ঠোঁট থেকে লিপ ফিলার সরাতে গিয়ে মুখ ফুলে ঢোল হয়েছে উর্ফি জাভেদের। সে খবর, তার ছবি— দেখে ফেলেছে গোটা দুনিয়া। এ সব কথা চট করে মানুষ বলতে চায় না। কিন্তু উর্ফি লাজলজ্জার পরোয়া না করে নিজেই শেয়ার করেছেন ফোলা গাল-ফোলা ঠোঁটের বিচিত্র দর্শন মুখের ভিডিয়ো। তিনি বলেছেন, ‘‘লিপ ফিলারটা ভুল জায়গায় দেওয়া হয়েছিল। সেটাই সরাতে গিয়ে এই অবস্থা। তা বলে ভাববেন না, আমি ফিলার্সের বিরুদ্ধে। এটা ঠিক হয়ে গেলেই আমি আবার ঠোঁটে ফিলার্স নেব। এ বার নির্ভুল ভাবে।’’ সৎ সাহস? হবেও বা। তবে উর্ফির ওই সাহস দেখে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে, মেয়েটার একটুও ভয় হল না? কৃত্রিম ভাবে সুন্দর হওয়ার কথা বলতে গিয়ে এক বারও মনে হল না লোকে নিন্দেমন্দ করতে পারে? তবে হালের কয়েকটি ঘটনা অন্য কথা বলছে। দেখা যাচ্ছে, সুন্দর হওয়ার জন্য কারিকুরির কথা বুক বাজিয়ে বলতে পারাই এখন ট্রেন্ড।
সাম্প্রতিক উদাহরণ অভিনেত্রী খুশি কপূর। ফিল্ম প্রযোজক বনি কপূর আর শ্রীদেবীর কনিষ্ঠা কন্যা খুশি। দিদি জাহ্নবী কপূর বলিউডের তথাকথিত ‘সুন্দরী’ নায়িকা। পরিবারের আরও অনেকে রয়েছেন সিনেমা জগতে। তাই খুশি কী করছেন না করছেন, সে দিকে অনেকের নজর থাকে। সেই তিনিও খানিকটা উর্ফির মতো ঘোষণা করেছেন, প্লাস্টিক সার্জারি করানোর কথা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি প্লাস্টিক সার্জারিতে আপত্তিকর কিছু দেখি না। কোনও কিছু যদি তোমাকে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে, যদি তাতে তোমার ভাল লাগে, তা হতে ক্ষতিটা কোথায়?’’
প্লাস্টিক সার্জারি করানোর কথা স্বীকার করেছেন কমল হাসনের কন্যা শ্রুতি হাসনও। মাস পাঁচেক আগে ইনস্টাগ্রামে অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরের ছবি দিয়ে শ্রুতি লেখেন, ‘‘এটা আমার জীবন, আমার মুখ। হ্যাঁ, আমি প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছি। আর তার জন্য আমি লজ্জিত নই।’’
সিনেমাজগতের তারকাদের অস্ত্রোপচার করিয়ে সুন্দর হওয়ার চেষ্টা নতুন কিছু নয়। বছর দশেক আগেও হয়েছে। কেউ ঠোঁটের আকার বদলেছেন। তো কেউ নাকের। শিল্পা শেট্টি থেকে শুরু করে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন— বাদ যাননি কেউই। হলিউডের নায়িকারা থুতনি, ঠোঁট, এমনকি, স্তনের আকারও বদলেছেন প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে। সে কথা সকলে বুঝতেনও। কিন্তু মুখফুটে তা বলা তো দূর, প্রকাশ করার কথা ভাবতেনই না কেউ। ভাবটা এমন ছিল, হঠাৎ যেন আমার চোখ-নাক-মুখ সুন্দর হয়ে গিয়েছে। সেই মিথ্যা লোকে বুঝলেও সমালোচনার জায়গা ছিল কম। কিন্তু এখন আর তা নয়।
এখন নেটাগরিকেরা তাঁদের মনগড়া স্বাভাবিকত্বের সীমারেখায় কড়া নজর রেখে বসে থাকেন। একটু এ দিক-ও দিক হলেই বিচারসভা বসান, চলে নিষ্ঠুর সমালোচনা। ব্যঙ্গচিত্রে ছেয়ে যায় সমাজমাধ্যমের পাতা। হয়তো তাই এখন নিজে থেকেই এগিয়ে এসে সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নায়িকারা।
২০১৫ সালে উর্ফির মতো লিপ ফিলার্সের কথা স্বীকার করেছিলেন সুপারমডেল কাইলি জেনার। তার পরে একে একে ব্রিটনি স্পিয়ার্স, কিম কার্দাশিয়ান, গিনেথ প্যালট্রো, সিন্ডি ক্রাফোর্ড, নিকোল কিডম্যান, কেটি পেরির মতো হলিউড তারকারাও প্লাস্টিক সার্জারি করানোর কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। আর এখন বলিউডও সেই পথেই চলতে শুরু করেছে।
আসলে সমাজমাধ্যমে খাপ পঞ্চায়েত সব ক্ষেত্রেই বসবে। তারা কৃত্রিম ভাবে সুন্দর হলেও সমালোচনা করবে আবার প্রাকৃতিক নিয়মে তথাকথিত বাহ্যিক রূপ নষ্ট হলেও তা নিয়ে কথা বলতে ছাড়বে না। প্রমাণ হিসাবে বলা যেতে পারে ঐশ্বর্যার কথা। যাঁর সৌন্দর্যে এক সময়ে আবেগে গলে পড়তেন নেটাগরিকেরা, তাঁরাই ঐশ্বর্যা মা হওয়ার পরে মোটা হয়ে যাওয়ায় তাঁকে ‘কুৎসিত দেখতে বুড়ি’ বলে গালমন্দ করেছেন। আসলে সমাজমাধ্যমে যেহেতু ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকা যায়, তাই সেখানে যা খুশি তাই বলাও যায়। ভদ্রতার আগল সহজেই খুলে ফেলেন সাধারণ মানুষ। তাই যদি হবে তবে সুন্দর থেকে সমালোচনা শোনাই ভাল! অন্তত তাতে নিজেকে নিজের ভাল লাগবে। সম্ভবত এমনটাই ভাবছে বলিউডের নয়া প্রজন্মের অভিনেত্রীরা। অন্তত খুশি, উর্ফি, শ্রুতির কথা শুনে তেমনই মনে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক উদাহরণ অভিনেত্রী খুশি কপূর। ফিল্ম প্রযোজক বনি কপূর আর শ্রীদেবীর কনিষ্ঠা কন্যা খুশি। দিদি জাহ্নবী কপূর বলিউডের তথাকথিত ‘সুন্দরী’ নায়িকা। পরিবারের আরও অনেকে রয়েছেন সিনেমা জগতে। তাই খুশি কী করছেন না করছেন, সে দিকে অনেকের নজর থাকে। সেই তিনিও খানিকটা উর্ফির মতো ঘোষণা করেছেন, প্লাস্টিক সার্জারি করানোর কথা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি প্লাস্টিক সার্জারিতে আপত্তিকর কিছু দেখি না। কোনও কিছু যদি তোমাকে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে, যদি তাতে তোমার ভাল লাগে, তা হতে ক্ষতিটা কোথায়?’’
