ব্যাংককের ২৫ বছর বয়সী থাই নারী সূপাত্রা 'নাট' সাসুপান একসময় ‘বিশ্বের সবচেয়ে লোমশ মেয়ে’ নামে পরিচিত ছিলেন। বিরল রোগ অ্যামব্রাস সিনড্রোম-এর কারণে তাঁর মুখ, কান, হাত, পা ও পিঠ ছিল ঘন কালো লোমে ঢাকা।
এই জিনগত রোগকে সাধারণত ওয়্যারউলফ সিনড্রোম নামেও ডাকা হয়, যা হাইপারট্রাইকোসিসের একটি রূপ। ২০১০ সালে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ‘সবচেয়ে লোমশ কিশোরী’ হিসেবে নাম লেখান। তখন তাঁর সারা শরীর ঘন লোমে আবৃত ছিল। তবে আজকের সূপাত্রা একদম আলাদা। তিনি নিয়মিতভাবে শরীরের লোম কামিয়ে রাখেন এবং শুধুমাত্র মাথার চুলই রেখেছেন আগের মতো। সামাজিক মাধ্যমে তিনি তাঁর বর্তমান রূপ এবং প্রেমিক সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক পোস্ট অনুযায়ী, সূপাত্রা এখন এক নতুন সম্পর্কে রয়েছেন, যা শুরু হয়েছে সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে। তাঁরা একসঙ্গে সাত মাস পূর্তি উদযাপন করেছেন এপ্রিল ২০২৫-এ। এক হৃদয়ছোঁয়া ছবিতে দেখা যায়, সূপাত্রা তাঁর সঙ্গীকে কোলে তুলে আদর করছেন, চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছেন গভীর ভালোবাসায়। সমুদ্রতটে সময় কাটানো, পার্কে ঘোরাফেরা, নববর্ষ উদযাপনসহ নানা মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি দেখা যাচ্ছে তাঁর ফেসবুক পেজে।
২০১৮ সালে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে, সূপাত্রা তাঁর প্রথম প্রেমিককে ‘স্বামী’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, “তুমি শুধু আমার প্রথম প্রেম নও, তুমি আমার জীবনের প্রেম।” কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে অনেক কিছু। এখনকার পোস্টগুলোতে তিনি লিখেছেন: “সমুদ্রের মতো মুক্ত”, “প্রতিটি মুহূর্ত একটি নতুন শুরু” এবং সবচেয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বাক্যটি— “কখনোই দেরি হয়ে যায় না আবার শুরু করার জন্য।”
অতীতে সূপাত্রা বলেছিলেন, তাঁর শরীরের লোম তাঁকে ‘বিশেষ’ অনুভব করাত। তিনি গিনেস রেকর্ডের অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “আমি অন্যদের মতোই একজন। স্কুলে আমার অনেক বন্ধু আছে। লোমে ঢাকা থাকায় আমি আলাদা নই, বরং এটি আমাকে বিশেষ করে তোলে।” যদিও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন সহজ ছিল না। তিনি স্বীকার করেছেন, প্রাথমিকভাবে অনেকে তাঁকে ‘বানর-মুখ’ বলে উপহাস করত। তবে ধীরে ধীরে সে আচরণ বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর পিতা জানান, লেজার চিকিৎসাও সম্পূর্ণ সফল হয়নি। ফলে নিয়মিতভাবে সূপাত্রা নিজেই লোম কামিয়ে শরীর পরিষ্কার রাখেন। আজকের সূপাত্রা আত্মবিশ্বাসী, স্বাধীনচেতা এবং প্রেমে পরিপূর্ণ এক নারী। তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে, বাইরের চেহারা নয়, হৃদয়ের সৌন্দর্যই একজন মানুষকে সংজ্ঞায়িত করে। তাঁর এই রূপান্তর ও জীবনের নতুন অধ্যায় অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠছে।
অ্যামব্রাস সিনড্রোম, যাকে ওয়্যারউলফ সিনড্রোম নামেও ডাকা হয়, একটি অত্যন্ত বিরল জিনগত রোগ যা হাইপারট্রাইকোসিস-এর একটি ধরণ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ, কান, হাত-পা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্বাভাবিকভাবে ঘন ও লম্বা লোম গজায়। এটি সাধারণত জন্মগত হয় এবং মাত্র কয়েক ডজন মানুষের মধ্যে বিশ্বজুড়ে শনাক্ত হয়েছে। রোগটি দেহের লোম বৃদ্ধির স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ নষ্ট করে ফেলে, ফলে লোম বেড়ে যায় এমন স্থানেও, যেখানে সাধারণত লোম গজায় না। যদিও এটি জীবন-সংকটজনক নয়, তবে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও মানসিক চাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে এর কোনও স্থায়ী চিকিৎসা নেই।
