বিয়ের আগে বেশ ছিপছিপে গড়ন। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই ভোল পাল্টে যায় চেহারার। বেশ গোলগাল ভুঁড়িটা হয় দেখার মতো। আত্মীয়-পরিজনেরা রসিকতা করেই বলেন, বিয়ের পরে সুখী হওয়া মানেই নাকি ‘মোটা’ হওয়া। একটু আধটু ওজন বৃদ্ধি নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না কেউই, কিন্তু তা যদি স্থূলত্বের পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন বিষয়টি চিন্তার। একটা সময়ে বিয়ের পরে ওজন বৃদ্ধি নিয়ে নানা রসিকতা করা হত, কিন্তু এখন সেই ঠাট্টা-তামাসাই উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। দেশের অন্যতম বড় চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, দেশের প্রতি চার দম্পতির একটি স্থূলত্বের শিকার। মহিলা-পুরুষ উভয়েরই ওজন বেড়ে চলেছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
২০১৯ থেকে ২০২১ সাল অবধি ৫২ হাজার ৭৩৭ দম্পতিকে নিয়ে সমীক্ষা চালায় আইসিএমআর। দেখা যায়, বিয়ের ঠিক পর পরই স্বামী ও স্ত্রী দু’জনেরই ওজন বৃদ্ধি হয়েছে। আর তা অল্পস্বল্প নয়, রীতিমতো স্থূলত্বের পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। ওজন তো আর এমনি বাড়ে না, সঙ্গে নানা রোগও নিয়ে আসে। ফলে কারও ধরা পড়ছে ডায়াবিটিস, তো কারও হার্টের রোগ। কেউ আবার উচ্চ কোলেস্টেরল, হাইপারটেনশনের খপ্পরে পড়েছেন।
বিয়ের পরে ওজন বৃদ্ধির এই সমস্যাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পাউজাল ওবেসিটি’। অর্থাৎ, স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই স্থূলত্বের শিকার। আগে মনে করা হত, বিয়ের পরে বুঝি মেয়েদেরই ওজন বাড়ে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ছেলেরাও পিছিয়ে নেই। মেদের পাল্লা দু’দিকেই ভারী।
আইসিএমআরের সঙ্গেই এই সমীক্ষায় যোগ দিয়েছে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ক্যানসার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ’। গবেষকেরা যা জানিয়েছেন, তা চমকে দেওয়ারই মতো। দেশে যত দম্পতি রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে গড়ে প্রায় ২৭.৪ শতাংশই ‘মোটা’। দেশের বড় শহরগুলিতে এই সংখ্যা অনেক বেশি। কেরল, দিল্লি, পঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, মনিপুর, তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্যে খোঁজ চালিয়ে গবেষকেরা দেখেছেন, শহুরে আদবকায়দায় অভ্যস্ত দম্পতিদের প্রায় ৪৭ শতাংশই স্থূলত্বের শিকার। তাঁরা না ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, না খাওয়াদাওয়ায় লাগাম টানছেন। আজ পার্টি, তো কাল বন্ধুদের আড্ডায় ভূরিভোজ। জাঙ্ক ফুড, অ্যালকোহলের ফোয়ারা ছুটছে।
এখনকার সময়ে বেশির ভাগ পরিবারই ছোট। স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই কর্মরত। অনেকেই আলাদা সংসার পাতছেন। কর্মব্যস্ততার কারণে রান্না করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই নেই। অনলাইনে অর্ডার করেই দুপুরের বা রাতের খাওয়া সারছেন। জাঙ্ক ফুডও খাওয়া হচ্ছে দেদার। এই অনিয়মের কারণেও ওজনও বেড়ে চলেছে।
জীবনযাত্রার বদলই সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছে আইসিএমআর। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, বিয়ের পরে একে অপরের জীবনযাপন পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে যেমন তাঁদের খাওয়ার অভ্যাস বদলায়, তেমনই ‘স্লিপ সাইকল’ অর্থাৎ, ঘুমনোর সময়ও বদলে যায়। বিয়ের পর পর নিমন্ত্রণ, আত্মীয়-পরিজনদের সমাগম বাড়ে। খাওয়াদাওয়াও হয়ে যায় অনিয়মিত। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন বৃদ্ধি হয়।
বিয়ের পরে নতুন কিছু দায়িত্ব এসে পড়ে। সংসারের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রটিও সমান দক্ষতায় সামাল দিতে হয়। ফলে মানসিক চাপ বাড়ে আর তাতে ঘুম কমে। বিয়ের আগে যিনি শরীরচর্চা নিয়ম করে করতেন, বিয়ের পরে সেই অভ্যাসে ভাটা পড়ে অনেক সময়েই। তাতেও ওজন বাড়ে।