প্লাস্টিক সার্জারি করানোর কথা স্বীকার করেছেন কমল হাসনের কন্যা শ্রুতি হাসনও। মাস পাঁচেক আগে ইনস্টাগ্রামে অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরের ছবি দিয়ে শ্রুতি লেখেন, ‘‘এটা আমার জীবন, আমার মুখ। হ্যাঁ, আমি প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছি। আর তার জন্য আমি লজ্জিত নই।’’
সিনেমাজগতের তারকাদের অস্ত্রোপচার করিয়ে সুন্দর হওয়ার চেষ্টা নতুন কিছু নয়। বছর দশেক আগেও হয়েছে। কেউ ঠোঁটের আকার বদলেছেন। তো কেউ নাকের। শিল্পা শেট্টি থেকে শুরু করে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন— বাদ যাননি কেউই। হলিউডের নায়িকারা থুতনি, ঠোঁট, এমনকি, স্তনের আকারও বদলেছেন প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে। সে কথা সকলে বুঝতেনও। কিন্তু মুখফুটে তা বলা তো দূর, প্রকাশ করার কথা ভাবতেনই না কেউ। ভাবটা এমন ছিল, হঠাৎ যেন আমার চোখ-নাক-মুখ সুন্দর হয়ে গিয়েছে। সেই মিথ্যা লোকে বুঝলেও সমালোচনার জায়গা ছিল কম। কিন্তু এখন আর তা নয়।
এখন নেটাগরিকেরা তাঁদের মনগড়া স্বাভাবিকত্বের সীমারেখায় কড়া নজর রেখে বসে থাকেন। একটু এ দিক-ও দিক হলেই বিচারসভা বসান, চলে নিষ্ঠুর সমালোচনা। ব্যঙ্গচিত্রে ছেয়ে যায় সমাজমাধ্যমের পাতা। হয়তো তাই এখন নিজে থেকেই এগিয়ে এসে সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নায়িকারা।
২০১৫ সালে উর্ফির মতো লিপ ফিলার্সের কথা স্বীকার করেছিলেন সুপারমডেল কাইলি জেনার। তার পরে একে একে ব্রিটনি স্পিয়ার্স, কিম কার্দাশিয়ান, গিনেথ প্যালট্রো, সিন্ডি ক্রাফোর্ড, নিকোল কিডম্যান, কেটি পেরির মতো হলিউড তারকারাও প্লাস্টিক সার্জারি করানোর কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। আর এখন বলিউডও সেই পথেই চলতে শুরু করেছে।
আসলে সমাজমাধ্যমে খাপ পঞ্চায়েত সব ক্ষেত্রেই বসবে। তারা কৃত্রিম ভাবে সুন্দর হলেও সমালোচনা করবে আবার প্রাকৃতিক নিয়মে তথাকথিত বাহ্যিক রূপ নষ্ট হলেও তা নিয়ে কথা বলতে ছাড়বে না। প্রমাণ হিসাবে বলা যেতে পারে ঐশ্বর্যার কথা। যাঁর সৌন্দর্যে এক সময়ে আবেগে গলে পড়তেন নেটাগরিকেরা, তাঁরাই ঐশ্বর্যা মা হওয়ার পরে মোটা হয়ে যাওয়ায় তাঁকে ‘কুৎসিত দেখতে বুড়ি’ বলে গালমন্দ করেছেন। আসলে সমাজমাধ্যমে যেহেতু ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকা যায়, তাই সেখানে যা খুশি তাই বলাও যায়। ভদ্রতার আগল সহজেই খুলে ফেলেন সাধারণ মানুষ। তাই যদি হবে তবে সুন্দর থেকে সমালোচনা শোনাই ভাল! অন্তত তাতে নিজেকে নিজের ভাল লাগবে। সম্ভবত এমনটাই ভাবছে বলিউডের নয়া প্রজন্মের অভিনেত্রীরা। অন্তত খুশি, উর্ফি, শ্রুতির কথা শুনে তেমনই মনে হচ্ছে।