এই জিনগত রোগকে সাধারণত ওয়্যারউলফ সিনড্রোম নামেও ডাকা হয়, যা হাইপারট্রাইকোসিসের একটি রূপ। ২০১০ সালে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ‘সবচেয়ে লোমশ কিশোরী’ হিসেবে নাম লেখান। তখন তাঁর সারা শরীর ঘন লোমে আবৃত ছিল। তবে আজকের সূপাত্রা একদম আলাদা। তিনি নিয়মিতভাবে শরীরের লোম কামিয়ে রাখেন এবং শুধুমাত্র মাথার চুলই রেখেছেন আগের মতো। সামাজিক মাধ্যমে তিনি তাঁর বর্তমান রূপ এবং প্রেমিক সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক পোস্ট অনুযায়ী, সূপাত্রা এখন এক নতুন সম্পর্কে রয়েছেন, যা শুরু হয়েছে সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে। তাঁরা একসঙ্গে সাত মাস পূর্তি উদযাপন করেছেন এপ্রিল ২০২৫-এ। এক হৃদয়ছোঁয়া ছবিতে দেখা যায়, সূপাত্রা তাঁর সঙ্গীকে কোলে তুলে আদর করছেন, চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছেন গভীর ভালোবাসায়। সমুদ্রতটে সময় কাটানো, পার্কে ঘোরাফেরা, নববর্ষ উদযাপনসহ নানা মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি দেখা যাচ্ছে তাঁর ফেসবুক পেজে।
২০১৮ সালে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে, সূপাত্রা তাঁর প্রথম প্রেমিককে ‘স্বামী’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, “তুমি শুধু আমার প্রথম প্রেম নও, তুমি আমার জীবনের প্রেম।” কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে অনেক কিছু। এখনকার পোস্টগুলোতে তিনি লিখেছেন: “সমুদ্রের মতো মুক্ত”, “প্রতিটি মুহূর্ত একটি নতুন শুরু” এবং সবচেয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বাক্যটি— “কখনোই দেরি হয়ে যায় না আবার শুরু করার জন্য।”
অতীতে সূপাত্রা বলেছিলেন, তাঁর শরীরের লোম তাঁকে ‘বিশেষ’ অনুভব করাত। তিনি গিনেস রেকর্ডের অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “আমি অন্যদের মতোই একজন। স্কুলে আমার অনেক বন্ধু আছে। লোমে ঢাকা থাকায় আমি আলাদা নই, বরং এটি আমাকে বিশেষ করে তোলে।” যদিও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন সহজ ছিল না। তিনি স্বীকার করেছেন, প্রাথমিকভাবে অনেকে তাঁকে ‘বানর-মুখ’ বলে উপহাস করত। তবে ধীরে ধীরে সে আচরণ বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর পিতা জানান, লেজার চিকিৎসাও সম্পূর্ণ সফল হয়নি। ফলে নিয়মিতভাবে সূপাত্রা নিজেই লোম কামিয়ে শরীর পরিষ্কার রাখেন। আজকের সূপাত্রা আত্মবিশ্বাসী, স্বাধীনচেতা এবং প্রেমে পরিপূর্ণ এক নারী। তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে, বাইরের চেহারা নয়, হৃদয়ের সৌন্দর্যই একজন মানুষকে সংজ্ঞায়িত করে। তাঁর এই রূপান্তর ও জীবনের নতুন অধ্যায় অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠছে।
অ্যামব্রাস সিনড্রোম, যাকে ওয়্যারউলফ সিনড্রোম নামেও ডাকা হয়, একটি অত্যন্ত বিরল জিনগত রোগ যা হাইপারট্রাইকোসিস-এর একটি ধরণ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ, কান, হাত-পা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্বাভাবিকভাবে ঘন ও লম্বা লোম গজায়। এটি সাধারণত জন্মগত হয় এবং মাত্র কয়েক ডজন মানুষের মধ্যে বিশ্বজুড়ে শনাক্ত হয়েছে। রোগটি দেহের লোম বৃদ্ধির স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ নষ্ট করে ফেলে, ফলে লোম বেড়ে যায় এমন স্থানেও, যেখানে সাধারণত লোম গজায় না। যদিও এটি জীবন-সংকটজনক নয়, তবে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও মানসিক চাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে এর কোনও স্থায়ী চিকিৎসা নেই।