যত দিন যাচ্ছে, ততই খাওয়ার জিনিসের রূপচর্চায় প্রয়োগ নিয়ে চর্চা বাড়ছে। এমনই একটি জিনিস হল রাইস পেপার। ভিয়েতনামি এবং চাইনিজ় খাবারে রাইস পেপার অর্থাৎ চাল দিয়ে তৈরি পাতলা ফিনফিনে একটি শিট ব্যবহার হয়। রেস্তরাঁয় এই সমস্ত খাবার বেশ জনপ্রিয়ও। বাড়িতেও অনেকে রন্ধনপ্রণালী জেনে রাইস পেপার দিয়ে খাবার বানান।
সেই জিনিসটি ব্যবহার করেই তৈরি হচ্ছে শিট মাস্ক। অনেকেই তা ব্যবহার করছেন এবং ফলও পাচ্ছেন। নিজেরাই সে কথা সমাজমাধ্যমে জানাচ্ছেনও। কিন্তু কী এমন আছে এতে, যার গুণে ত্বক হয় উজ্জ্বল এবং টানটান?
চালের জল দিয়ে চুল এবং ত্বকের পরিচর্চা কোরিয়ার জনপ্রিয় পদ্ধতি। কোরিয়ানদের মসৃণ দাগহীন ত্বক এবং মোলায়েম চুল ইদানীং বিশ্বের নজর কেড়েছে। বহু দেশের তরুণ প্রজন্মই এমন সৌন্দর্যের নেপথ্য-কথা জানতে চান, তা ব্যবহার করে সুন্দর হতে চান। সেই কারণেই কোরিয়ান রূপচর্চার কৌশল নিয়ে এত উন্মাদনা।
চালের জলের গুণাগুণ
চালের জলে থাকে ফেরুলিক অ্যাসিড, যা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট জরুরি। চালে থাকা প্রদাহনাশক উপাদান ত্বকের জ্বালা ভাব, র্যাশ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকে অসংখ্য ছিদ্র থাকে। কারও কারও সেই রন্ধ্রগুলি বেশি বড় এবং উন্মুক্ত হয়, যা মুখের মসৃণতা নষ্ট করে। চালের জল উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলিকে সঙ্কুচিত করে ত্বক টানটান এবং মসৃণ করতে সাহায্য করে এটি।
চাল ভিজিয়ে বেটে খুব পাতলা করে, বাষ্পে ভাপিয়ে এই শিট তৈরি করা হয়। তবে বাড়িতে বানানো নয়, বাজারচলতি রাইস পেপার দিয়েই রূপচর্চার চল তৈরি হয়েছে।
কী ভাবে বানাবেন রাইস পেপার শিট মাস্ক?
শিট মাস্ক হল মুখের আকারের মতোই একটা পাতলা-নরম কাপড়ের মতো জিনিস, যা ত্বকের উপযোগী বিভিন্ন উপাদানে ভরপুর সিরামে ভেজানো অবস্থায় পাওয়া যায়। দেখতে ফেশিয়াল মাস্কের মতোই। প্যাকেটবন্দি অবস্থায় থাকে। ব্যবহারে ঝক্কি নেই। শুধু মুখ পরিষ্কার করে শিটটি চোখ, নাক, ঠোঁটের জায়গা বুঝে খাপের মতো বসিয়ে দিলেই হল। এ ক্ষেত্রে রাইস পেপারের নির্দিষ্ট জায়গা কাঁচি দিয়ে সাবধানে কেটে নিতে হবে, তার পর সেটি মুখে বসাতে হবে।
রাইস পেপারটি জলে ভিজিয়ে মুখে বসিয়ে নেওয়া যায়। মিনিট দশেকে পাতলা জিনিসটি ত্বকের উপর আটকে যাবে। তার পর সেটি টানলেই ছিঁড়ে ছিঁড়ে উঠে আসবে। চালের গুণে এমন মাস্কেই ত্বক হয় টানটান, সুন্দর।
তবে বেশি উপকার পেতে আরও নানা ভাবে তা ব্যবহার করা যায়। শিট মাস্কে থাকে নানা রকম সিরাম। যা ত্বকে গিয়ে পুষ্টি জোগায়। তেমনই ডিমের সাদা অংশে রাইস পেপার ভিজিয়ে সেটি মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন থাকে, যা ত্বক টানটান করতে সহায়ক। বলিরেখা কমাতেও এই কৌশল বিশেষ কাজের।
অ্যালো ভেরা এবং গোলাপজল ভাল করে মিশিয়ে তাতে রাইস পেপার ভিজিয়েও শিট মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
বাজারচলতি শিট মাস্কে ভিটামিন সি, নায়াসিনামাইডের মতো উপাদান থাকে। যা ত্বকের পক্ষে উপযোগী। কিনেও তা ব্যবহার করতে পারেন। চালের জল দিয়ে তৈরি শিটমাস্কও মাখতে পারেন।
তবে কেনা রাইস পেপারে অনেক সময় ময়দা, নুন, চিনি বা এমন অনেক কিছু ব্যবহার হয়, যা ত্বকের পক্ষে উপযোগী নয়। রাইস পেপার ব্যবহারের আগে তা কী ভাবে তৈরি জানতে উপকরণের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া জরুরি।
সেই জিনিসটি ব্যবহার করেই তৈরি হচ্ছে শিট মাস্ক। অনেকেই তা ব্যবহার করছেন এবং ফলও পাচ্ছেন। নিজেরাই সে কথা সমাজমাধ্যমে জানাচ্ছেনও। কিন্তু কী এমন আছে এতে, যার গুণে ত্বক হয় উজ্জ্বল এবং টানটান?
