এমনিতেই ঋতুস্রাবের সময় ‘হাজার রকমের’ সমস্যা সামলাতে হয় মেয়েদের। পেট-কোমরে ব্যথা, বেমক্কা মেজাজ খারাপ, ক্লান্তি, মানসিক উদ্বেগ, অকারণ বেশি খাওয়া কিংবা খিদে না থাকা— হরমোনের তাণ্ডব চলতেই থাকে! আর এই সব ‘জ্বালা’র সঙ্গে জোড়ে আরও একটি যন্ত্রণা। পেটের গণ্ডগোল!
ঋতুস্রাব চলাকালীন অধিকাংশ মহিলাই হয় কোষ্ঠকাঠিন্য নয়তো ডায়েরিয়ার মতো সমস্যায় ভোগেন। সঙ্গে পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বল, বদহজমের মতো সমস্যাও থাকে। কিন্তু কেন এমন হয়? লস অ্যাঞ্জেলেসের এক তারকা স্ত্রী রোগ চিকিৎসক, যিনি কিম কার্দাশিয়ান, পেনেলোপে ক্রুজ থেকে শুরু করে বহু হলিউড তারকা, এমনকি রাজ পরিবারের সদস্যদেরও চিকিৎসা করেছেন, তিনি এর ব্যখ্যা দিয়েছেন।
ঋতুস্রাব চলাকালীন পেটের গোলযোগের কারণ কী?
লস অ্যাঞ্জেলেস ওই চিকিৎসক, থাইস আলিয়াবাদি বলছেন, ‘‘জরায়ুর সঙ্গে হজমক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও ঋতুস্রাব চলাকালীন কিছু হরমোন এবং হরমোনের মতো উপাদান আমাদের শরীরে নানারকম সমস্যা তৈরি করে।’’
১। ডায়েরিয়ার কারণ: মহিলাদের শরীরের ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে প্রস্টাগ্ল্যান্ডিন নামে এক ধরনের উপাদান তৈরি হয়। যা খানিকটা হরমোনের মতো কাজ করে। এটি যেমন প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, রক্ত জমাট বাঁধাতে সাহায্য করে, তেমনই এই প্রস্টাগ্ল্যান্ডিনের ক্ষরণ বাড়লে পেশি সংকোচনও হতে পারে। ঋতুচক্র চলাকালীন ওই প্রস্টাগ্ল্যান্ডিনের ক্ষরণ বাড়লে অন্ত্রের পেশি সঙ্কুচিত হয়ে যায়। এর থেকেই কোষ্ঠের সমস্যা বিশেষ করে ডায়েরিয়া হতে পারে।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের কারণ: ঋতুচক্র চলাকালীন প্রোজেস্টেরনের ক্ষরণ কমে যায়। প্রোজেস্টেরনের অভাব সরাসরি প্রভাব ফেলে তাতে হজমক্রিয়ায়। খাবার হজম করতে সময় লাগে বেশি। ফলে বদহজম, পেট ফাঁপা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে।
কী ভাবে সমস্যা থেকে সুরাহা মিলবে?
১। প্রচুর জল খান। জল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে যেমন সাহায্য করতে পারে। তেমনই হজমের সমস্যার সমাধানও করতে পারে।
২। ফাইবার বেশি আছে এমন খাবার খান। যেমন ওটস, ডাল, সব্জি ইত্যাদি। পেটের গণ্ডগোল সারাতে ফাইবার উপযোগী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার জন্যও।
৩। কফি, চা, চিনি দেওয়া পানীয় খাওয়া কমান। কারণ চা-কফিতে থাকা ক্যাফিন ডায়েরিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে। চিনি দেওয়া খাবার বা পানীয় পেট ফাঁপা বা গ্যাস-অম্বলের কারণ হতে পারে।
৪। অনেকেই ঋতুস্রাব চলাকালীন দুগ্ধজাত খাবার হজম করতে পারেন না। তাঁদের ক্ষেত্রেও তা এড়িয়ে চলাই ভাল।
৫। প্রোবায়োটিক খাবার বেশি খান। যাদের দই খেলে সমস্যা হয় না, তাঁরা দই খান। বাকিরা যেকোনও জারন করা খাবার খেতে পারেন। যেমন ইডলি, কিমচি, কাঞ্জি ইত্যাদি খেতে পারেন।
৬। এক জায়গায় বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন। সক্রিয় থাকুন। তাতেও পেটের সমস্যা কম হবে।
৭। একবারে বেশি খাবার না খেয়ে। বারে বারে অল্প করে খান। তাতে হজম করতে সুবিধা হবে।
৮। তেলমশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
৯। প্রয়োজন হলে শুকনো সেঁক কাজে দিতে পারে।
ঋতুস্রাব চলাকালীন অধিকাংশ মহিলাই হয় কোষ্ঠকাঠিন্য নয়তো ডায়েরিয়ার মতো সমস্যায় ভোগেন। সঙ্গে পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বল, বদহজমের মতো সমস্যাও থাকে। কিন্তু কেন এমন হয়? লস অ্যাঞ্জেলেসের এক তারকা স্ত্রী রোগ চিকিৎসক, যিনি কিম কার্দাশিয়ান, পেনেলোপে ক্রুজ থেকে শুরু করে বহু হলিউড তারকা, এমনকি রাজ পরিবারের সদস্যদেরও চিকিৎসা করেছেন, তিনি এর ব্যখ্যা দিয়েছেন।
ঋতুস্রাব চলাকালীন পেটের গোলযোগের কারণ কী?
লস অ্যাঞ্জেলেস ওই চিকিৎসক, থাইস আলিয়াবাদি বলছেন, ‘‘জরায়ুর সঙ্গে হজমক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও ঋতুস্রাব চলাকালীন কিছু হরমোন এবং হরমোনের মতো উপাদান আমাদের শরীরে নানারকম সমস্যা তৈরি করে।’’
১। ডায়েরিয়ার কারণ: মহিলাদের শরীরের ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে প্রস্টাগ্ল্যান্ডিন নামে এক ধরনের উপাদান তৈরি হয়। যা খানিকটা হরমোনের মতো কাজ করে। এটি যেমন প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, রক্ত জমাট বাঁধাতে সাহায্য করে, তেমনই এই প্রস্টাগ্ল্যান্ডিনের ক্ষরণ বাড়লে পেশি সংকোচনও হতে পারে। ঋতুচক্র চলাকালীন ওই প্রস্টাগ্ল্যান্ডিনের ক্ষরণ বাড়লে অন্ত্রের পেশি সঙ্কুচিত হয়ে যায়। এর থেকেই কোষ্ঠের সমস্যা বিশেষ করে ডায়েরিয়া হতে পারে।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের কারণ: ঋতুচক্র চলাকালীন প্রোজেস্টেরনের ক্ষরণ কমে যায়। প্রোজেস্টেরনের অভাব সরাসরি প্রভাব ফেলে তাতে হজমক্রিয়ায়। খাবার হজম করতে সময় লাগে বেশি। ফলে বদহজম, পেট ফাঁপা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে।
কী ভাবে সমস্যা থেকে সুরাহা মিলবে?
১। প্রচুর জল খান। জল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে যেমন সাহায্য করতে পারে। তেমনই হজমের সমস্যার সমাধানও করতে পারে।
২। ফাইবার বেশি আছে এমন খাবার খান। যেমন ওটস, ডাল, সব্জি ইত্যাদি। পেটের গণ্ডগোল সারাতে ফাইবার উপযোগী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার জন্যও।
৩। কফি, চা, চিনি দেওয়া পানীয় খাওয়া কমান। কারণ চা-কফিতে থাকা ক্যাফিন ডায়েরিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে। চিনি দেওয়া খাবার বা পানীয় পেট ফাঁপা বা গ্যাস-অম্বলের কারণ হতে পারে।
৪। অনেকেই ঋতুস্রাব চলাকালীন দুগ্ধজাত খাবার হজম করতে পারেন না। তাঁদের ক্ষেত্রেও তা এড়িয়ে চলাই ভাল।
৫। প্রোবায়োটিক খাবার বেশি খান। যাদের দই খেলে সমস্যা হয় না, তাঁরা দই খান। বাকিরা যেকোনও জারন করা খাবার খেতে পারেন। যেমন ইডলি, কিমচি, কাঞ্জি ইত্যাদি খেতে পারেন।
৬। এক জায়গায় বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন। সক্রিয় থাকুন। তাতেও পেটের সমস্যা কম হবে।
৭। একবারে বেশি খাবার না খেয়ে। বারে বারে অল্প করে খান। তাতে হজম করতে সুবিধা হবে।
৮। তেলমশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
৯। প্রয়োজন হলে শুকনো সেঁক কাজে দিতে পারে।