দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বর্ষার মাঝামাঝি সময়েও বর্ষার দেখা নেই। পানির সংকটে নাকাল হয়ে পড়েছেন এলাকার হাজারো কৃষক। জমি চাষ, চারা রোপণ আর পাট জাগ দেওয়া সবকিছুই থমকে গেছে পানির অভাবে। কিছু এলাকায় যেসব জমিতে চারা রোপণ হয়েছে, সেখানে পর্যন্ত জমি ফেটে যাচ্ছে খরার দাপটে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে বাড়তি খরচে নলকূপ ও শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচের পানি ব্যবহার করছেন। এতে তাদের উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের লক্ষ্য ৯২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন।
তবে ভরা বর্ষায়ও পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা না মেলায় আমনের বীজতলা তৈরি হলেও অনেক জমিই পড়ে আছে অনাবাদী। জুলাই মাসে একবার স্বল্প বৃষ্টি হলেও এরপর থেকে আকাশের মুখ আর দেখা মেলেনি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, জমি তৈরি হলেও পানি না থাকায় কৃষকরা চারা রোপণ করতে পারছেন না। কোথাও কোথাও শুকনো জমিতে ফাটল ধরেছে। অনেকেই আশপাশের পুকুর-ডোবা থেকে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানি তুলে কোনোমতে জমি সেচ দিচ্ছেন।
খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে করতে বাধ্য হয়েছি নলকূপের পানি দিয়ে জমিতে চারা রোপণ করতে। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে, এক একর ২৫ শতাংশ জমিতে প্রায় ১৬ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
দৌলতপুর ইউনিয়নের আরেক কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, সেচ দিয়ে তিন একর জমি চাষ করতে হচ্ছে। কিন্তু এত খরচের পরেও লাভ হবে কি না সেটাই ভাবছি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি মৌসুমে মে, জুন এবং জুলাইয়ের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ২৫ জুলাইয়ের পর থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানুর রহমান বলেন, আমন রোপণের সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত চারা রোপণ করা যাবে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে বাড়তি খরচে নলকূপ ও শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচের পানি ব্যবহার করছেন। এতে তাদের উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের লক্ষ্য ৯২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন।
তবে ভরা বর্ষায়ও পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা না মেলায় আমনের বীজতলা তৈরি হলেও অনেক জমিই পড়ে আছে অনাবাদী। জুলাই মাসে একবার স্বল্প বৃষ্টি হলেও এরপর থেকে আকাশের মুখ আর দেখা মেলেনি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, জমি তৈরি হলেও পানি না থাকায় কৃষকরা চারা রোপণ করতে পারছেন না। কোথাও কোথাও শুকনো জমিতে ফাটল ধরেছে। অনেকেই আশপাশের পুকুর-ডোবা থেকে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানি তুলে কোনোমতে জমি সেচ দিচ্ছেন।
খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে করতে বাধ্য হয়েছি নলকূপের পানি দিয়ে জমিতে চারা রোপণ করতে। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে, এক একর ২৫ শতাংশ জমিতে প্রায় ১৬ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
দৌলতপুর ইউনিয়নের আরেক কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, সেচ দিয়ে তিন একর জমি চাষ করতে হচ্ছে। কিন্তু এত খরচের পরেও লাভ হবে কি না সেটাই ভাবছি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি মৌসুমে মে, জুন এবং জুলাইয়ের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ২৫ জুলাইয়ের পর থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানুর রহমান বলেন, আমন রোপণের সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত চারা রোপণ করা যাবে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।
কংকনা রায়, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: