দিতে পারবেন। অর্থাৎ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়ায় এখন দায়িত্ব পালনের সময় সেনা কর্মকর্তাদের সামনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীদের সরাসরি গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

ধারা ৬৫
অধিক্ষেত্র এলাকায় কাউকে গ্রেপ্তার বা গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিতে পারবেন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। অর্থাৎ, সেনা কর্মকর্তাদের সামনে অপরাধ সংঘটিত না হলেও, সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

ধারা ৮৩
অধিক্ষেত্রের বাইরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন সেনা কর্মকর্তারা। আর ৮৪ ধারা অনুযায়ী, অধিক্ষেত্রের বাইরে পরোয়ানা কার্যকর করতে পুলিশকে নির্দেশও দিতে পারবেন। আর ৯৫ ধারা অনুযায়ী, পরোয়ানা বা ডকুমেন্টস বা চিঠিপত্র আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে পোস্টাল বা টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করতে পারবেন।

ধারা ১০০
বেআইনিভাবে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা যেকোনো স্থানে তল্লাশি করতে পারবেন। অর্থাৎ, কাউকে অপহরণ বা জোর করে কোথাও আটকে রাখার খবর পেলে সেনা কর্মকর্তারা সেখানে তল্লাশি করতে পারবেন।

ধারা ১০৫
সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, তার (ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) উপস্থিতিতে যেকোনো স্থানে অনুসন্ধানের জন্য তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন।

ধারা ১০৭
শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১০৯ 
ভবঘুরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১১০ 
অভ্যাসগত অপরাধীর কাছ থেকে সদাচরণের জন্য মুচলেকা গ্রহণ করতে পারবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। 

ধারা ১২৬
সদাচরণের নিশ্চয়তা প্রদান করা ব্যক্তির মুচলেকা বাতিল করে সমন বা গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবেন।

ধারা ১২৭
সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দিতে পারবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। ফৌজদারি কার্যবিধির এই ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পাঁচ বা তার অধিক ব্যক্তির বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। এই ধারা অনুযায়ী সেনা কর্মকর্তারাও যেকোনো ধরনের বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পারবেন।

ধারা ১২৮
সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে বেসামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ, চাইলে তারা পুলিশ বা অন্যান্য বেসামরিক বাহিনীর সহায়তা নিতে বা নির্দেশ দিতে পারবেন। 

ধারা ১৩০
সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে প্রয়োজনীয় সেনা কমান্ডিং অফিসারদের দায়িত্ব দিতে পারবেন।

ধারা ১৩৩
স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্রবিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করতে পারবেন।

ধারা ১৪২
এই ধারার আওতায় জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সেনা কর্মকর্তাদের।

উল্লিখিত ধারাগুলোর ক্ষমতা ছাড়াও যেকোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন। তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তা ২ বছরের বেশি হবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
তানোরের আলোচিত কথিত কবিরাজ আটক

তানোরের আলোচিত কথিত কবিরাজ আটক