বিয়ের আগে অনেক মেয়েই ওজন নিয়ে বেশ সচেতন থাকেন। খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখেন, শরীরচর্চাও শুরু করেন কেউ কেউ। তবে বিয়ের পর সেই তাগিদ পুরোপুরি চলে না গেলেও, বেশির ভাগের ক্ষেত্রে তা কিছুটা কমে যায়। অনেক মহিলাই সংসারের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নিজের প্রতি যত্ন কম নেন। কেউ আবার সময়ের অভাবে শরীরের প্রতি যত্ন নিতে পারেন না। ফলে ওজন বেড়ে যায়। তবে এই সমস্যা শুধু মেয়েদের নয়, ছেলেদেরও। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিয়ের পরে মহিলাদের যতটা ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে, পুরুষদেরও ততটাই হচ্ছে। এর পিছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন গবেষকেরা।
২০১৯ থেকে ২০২১ সাল অবধি ৫২ হাজার ৭৩৭ দম্পতিকে নিয়ে সমীক্ষা চালায় আইসিএমআর। দেখা যায়, বিয়ের ঠিক পর পরই স্বামী ও স্ত্রী দু’জনেরই ওজন বৃদ্ধি হয়েছে। আর তা অল্পস্বল্প নয়, রীতিমতো স্থূলত্বের পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। ওজন তো আর এমনি বাড়ে না, সঙ্গে নানা রোগও নিয়ে আসে। ফলে কারও ধরা পড়ছে ডায়াবিটিস, তো কারও হার্টের রোগ। কেউ আবার উচ্চ কোলেস্টেরল, হাইপারটেনশনের খপ্পরে পড়েছেন।
বিয়ের পরে ওজন বৃদ্ধির এই সমস্যাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পাউজাল ওবেসিটি’। অর্থাৎ, স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই স্থূলত্বের শিকার। আগে মনে করা হত, বিয়ের পরে বুঝি মেয়েদেরই ওজন বাড়ে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ছেলেরাও পিছিয়ে নেই। মেদের পাল্লা দু’দিকেই ভারী।
আইসিএমআরের সঙ্গেই এই সমীক্ষায় যোগ দিয়েছে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ক্যানসার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ’। গবেষকেরা যা জানিয়েছেন, তা চমকে দেওয়ারই মতো। দেশে যত দম্পতি রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে গড়ে প্রায় ২৭.৪ শতাংশই ‘মোটা’। দেশের বড় শহরগুলিতে এই সংখ্যা অনেক বেশি। কেরল, দিল্লি, পঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, মনিপুর, তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্যে খোঁজ চালিয়ে গবেষকেরা দেখেছেন, শহুরে আদবকায়দায় অভ্যস্ত দম্পতিদের প্রায় ৪৭ শতাংশই স্থূলত্বের শিকার। তাঁরা না ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, না খাওয়াদাওয়ায় লাগাম টানছেন। আজ পার্টি, তো কাল বন্ধুদের আড্ডায় ভূরিভোজ। জাঙ্ক ফুড, অ্যালকোহলের ফোয়ারা ছুটছে।
এখনকার সময়ে বেশির ভাগ পরিবারই ছোট। স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই কর্মরত। অনেকেই আলাদা সংসার পাতছেন। কর্মব্যস্ততার কারণে রান্না করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই নেই। অনলাইনে অর্ডার করেই দুপুরের বা রাতের খাওয়া সারছেন। জাঙ্ক ফুডও খাওয়া হচ্ছে দেদার। এই অনিয়মের কারণেও ওজনও বেড়ে চলেছে।
জীবনযাত্রার বদলই সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছে আইসিএমআর। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, বিয়ের পরে একে অপরের জীবনযাপন পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে যেমন তাঁদের খাওয়ার অভ্যাস বদলায়, তেমনই ‘স্লিপ সাইকল’ অর্থাৎ, ঘুমনোর সময়ও বদলে যায়। বিয়ের পর পর নিমন্ত্রণ, আত্মীয়-পরিজনদের সমাগম বাড়ে। খাওয়াদাওয়াও হয়ে যায় অনিয়মিত। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন বৃদ্ধি হয়।
বিয়ের পরে নতুন কিছু দায়িত্ব এসে পড়ে। সংসারের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রটিও সমান দক্ষতায় সামাল দিতে হয়। ফলে মানসিক চাপ বাড়ে আর তাতে ঘুম কমে। বিয়ের আগে যিনি শরীরচর্চা নিয়ম করে করতেন, বিয়ের পরে সেই অভ্যাসে ভাটা পড়ে অনেক সময়েই। তাতেও ওজন বাড়ে।
বিয়ের আগে অনেক মেয়েই ওজন নিয়ে বেশ সচেতন থাকেন। খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখেন, শরীরচর্চাও শুরু করেন কেউ কেউ। তবে বিয়ের পর সেই তাগিদ পুরোপুরি চলে না গেলেও, বেশির ভাগের ক্ষেত্রে তা কিছুটা কমে যায়। অনেক মহিলাই সংসারের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নিজের প্রতি যত্ন কম নেন। কেউ আবার সময়ের অভাবে শরীরের প্রতি যত্ন নিতে পারেন না। ফলে ওজন বেড়ে যায়। তবে এই সমস্যা শুধু মেয়েদের নয়, ছেলেদেরও। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিয়ের পরে মহিলাদের যতটা ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে, পুরুষদেরও ততটাই হচ্ছে। এর পিছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন গবেষকেরা।