হলুদ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক— অনেকেই এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এমনকি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি আয়ুর্বেদেও হলুদের উপকারিতার কথা সবিস্তার বলা আছে। কিন্তু হলুদ কি পুরুষের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কিছু বাড়তি সাহায্য করে?
মহিলা এবং পুরুষের শারীরিক গঠন যেমন আলাদা, তেমনই তাদের হরমোন নিঃসরণেরও রকমফের হয়। তফাত থাকে শরীরের কাজ করার ধরনেও। কাজেই একই খাবারের প্রভাব দুই লিঙ্গের মানুষের শরীরে দু’রকম হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বেশ কিছু গবেষণাও তেমনই বলছে।
হলুদের সবচেয়ে উপকারী উপাদান হল কারকিউমিন। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে ওই কারকিউমিন পুরুষদের জন্য নানা ভাবে উপযোগী।
১। প্রস্টেট ক্যানসার: বয়স বাড়লে পুরুষের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। নিউ ইয়র্ক মেডিক্যাল কলেজের ডিপার্টমেন্ট অফ ইউরোলজির গবেষণা বলছে, হলুদে থাকা কারকিউমিন এই ঝুঁকি কমাতে পারে।
২। পেশির ক্ষমতা: পুরুষদের কায়িক শ্রমের মাত্রা অনেক সময়েই বেশি হয়। বিশেষ করে তাঁদের, যাঁদের কর্মক্ষেত্র, চার দেওয়ালের মধ্যে নয় কিংবা যাঁরা খেলাধূলা করেন। এঁদের ক্ষেত্রে পেশির উপর চাপ পড়ে পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা থেকে পেশিকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে কারকিউমিন। এটি পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
৩। হার্টের স্বাস্থ্য: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে হলুদ। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা বলছে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তা ছাড়া হলুদে রয়েছে প্রদাহনাশক গুণও। জর্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, এতে ধমনী এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। বিশেষ করে ডায়াবিটিসের রোগীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে হলুদ।
৪। প্রজনন ক্ষমতা: সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে পুরুষের শরীরজাত শুক্রাণুর স্বাস্থ্য ভাল থাকা জরুরি। হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে শুক্রাণুর সংখ্যা, ঘনত্ব এবং গতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে দেখা গিয়েছে ইরানের কাজ়ভিন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়।
৫। পুরুষত্বে: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে পুরুষের যৌন কামনা এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের ক্ষেত্রেও হলুদে থাকা কারকিউমিন কার্যকরী। নাইজেরিয়ার ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির বায়োকেমিস্ট্রি বিষয়ক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মানসিক চাপ এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রায় বদলের কারণে পুরুষত্বের যে সমস্যা দেখা দেয়, তা নিরাময়েও সাহায্য করতে পারে হলুদ এবং আদার নির্যাস।
৬। অস্থিসন্ধির ব্যথা: বয়স চল্লিশ পেরনোর পরে বহু পুরুষের শরীরে অস্থিসন্ধির ব্যথা শুরু হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আদার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে ওই ধরনের ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
৭। চাপমুক্তি: বিশ্বের বহু দেশে এখনও পুরুষই অধিকাংশ পরিবারের মাথায় থাকেন। তাঁরা যদি কর্মরত হন, তবে পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র— উভয় ক্ষেত্রেরই চাপ মাথায় নিতে হয়। কারকিউমিন সেই চাপ কমাতে সাহায্য করে। এমনকি, হতাশা এবং উদ্বেগের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
মহিলা এবং পুরুষের শারীরিক গঠন যেমন আলাদা, তেমনই তাদের হরমোন নিঃসরণেরও রকমফের হয়। তফাত থাকে শরীরের কাজ করার ধরনেও। কাজেই একই খাবারের প্রভাব দুই লিঙ্গের মানুষের শরীরে দু’রকম হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বেশ কিছু গবেষণাও তেমনই বলছে।
হলুদের সবচেয়ে উপকারী উপাদান হল কারকিউমিন। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে ওই কারকিউমিন পুরুষদের জন্য নানা ভাবে উপযোগী।
১। প্রস্টেট ক্যানসার: বয়স বাড়লে পুরুষের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। নিউ ইয়র্ক মেডিক্যাল কলেজের ডিপার্টমেন্ট অফ ইউরোলজির গবেষণা বলছে, হলুদে থাকা কারকিউমিন এই ঝুঁকি কমাতে পারে।
২। পেশির ক্ষমতা: পুরুষদের কায়িক শ্রমের মাত্রা অনেক সময়েই বেশি হয়। বিশেষ করে তাঁদের, যাঁদের কর্মক্ষেত্র, চার দেওয়ালের মধ্যে নয় কিংবা যাঁরা খেলাধূলা করেন। এঁদের ক্ষেত্রে পেশির উপর চাপ পড়ে পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা থেকে পেশিকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে কারকিউমিন। এটি পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
৩। হার্টের স্বাস্থ্য: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে হলুদ। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা বলছে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তা ছাড়া হলুদে রয়েছে প্রদাহনাশক গুণও। জর্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, এতে ধমনী এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। বিশেষ করে ডায়াবিটিসের রোগীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে হলুদ।
৪। প্রজনন ক্ষমতা: সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে পুরুষের শরীরজাত শুক্রাণুর স্বাস্থ্য ভাল থাকা জরুরি। হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে শুক্রাণুর সংখ্যা, ঘনত্ব এবং গতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে দেখা গিয়েছে ইরানের কাজ়ভিন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়।
৫। পুরুষত্বে: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে পুরুষের যৌন কামনা এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের ক্ষেত্রেও হলুদে থাকা কারকিউমিন কার্যকরী। নাইজেরিয়ার ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির বায়োকেমিস্ট্রি বিষয়ক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মানসিক চাপ এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রায় বদলের কারণে পুরুষত্বের যে সমস্যা দেখা দেয়, তা নিরাময়েও সাহায্য করতে পারে হলুদ এবং আদার নির্যাস।
৬। অস্থিসন্ধির ব্যথা: বয়স চল্লিশ পেরনোর পরে বহু পুরুষের শরীরে অস্থিসন্ধির ব্যথা শুরু হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আদার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে ওই ধরনের ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
৭। চাপমুক্তি: বিশ্বের বহু দেশে এখনও পুরুষই অধিকাংশ পরিবারের মাথায় থাকেন। তাঁরা যদি কর্মরত হন, তবে পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র— উভয় ক্ষেত্রেরই চাপ মাথায় নিতে হয়। কারকিউমিন সেই চাপ কমাতে সাহায্য করে। এমনকি, হতাশা এবং উদ্বেগের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে সাহায্য করে।