কোন শ্রমিককে কারখানার মালিক কালো তালিকাভূক্ত করতে পারবে না, এমন সিধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা বালু মাঠে শহীদের স্মরণে "জুলাই পূর্ণজাগরণ-২০২৫ পালন উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ-১ আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করবার অধিকার রয়েছে, কমপক্ষে ৫ টি করে ট্রেড ইউনিয়ন করবে। পরে সিবিএ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই সরকারের সাথে শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলাপ করবে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, এদেশের অনেক কারখানা মালিক আছে যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। পালিয়ে গিয়ে মাসের পর মাস বিদেশে থাকে, টাকা কোথা থেকে দিবে। কারখানা দেখিয়ে দেশের ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে তারা চলে গেছে। তারা শ্রমিকদের কথা চিন্তাও করেনি। সেটা এখন আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে।
বন্ধ কারখানার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, যেগুলো বন্ধ হয়েছে বা যেগুলো খারাপ অবস্থায় আছে সেগুলো বিজিএমইএ’য়ের মেম্বার। তাদেরকে বলতে হবে বিজিএমইএ’য়ে কি করবে। এতো দিন বিজিএমইএ ছিল না। এই জন্য শ্রম মন্ত্রনালয় এটার সঙ্গে জড়িত ছিল। যেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সেগুলোকে পরিচালিত করার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেমন ধরুণ বেক্সিমকো পরিচালনার জন্য বিদেশী কিছু সংস্থা বাংলাদেশে আছে। এরমধ্যে তারা হয়তো আলোচনা করে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তারা যদি অনুকূলে থাকে, তারা কারখানাটি পরিচালনা করবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদসহ স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন কারখানার কয়েক শ' শ্রমিক।