চালের জল দিয়ে চুল এবং ত্বকের পরিচর্চা কোরিয়ার জনপ্রিয় পদ্ধতি। কোরিয়ানদের মসৃণ দাগহীন ত্বক এবং মোলায়েম চুল ইদানীং বিশ্বের নজর কেড়েছে। বহু দেশের তরুণ প্রজন্মই এমন সৌন্দর্যের নেপথ্য-কথা জানতে চান, তা ব্যবহার করে সুন্দর হতে চান। সেই কারণেই কোরিয়ান রূপচর্চার কৌশল নিয়ে এত উন্মাদনা।
চালের জলের গুণাগুণ
চালের জলে থাকে ফেরুলিক অ্যাসিড, যা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট জরুরি। চালে থাকা প্রদাহনাশক উপাদান ত্বকের জ্বালা ভাব, র্যাশ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকে অসংখ্য ছিদ্র থাকে। কারও কারও সেই রন্ধ্রগুলি বেশি বড় এবং উন্মুক্ত হয়, যা মুখের মসৃণতা নষ্ট করে। চালের জল উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলিকে সঙ্কুচিত করে ত্বক টানটান এবং মসৃণ করতে সাহায্য করে এটি।
চাল ভিজিয়ে বেটে খুব পাতলা করে, বাষ্পে ভাপিয়ে এই শিট তৈরি করা হয়। তবে বাড়িতে বানানো নয়, বাজারচলতি রাইস পেপার দিয়েই রূপচর্চার চল তৈরি হয়েছে।
কী ভাবে বানাবেন রাইস পেপার শিট মাস্ক?
শিট মাস্ক হল মুখের আকারের মতোই একটা পাতলা-নরম কাপড়ের মতো জিনিস, যা ত্বকের উপযোগী বিভিন্ন উপাদানে ভরপুর সিরামে ভেজানো অবস্থায় পাওয়া যায়। দেখতে ফেশিয়াল মাস্কের মতোই। প্যাকেটবন্দি অবস্থায় থাকে। ব্যবহারে ঝক্কি নেই। শুধু মুখ পরিষ্কার করে শিটটি চোখ, নাক, ঠোঁটের জায়গা বুঝে খাপের মতো বসিয়ে দিলেই হল। এ ক্ষেত্রে রাইস পেপারের নির্দিষ্ট জায়গা কাঁচি দিয়ে সাবধানে কেটে নিতে হবে, তার পর সেটি মুখে বসাতে হবে।
রাইস পেপারটি জলে ভিজিয়ে মুখে বসিয়ে নেওয়া যায়। মিনিট দশেকে পাতলা জিনিসটি ত্বকের উপর আটকে যাবে। তার পর সেটি টানলেই ছিঁড়ে ছিঁড়ে উঠে আসবে। চালের গুণে এমন মাস্কেই ত্বক হয় টানটান, সুন্দর।
তবে বেশি উপকার পেতে আরও নানা ভাবে তা ব্যবহার করা যায়। শিট মাস্কে থাকে নানা রকম সিরাম। যা ত্বকে গিয়ে পুষ্টি জোগায়। তেমনই ডিমের সাদা অংশে রাইস পেপার ভিজিয়ে সেটি মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন থাকে, যা ত্বক টানটান করতে সহায়ক। বলিরেখা কমাতেও এই কৌশল বিশেষ কাজের।
অ্যালো ভেরা এবং গোলাপজল ভাল করে মিশিয়ে তাতে রাইস পেপার ভিজিয়েও শিট মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
বাজারচলতি শিট মাস্কে ভিটামিন সি, নায়াসিনামাইডের মতো উপাদান থাকে। যা ত্বকের পক্ষে উপযোগী। কিনেও তা ব্যবহার করতে পারেন। চালের জল দিয়ে তৈরি শিটমাস্কও মাখতে পারেন।
তবে কেনা রাইস পেপারে অনেক সময় ময়দা, নুন, চিনি বা এমন অনেক কিছু ব্যবহার হয়, যা ত্বকের পক্ষে উপযোগী নয়। রাইস পেপার ব্যবহারের আগে তা কী ভাবে তৈরি জানতে উপকরণের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া জরুরি।