আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি হল কিডনি। মূত্র থেকে শুরু করে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক জরুরি কাজ একা হাতে সামলায় এই অঙ্গ। তাই সুস্থ থাকতে বৃক্কের হাল ঠিক রাখা জরুরি। মানুষের শরীরে কিডনির সংখ্যা দু’টি, তাই একটি বিকল হলেও কাজ চলতে পারে অন্যটি দিয়ে। ফলে অন্যান্য অঙ্গের মতো প্রথমেই কিডনির ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যায় চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়। এদিকে সময় থাকতে কিডনির সমস্যা ধরা না পড়লে সেরে ওঠার সম্ভাবনাও কমতে থাকে। তবে শরীরের কিছু লক্ষণ রয়েছে যা কিডনির স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, সে সম্পর্কে আগে থেকে ইঙ্গিত দিতে পারে। বিশেষ করে কিডনির কার্যক্ষমতা কমছে কিনা, তার সংকেত দিতে পারে চোখ। যা বুঝে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। যেমন-
১. চোখ লাল হওয়া বা রক্ত জমা দেখা দেওয়াঃ চোখে লালভাব, জ্বালা বা রক্ত জমা শুধু চোখের রোগের জন্য নয়, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কারণে কিডনির সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে।
২. চোখে চুলকানি, জ্বালাঃ ঘুম থেকে উঠার পর দীর্ঘসময় ধরে চোখে চুলকানি, জ্বালা করলে সতর্ক হতে হবে। এগুলো কিডনি সমস্যার শুরুর লক্ষণ হতে পারে।
৩. ঝাপসা দৃষ্টি বা দু’রকম দেখাঃ হঠাৎ ঝাপসা দেখা বা দু’রকম দেখতে পেলে তা শুধুমাত্র চোখের রোগ নয়, কিডনির সঙ্গে সম্পর্কিত রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের জটিলতা হতে পারে। রক্তচাপ যদি বাড়ে, তা হলে চোখের রক্তনালিগুলি ছিঁড়ে যেতে পারে।
৪. চোখের চারপাশে ফোলাভাবঃ চোখের নিচে বা চারপাশে দীর্ঘসময় ধরে ফোলাভাব থাকলে এটি কিডনির অসুস্থতার একটি বড় সংকেত হতে পারে। কিডনি যখন শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল এবং সোডিয়াম বার করে দিতে পারে না, তখন এই তরল শরীরে জমা হতে শুরু করে। বিশেষ করে মুখ এবং চোখের চারপাশে তখন ফোলা ভাব দেখা দেয়।
৫. চোখে অতিরিক্ত শুষ্কভাবঃ কিডনি রোগীদের মধ্যে চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, জ্বালা ও বারবার ঘষার প্রবণতা দেখা যায়। এটি রক্তে টক্সিন জমার কারণে হতে পারে।
৬. রং চিনতে সমস্যাঃ দীর্ঘদিনের কিডনি সমস্যায় অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কিছু রোগীর নীল ও হলুদ রঙ বুঝতে অসুবিধা হয়।
সজাগ থাকতে কী করবেন
• উপরের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
• নিয়মিত চোখ ও কিডনির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান।
• রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
• কিডনি সুস্থ রাখতে সঠিক জীবনযাপন করুন।
• পর্যাপ্ত জল পান করুন।
• লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান
• নিয়মিত ব্যায়াম করুন
• ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন।
• বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান
মনে রাখবেন, চোখের ছোট্ট একটি পরিবর্তনও বড় রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই সচেতন থাকুন এবং সময়মতো চিকিৎসা করান।
১. চোখ লাল হওয়া বা রক্ত জমা দেখা দেওয়াঃ চোখে লালভাব, জ্বালা বা রক্ত জমা শুধু চোখের রোগের জন্য নয়, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কারণে কিডনির সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে।
২. চোখে চুলকানি, জ্বালাঃ ঘুম থেকে উঠার পর দীর্ঘসময় ধরে চোখে চুলকানি, জ্বালা করলে সতর্ক হতে হবে। এগুলো কিডনি সমস্যার শুরুর লক্ষণ হতে পারে।
৩. ঝাপসা দৃষ্টি বা দু’রকম দেখাঃ হঠাৎ ঝাপসা দেখা বা দু’রকম দেখতে পেলে তা শুধুমাত্র চোখের রোগ নয়, কিডনির সঙ্গে সম্পর্কিত রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের জটিলতা হতে পারে। রক্তচাপ যদি বাড়ে, তা হলে চোখের রক্তনালিগুলি ছিঁড়ে যেতে পারে।
৪. চোখের চারপাশে ফোলাভাবঃ চোখের নিচে বা চারপাশে দীর্ঘসময় ধরে ফোলাভাব থাকলে এটি কিডনির অসুস্থতার একটি বড় সংকেত হতে পারে। কিডনি যখন শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল এবং সোডিয়াম বার করে দিতে পারে না, তখন এই তরল শরীরে জমা হতে শুরু করে। বিশেষ করে মুখ এবং চোখের চারপাশে তখন ফোলা ভাব দেখা দেয়।
৫. চোখে অতিরিক্ত শুষ্কভাবঃ কিডনি রোগীদের মধ্যে চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, জ্বালা ও বারবার ঘষার প্রবণতা দেখা যায়। এটি রক্তে টক্সিন জমার কারণে হতে পারে।
৬. রং চিনতে সমস্যাঃ দীর্ঘদিনের কিডনি সমস্যায় অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কিছু রোগীর নীল ও হলুদ রঙ বুঝতে অসুবিধা হয়।
সজাগ থাকতে কী করবেন
• উপরের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
• নিয়মিত চোখ ও কিডনির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান।
• রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
• কিডনি সুস্থ রাখতে সঠিক জীবনযাপন করুন।
• পর্যাপ্ত জল পান করুন।
• লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান
• নিয়মিত ব্যায়াম করুন
• ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন।
• বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান
মনে রাখবেন, চোখের ছোট্ট একটি পরিবর্তনও বড় রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই সচেতন থাকুন এবং সময়মতো চিকিৎসা করান।