জীবনের কঠিন সময় পেরিয়ে ভাল থাকার চাবিকাঠি খুঁজে পেয়েছেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। এখন তিনি বাকিদের ভাল থাকতে শেখান। শরীর ভাল রাখার নানা জরুরি বিষয় নিয়ে কথা বলেন তাঁর নিজস্ব পডকাস্টে। সেখানে সামান্থার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেন চিকিৎসকেরা। সম্প্রতি তেমনই এক আলোচনায় সামান্থা কথা বলেছেন শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ে।
ইস্ট্রোজেন একটি হরমোন। যার মাত্রা ব্যক্তিবিশেষে বদলাতে পারে। কারও শরীরে ইস্ট্রোজেন বেশি থাকে। কারও কম। কিন্তু ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি হলে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। যার মধ্যে অন্যতম মহিলাদের স্তন ক্যানসার। শরীরে ইস্ট্রোজেন বাড়লে কী কী সমস্যা হতে পারে, সামান্থার সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন স্ত্রীরোগ বিষয়ক পুষ্টিবিদ রাশি চৌধরি।
শরীরে ইস্ট্রোজেন বেশি থাকলে কী সমস্যা হতে পারে?
শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার থেকে বেড়ে গেলে মহিলা এবং পুরুষ, উভয়ের ক্ষেত্রেই কিছু শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে
১। ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে: ইস্ট্রোজেনের মাত্রা অতিরিক্ত বাড়লে বিশেষ করে তার সঙ্গে যদি প্রোজেস্টিনের মাত্রাও বাড়ে তবে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। শুধু ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়লে তা জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
২। মেজাজে বদল: ক্ষণে ক্ষণে মেজাজ বদলে যাওয়া মাত্রাতিরিক্ত ইস্ট্রোজেনের লক্ষণ হতে পারে।
৩। মিলনেচ্ছা কমে যাওয়া: মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি হলে মিলনেচ্ছা কম হতে পারে।
৪। ওজন বৃদ্ধি: শরীরে অতিরিক্তি মাত্রায় ইস্ট্রোজেন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে।
৫। মাথা ধরা, ক্লান্তিবোধ: দ্রুত ক্লান্তিবোধ, তা থেকে মাথা ধরাও ইস্ট্রোজেন বেশি থাকার লক্ষণ হতে পারে।
৬। জরায়ুর নানা রোগ: ফাইব্রয়েড, এন্ডোমেট্রিয়োসিস, পলিপের মতো জরায়ুর রোগ হতে পারে মহিলাদের ইস্ট্রোজেন বেশি থাকলে। এমনকি, ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা খুব অল্পমাত্রায় রক্তক্ষরণও হতে পারে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি হলে। অনেকের অনিয়মিত ঋতুস্রাবও হতে পারে।
মেয়েদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ইস্ট্রোজেন।
মেয়েদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ইস্ট্রোজেন।
পুরুষের ক্ষেত্রে
পুরুষদের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়লেও দেখা দিতে পারে নানা রকম জটিলতা—
১। বন্ধ্যত্ব
২। গাইনেকোমাস্টিয়া বা বুকে মেদ জমা
৩। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন
৪। মনমেজাজ ভাল না থাকা
৫। মিলনেচ্ছা কমে যাওয়া
এ ছাড়া ইস্ট্রোজেন বাড়লে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা তৈরি হতে পারে। বয়ঃসন্ধির সময় বাড়ের সমস্যা হতে পারে, এমনকি হরমোনের চিকিৎসার জন্য ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধি করা হলে তা থেকে লিভারের রোগ, গল ব্লাডারে স্টোন, এমনকি লিভারের ক্যানসারও হতে পারে।
কী ভাবে বুঝবেন ইস্ট্রোজেন বেশি?
সামান্থার প্রশ্নে পুষ্টিবিদ রাশি বলছেন, ‘‘মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি স্তন ভারী লাগে, যদি মুখে ব্রণ বেশি হয় বা যদি দেখেন ওজন সহজে কমতে চাইছে না, থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, তবে আপনার ইস্ট্রোজেনের মাত্রা অতিরিক্ত বেশি।’’ পুরুষদের উপরোক্ত সমস্যাগুলি দেখা দিলে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বুঝতে পারেন।
পুরুষের বুকের ছাতিতে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে ইস্ট্রোজেন বাড়লে।
পুরুষের বুকের ছাতিতে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে ইস্ট্রোজেন বাড়লে।
কী ভাবে সতর্ক হবেন?
শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জীবনযাপনে কিছু বদল আনা যেতে পারে।
১। ভাজাভুজি না খাওয়া : পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় বা ভাজাভুজি খাবার ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ডুবো তেলে ভাজা যে কোনও খাবার নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সমস্যা বাড়বে।
২। মিষ্টি জাতীয় খাবার: চকোলেট, মিষ্টি, আইসক্রিম জাতীয় খাবার শরীরে ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। যা পরে প্রভাব ফেলে জরায়ুতে।
৩। ময়দায় তৈরি খাবার: ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার, যেমন কেক, বিস্কুট, পাস্তা বা অন্যান্য খাবার বেশি খেলে তা থেকেও ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধির ভয় থাকে।
৪। নিয়মিত শরীরচর্চা: স্ত্রীরোগ চিকিৎসকেরা বলছেন নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৫। খাবার যখন ওষুধ: নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার রাখলে তা হরমোনের সামঞ্জস্য রাখতে সাহায্য করে। সয়াবিনজাত খাবার, তিসির বীজ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার, গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনল এবং ব্রোকোলি শরীরের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ইস্ট্রোজেন একটি হরমোন। যার মাত্রা ব্যক্তিবিশেষে বদলাতে পারে। কারও শরীরে ইস্ট্রোজেন বেশি থাকে। কারও কম। কিন্তু ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি হলে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। যার মধ্যে অন্যতম মহিলাদের স্তন ক্যানসার। শরীরে ইস্ট্রোজেন বাড়লে কী কী সমস্যা হতে পারে, সামান্থার সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন স্ত্রীরোগ বিষয়ক পুষ্টিবিদ রাশি চৌধরি।
শরীরে ইস্ট্রোজেন বেশি থাকলে কী সমস্যা হতে পারে?
শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার থেকে বেড়ে গেলে মহিলা এবং পুরুষ, উভয়ের ক্ষেত্রেই কিছু শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে
১। ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে: ইস্ট্রোজেনের মাত্রা অতিরিক্ত বাড়লে বিশেষ করে তার সঙ্গে যদি প্রোজেস্টিনের মাত্রাও বাড়ে তবে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। শুধু ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়লে তা জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
২। মেজাজে বদল: ক্ষণে ক্ষণে মেজাজ বদলে যাওয়া মাত্রাতিরিক্ত ইস্ট্রোজেনের লক্ষণ হতে পারে।
৩। মিলনেচ্ছা কমে যাওয়া: মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি হলে মিলনেচ্ছা কম হতে পারে।
৪। ওজন বৃদ্ধি: শরীরে অতিরিক্তি মাত্রায় ইস্ট্রোজেন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে।
৫। মাথা ধরা, ক্লান্তিবোধ: দ্রুত ক্লান্তিবোধ, তা থেকে মাথা ধরাও ইস্ট্রোজেন বেশি থাকার লক্ষণ হতে পারে।
৬। জরায়ুর নানা রোগ: ফাইব্রয়েড, এন্ডোমেট্রিয়োসিস, পলিপের মতো জরায়ুর রোগ হতে পারে মহিলাদের ইস্ট্রোজেন বেশি থাকলে। এমনকি, ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা খুব অল্পমাত্রায় রক্তক্ষরণও হতে পারে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি হলে। অনেকের অনিয়মিত ঋতুস্রাবও হতে পারে।
মেয়েদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ইস্ট্রোজেন।
মেয়েদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ইস্ট্রোজেন।
পুরুষের ক্ষেত্রে
পুরুষদের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়লেও দেখা দিতে পারে নানা রকম জটিলতা—
১। বন্ধ্যত্ব
২। গাইনেকোমাস্টিয়া বা বুকে মেদ জমা
৩। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন
৪। মনমেজাজ ভাল না থাকা
৫। মিলনেচ্ছা কমে যাওয়া
এ ছাড়া ইস্ট্রোজেন বাড়লে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা তৈরি হতে পারে। বয়ঃসন্ধির সময় বাড়ের সমস্যা হতে পারে, এমনকি হরমোনের চিকিৎসার জন্য ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধি করা হলে তা থেকে লিভারের রোগ, গল ব্লাডারে স্টোন, এমনকি লিভারের ক্যানসারও হতে পারে।
কী ভাবে বুঝবেন ইস্ট্রোজেন বেশি?
সামান্থার প্রশ্নে পুষ্টিবিদ রাশি বলছেন, ‘‘মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি স্তন ভারী লাগে, যদি মুখে ব্রণ বেশি হয় বা যদি দেখেন ওজন সহজে কমতে চাইছে না, থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, তবে আপনার ইস্ট্রোজেনের মাত্রা অতিরিক্ত বেশি।’’ পুরুষদের উপরোক্ত সমস্যাগুলি দেখা দিলে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বুঝতে পারেন।
পুরুষের বুকের ছাতিতে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে ইস্ট্রোজেন বাড়লে।
পুরুষের বুকের ছাতিতে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে ইস্ট্রোজেন বাড়লে।
কী ভাবে সতর্ক হবেন?
শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জীবনযাপনে কিছু বদল আনা যেতে পারে।
১। ভাজাভুজি না খাওয়া : পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় বা ভাজাভুজি খাবার ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ডুবো তেলে ভাজা যে কোনও খাবার নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সমস্যা বাড়বে।
২। মিষ্টি জাতীয় খাবার: চকোলেট, মিষ্টি, আইসক্রিম জাতীয় খাবার শরীরে ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। যা পরে প্রভাব ফেলে জরায়ুতে।
৩। ময়দায় তৈরি খাবার: ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার, যেমন কেক, বিস্কুট, পাস্তা বা অন্যান্য খাবার বেশি খেলে তা থেকেও ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধির ভয় থাকে।
৪। নিয়মিত শরীরচর্চা: স্ত্রীরোগ চিকিৎসকেরা বলছেন নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৫। খাবার যখন ওষুধ: নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার রাখলে তা হরমোনের সামঞ্জস্য রাখতে সাহায্য করে। সয়াবিনজাত খাবার, তিসির বীজ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার, গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনল এবং ব্রোকোলি শরীরের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।