একটি খাবারে প্রোটিন বেশি, আর একটিতে ভিটামিন, আবার কোনও খাবার খেলে হয়তো শরীরে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম জাতীয় খনিজ পদার্থ যাবে বেশি পরিমাণে। পুষ্টিগুণ মিলিয়ে বেছেবুছে খাওয়াদাওয়ার সময় এ যুগে কম। ছুটতে থাকা জীবনে দরকার ‘অল ইন ওয়ান’ খাবারের। যাতে সব ধরনের পুষ্টিগুণ একসঙ্গে মিলবে। ওই ধরনের খাবারের পোশাকি নাম হল ‘সুপারফুড’। কাঠবাদাম বা আমন্ড তেমনই এক সুপারফুড।
স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে যখন চিয়াবীজ, ঘি, হলুদের মতো সুপারফুডের দর বাড়ছে, তখন ভাল থাকার একটি পুরনো টোটকা ভুলতে বসেছেন অনেকেই। সকালে খালিপেটে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার কথা বলতেন চিকিৎসকেরাও। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকরও বলছেন, এই অভ্যাসের গুণ অসীম!
কাঠবাদাম সুপারফুড কেন?
কাঠবাদাম খাওয়া উপকারী কেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রুজুতা। তিনি বলছেন, ‘‘আমন্ডে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইটোস্টেরল, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং আরও নানা ধরনের পুষ্টিগুণ’’।
কী কী উপকারে লাগে?
১। হার্টের স্বাস্থ্য
প্রাণীজ প্রোটিনের খারাপ দিক নিয়ে চিন্তিত যাঁরা, তাঁদের জন্য উদ্ভিজ প্রোটিনের অন্যতম বিকল্প কাঠবাদাম। যাতে কোনও ট্রান্স ফ্যাট নেই। বদলে রয়েছে স্বাস্থ্যকর মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা শরীরে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা কমিয়ে ‘ভাল’ কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হার্ট ভাল রাখতে হলে যা সবার আগে দরকারি।
২। হাড়ের স্বাস্থ্য
কাঠবাদামে রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম।ক্যালশিয়াম যে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তা বলে দিতে হয় না। অন্য দিকে ম্যাগনেশিয়াম মিনারেলাইজেশনে সাহায্য করে। শরীরে ফসফেটাসকে সক্রিয় করে তোলে। যা হাড়ের ঘনত্বের জন্য জরুরি। যে কারণে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমলে হাড়ের ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ে।
৩। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
রাতভর ভেজানো কাঠবাদাম খোসা ছাড়িয়ে সকালে খেতে বলছেন রুজুতা। তিনি বলছেন, ভেজানো কাঠবাদামে থাকে সক্রিয় রাইবোফ্লাভিন এবং এল-কারনিটাইন। যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
৪। ওজন নিয়ন্ত্রণ
৬টি ভেজানো কাঠবাদামে থাকে ৪২ কিলোক্যালোরি। তার সঙ্গে থাকে ফাইবার এবং নানা পুষ্টিগুণ। সকালের প্রথম খাবার হিসাবে তাই এটি অত্যন্ত উপযোগী। রুজুতা বলছেন, এতে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকবে। শরীরে পুষ্টিও যাবে। ওজন কমানোর জন্য এই ধরনের খাবারই দরকারি। এটি একটু বেশি সকালে খেয়ে তার ঘণ্টা খানেক পরে প্রাতরাশ সারা যেতে পারে।
৫। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ
শরীরে ইনস্যুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে। তা থেকেই ব্লাড সুগার বাড়ে। কাঠবাদাম অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমিয়ে ইনস্যুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৬। হজমে সহায়ক
সকালে খালিপেটে ভেজানো বাদাম খেলে তা এনজ়াইম নিঃসরণে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে থাকা ফাইবারও হজমে সহায়তা করে। বাদাম ভিজিয়ে রাখার পরে খেলে এর ভিতরে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড ভেঙে যায়। যা শরীরে গিয়ে বিভিন্ন খাবার থেকে পুষ্টিগুণ গ্রহণ করতে সাহায্য করে। পেটফাঁপার মতো সমস্যাও দূরে রাখে।
স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে যখন চিয়াবীজ, ঘি, হলুদের মতো সুপারফুডের দর বাড়ছে, তখন ভাল থাকার একটি পুরনো টোটকা ভুলতে বসেছেন অনেকেই। সকালে খালিপেটে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার কথা বলতেন চিকিৎসকেরাও। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকরও বলছেন, এই অভ্যাসের গুণ অসীম!
কাঠবাদাম সুপারফুড কেন?
কাঠবাদাম খাওয়া উপকারী কেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রুজুতা। তিনি বলছেন, ‘‘আমন্ডে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইটোস্টেরল, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং আরও নানা ধরনের পুষ্টিগুণ’’।
কী কী উপকারে লাগে?
১। হার্টের স্বাস্থ্য
প্রাণীজ প্রোটিনের খারাপ দিক নিয়ে চিন্তিত যাঁরা, তাঁদের জন্য উদ্ভিজ প্রোটিনের অন্যতম বিকল্প কাঠবাদাম। যাতে কোনও ট্রান্স ফ্যাট নেই। বদলে রয়েছে স্বাস্থ্যকর মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা শরীরে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা কমিয়ে ‘ভাল’ কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হার্ট ভাল রাখতে হলে যা সবার আগে দরকারি।
২। হাড়ের স্বাস্থ্য
কাঠবাদামে রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম।ক্যালশিয়াম যে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তা বলে দিতে হয় না। অন্য দিকে ম্যাগনেশিয়াম মিনারেলাইজেশনে সাহায্য করে। শরীরে ফসফেটাসকে সক্রিয় করে তোলে। যা হাড়ের ঘনত্বের জন্য জরুরি। যে কারণে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমলে হাড়ের ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ে।
৩। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
রাতভর ভেজানো কাঠবাদাম খোসা ছাড়িয়ে সকালে খেতে বলছেন রুজুতা। তিনি বলছেন, ভেজানো কাঠবাদামে থাকে সক্রিয় রাইবোফ্লাভিন এবং এল-কারনিটাইন। যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
৪। ওজন নিয়ন্ত্রণ
৬টি ভেজানো কাঠবাদামে থাকে ৪২ কিলোক্যালোরি। তার সঙ্গে থাকে ফাইবার এবং নানা পুষ্টিগুণ। সকালের প্রথম খাবার হিসাবে তাই এটি অত্যন্ত উপযোগী। রুজুতা বলছেন, এতে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকবে। শরীরে পুষ্টিও যাবে। ওজন কমানোর জন্য এই ধরনের খাবারই দরকারি। এটি একটু বেশি সকালে খেয়ে তার ঘণ্টা খানেক পরে প্রাতরাশ সারা যেতে পারে।
৫। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ
শরীরে ইনস্যুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে। তা থেকেই ব্লাড সুগার বাড়ে। কাঠবাদাম অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমিয়ে ইনস্যুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৬। হজমে সহায়ক
সকালে খালিপেটে ভেজানো বাদাম খেলে তা এনজ়াইম নিঃসরণে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে থাকা ফাইবারও হজমে সহায়তা করে। বাদাম ভিজিয়ে রাখার পরে খেলে এর ভিতরে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড ভেঙে যায়। যা শরীরে গিয়ে বিভিন্ন খাবার থেকে পুষ্টিগুণ গ্রহণ করতে সাহায্য করে। পেটফাঁপার মতো সমস্যাও দূরে রাখে।