ক্লান্তি আর ঝিমুনি যেন সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। উঠতে-বসতে টান ধরে পেশিতে। সিঁড়ি ভাঙতে গেলেন, দুই-তিন ধাপ উঠেই হাঁপিয়ে গেলেন। বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ড অবধি হাঁটতেও যেন দম বেরিয়ে গেল। একটু বেশি পরিশ্রম মানেই গায়ে, হাত-পায়ে নিদারুণ ব্যথা। ঘুমিয়ে উঠেও ক্লান্তি যাচ্ছে না। এমন সমস্যা কমবেশি সকলেরই। ব্যথাবেদনার জন্য কেউ দোষ দিচ্ছেন বৃষ্টির স্যাঁতসেঁতে মরসুমকে, তো কেউ একটানা বসে কাজকে। দুই কারণই ঠিক, তবে আরও কিছু কারণ আছে। তা হল ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি। খিদে পেলেই রোল-চাউমিন বা পিৎজ়া-বার্গারে মন ভরে ঠিকই, কিন্তু শরীর ভিটামিন পায় না। যে কারণেই পেশির সক্রিয়তা কমে ও ব্যথাবেদনা ভোগায়। তিন ভিটামিন এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে তাদের সঙ্গে আরও একটি জিনিসের প্রয়োজন।
গায়ের ব্যথা কমাতে রোদে কিছুক্ষণ শরীর সেঁকে নিতে বলেন বাড়ির বড়রা। তাতে ভিটামিন ডি ভরপুর পাওয়া যায়। তবে একটানা গনগনে রোদে দাঁড়ানো তো সম্ভব নয়। সে সময়ও নেই। অগত্যা ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে বা এনার্জি ড্রিঙ্কে গলা ভিজিয়ে সমাধানের সহজ উপায় খোঁজার চেষ্টাই হয়। তাতে তো লাভ হয়ই না। উল্টে ব্যথানাশক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আর এনার্জি ড্রিঙ্কের একগাদা চিনি শরীরে ঢুকে হিতে বিপরীত হয়। ক্লান্তি কাটাতে কোনও বাজারচলতি এনার্জি ড্রিঙ্কের প্রয়োজন নেই, তিন ভিটামিনই যথেষ্ট— ভিটামিন ডি২, ডি৩ এবং কে২। সঙ্গে অবশ্যই ম্যাগনেশিয়াম।
ভিটামিন ডি২ ও ডি৩ আসলে ভিটামিন ডি-এরই দু’টি প্রকার। তবে এদের উৎস আলাদা। ভিটামিন ডি৩ শরীরেই তৈরি হয়। এই ভিটামিনই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাব হলেই হাড় ভঙ্গুর হতে পারে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আর ভিটামিন ডি২ শরীরে তৈরি হয় না। এটি মূলত উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে পাওয়া যায়। এই দুই ভিটামিনের অভাব হলে পেশির শক্তি কমে, স্নায়বিক রোগও দেখা দিতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এদের বিশেষ ভূমিকা আছে। পাশাপাশি এই দুই ভিটামিন মনও ভাল রাখে। মাশরুম, ছত্রাক, উদ্ভিজ্জ দুধ, যেমন আমন্ড মিল্ক, সয়া মিল্ক, নারকেলের দুধ, কমলালেবুর রসে এই দুই ভিটামিন থাকে। তা ছাড়া সাপ্লিমেন্ট থেকেও নেওয়া যেতে পারে।
ভিটামিন কে হল এমন এক ভিটামিন যা ক্যালশিয়ামের মতোই হাড় ও পেশির শক্তি বাড়াতে পারে। পালংশাক, নটেশাক, সর্ষে শাক বা যেকোনও ধরনের শাক পাতাতেই ভিটামিন কে রয়েছে। যেকোনও মজানো খাবারে ভিটামিন কে থাকে বেশি। ব্রোকোলি, বাঁধাকপি, জামের মতো ফলে এবং সয়াবিন, ডিমের কুসুম, মুরগির মাংশে ভরপুর ভিটামিন কে থাকে।
ভিটামিনকে যদি কার্যকরী করতে হয়, তা হলে এর সঙ্গে আরও একটি খনিজ জরুরি, তা হল ম্যাগনেশিয়াম। পাবমেড থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেলে তার সঙ্গে এমন খাবার খেতে হবে যাতে ম্যাগনেশিয়াম ভরপুর মাত্রায় রয়েছে। অর্থাৎ ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম মেলালে তবেই তা শরীরে ভাল কাজ করবে। ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেশিয়ামের মিশেল জীবাণু সংক্রমণ থেকেও বাঁচাবে। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগ থেকে বাঁচতেও ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারই খেতে হবে। ওট্স, ডালিয়ার মতো দানাশ্য, ভেটকি, বাসা, পমফ্রেটের মতো সামুদ্রিক মাছে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ম্যাগনেশিয়ামের জন্য খেতে পারেন পালং শাক, কাঠবাদাম, ডার্ক চকোলেট।
গায়ের ব্যথা কমাতে রোদে কিছুক্ষণ শরীর সেঁকে নিতে বলেন বাড়ির বড়রা। তাতে ভিটামিন ডি ভরপুর পাওয়া যায়। তবে একটানা গনগনে রোদে দাঁড়ানো তো সম্ভব নয়। সে সময়ও নেই। অগত্যা ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে বা এনার্জি ড্রিঙ্কে গলা ভিজিয়ে সমাধানের সহজ উপায় খোঁজার চেষ্টাই হয়। তাতে তো লাভ হয়ই না। উল্টে ব্যথানাশক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আর এনার্জি ড্রিঙ্কের একগাদা চিনি শরীরে ঢুকে হিতে বিপরীত হয়। ক্লান্তি কাটাতে কোনও বাজারচলতি এনার্জি ড্রিঙ্কের প্রয়োজন নেই, তিন ভিটামিনই যথেষ্ট— ভিটামিন ডি২, ডি৩ এবং কে২। সঙ্গে অবশ্যই ম্যাগনেশিয়াম।
ভিটামিন ডি২ ও ডি৩ আসলে ভিটামিন ডি-এরই দু’টি প্রকার। তবে এদের উৎস আলাদা। ভিটামিন ডি৩ শরীরেই তৈরি হয়। এই ভিটামিনই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাব হলেই হাড় ভঙ্গুর হতে পারে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আর ভিটামিন ডি২ শরীরে তৈরি হয় না। এটি মূলত উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে পাওয়া যায়। এই দুই ভিটামিনের অভাব হলে পেশির শক্তি কমে, স্নায়বিক রোগও দেখা দিতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এদের বিশেষ ভূমিকা আছে। পাশাপাশি এই দুই ভিটামিন মনও ভাল রাখে। মাশরুম, ছত্রাক, উদ্ভিজ্জ দুধ, যেমন আমন্ড মিল্ক, সয়া মিল্ক, নারকেলের দুধ, কমলালেবুর রসে এই দুই ভিটামিন থাকে। তা ছাড়া সাপ্লিমেন্ট থেকেও নেওয়া যেতে পারে।
ভিটামিন কে হল এমন এক ভিটামিন যা ক্যালশিয়ামের মতোই হাড় ও পেশির শক্তি বাড়াতে পারে। পালংশাক, নটেশাক, সর্ষে শাক বা যেকোনও ধরনের শাক পাতাতেই ভিটামিন কে রয়েছে। যেকোনও মজানো খাবারে ভিটামিন কে থাকে বেশি। ব্রোকোলি, বাঁধাকপি, জামের মতো ফলে এবং সয়াবিন, ডিমের কুসুম, মুরগির মাংশে ভরপুর ভিটামিন কে থাকে।
ভিটামিনকে যদি কার্যকরী করতে হয়, তা হলে এর সঙ্গে আরও একটি খনিজ জরুরি, তা হল ম্যাগনেশিয়াম। পাবমেড থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেলে তার সঙ্গে এমন খাবার খেতে হবে যাতে ম্যাগনেশিয়াম ভরপুর মাত্রায় রয়েছে। অর্থাৎ ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম মেলালে তবেই তা শরীরে ভাল কাজ করবে। ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেশিয়ামের মিশেল জীবাণু সংক্রমণ থেকেও বাঁচাবে। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগ থেকে বাঁচতেও ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারই খেতে হবে। ওট্স, ডালিয়ার মতো দানাশ্য, ভেটকি, বাসা, পমফ্রেটের মতো সামুদ্রিক মাছে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ম্যাগনেশিয়ামের জন্য খেতে পারেন পালং শাক, কাঠবাদাম, ডার্ক চকোলেট।