গদি বাঁচাতে মরিয়া শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ নিষ্ঠুরতা ও অমানবিকতা প্রদর্শনের দিন ৪ আগস্ট, ২০২৪। ছাত্র-জনতাকে দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দলীয় অস্ত্রধারী ক্যাডারদের এমনভাবে লেলিয়ে দেয়, যেন ভিনদেশের সঙ্গে যুদ্ধ চলমান। পরশু নয়, কাল ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ আসিফ মাহমুদের এমন ঘোষণাই পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। যা আরও তরান্বিত করে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সমর্থন।
রক্তগঙ্গা পেরিয়ে তখন রক্তের সাগরে বাংলাদেশ। ক্ষমতার নেশা প্রতিনিয়ত বাড়িয়েছে শেখ হাসিনার রক্তের পিপাসা। আর ততদিনে মুক্তি পেতে, অকাতরে রক্ত দিতে শিখে গেছে লাখ লাখ ছাত্র-জনতা।
অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণা হয়েছে আগের দিন। ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ নির্ধারিত ৬ আগস্ট। হাসিনা বেপরোয়া; ছাত্র-জনতা একরোখা। সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশ পথ আর প্রধান পথ, অলিগলি থেকে কানাগলি- সব পথই রঞ্জিত হয় তাজা রক্তে। রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লড়াই চলে জেলা-উপজেলাতেও।
পুলিশ, বিজিবি, র্যাবের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে মরিয়া ছিল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমানতালে গুলি ছুড়তে থাকে তারাও। তখনকার হিসেবে শতাধিক প্রাণ ঝরেছে। জনতার ক্ষোভের বলি হয়েছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৪ পুলিশ সদস্যও।
রক্তাক্ত পরিস্থিতি সমন্বয়কদেরও ভাবিয়ে তুলে। হঠাৎ করেই আসিফ মাহমুদের কণ্ঠে ঘোষণা আসে- পরশু নয়, কালই ‘লং মার্চ টু ঢাকা’। এই ঘোষণায় শেখ হাসিনাও যেন মুষড়ে পড়েন। স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের গতি মোকাবিলায় পুনরায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেন। পরদিন থেকে ৩ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তিনি হয়তো জানতেন না- এই সাধারণ ছুটিতেই বাংলাদেশের আপামর জনতা তাকেই ছুটিতে পাঠিয়ে দেবে।
তখন থেকেই একটা একটা করে পতন ঘণ্টা বাজতে থাকে স্বৈরাচার হাসিনার। সন্ধ্যার পর সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক সেনাকর্মকর্তারা সেনাবাহিনীকে ছাউনিতে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। সেনাবাহিনী থেকে বলা হয়, তারাও জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে না। তাই শেখ হাসিনার ক্ষমতার মসনদটা নড়বড়ে হতে থাকে ক্রমান্বয়ে।
রক্তগঙ্গা পেরিয়ে তখন রক্তের সাগরে বাংলাদেশ। ক্ষমতার নেশা প্রতিনিয়ত বাড়িয়েছে শেখ হাসিনার রক্তের পিপাসা। আর ততদিনে মুক্তি পেতে, অকাতরে রক্ত দিতে শিখে গেছে লাখ লাখ ছাত্র-জনতা।
অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণা হয়েছে আগের দিন। ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ নির্ধারিত ৬ আগস্ট। হাসিনা বেপরোয়া; ছাত্র-জনতা একরোখা। সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশ পথ আর প্রধান পথ, অলিগলি থেকে কানাগলি- সব পথই রঞ্জিত হয় তাজা রক্তে। রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লড়াই চলে জেলা-উপজেলাতেও।
পুলিশ, বিজিবি, র্যাবের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে মরিয়া ছিল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমানতালে গুলি ছুড়তে থাকে তারাও। তখনকার হিসেবে শতাধিক প্রাণ ঝরেছে। জনতার ক্ষোভের বলি হয়েছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৪ পুলিশ সদস্যও।
রক্তাক্ত পরিস্থিতি সমন্বয়কদেরও ভাবিয়ে তুলে। হঠাৎ করেই আসিফ মাহমুদের কণ্ঠে ঘোষণা আসে- পরশু নয়, কালই ‘লং মার্চ টু ঢাকা’। এই ঘোষণায় শেখ হাসিনাও যেন মুষড়ে পড়েন। স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের গতি মোকাবিলায় পুনরায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেন। পরদিন থেকে ৩ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তিনি হয়তো জানতেন না- এই সাধারণ ছুটিতেই বাংলাদেশের আপামর জনতা তাকেই ছুটিতে পাঠিয়ে দেবে।
তখন থেকেই একটা একটা করে পতন ঘণ্টা বাজতে থাকে স্বৈরাচার হাসিনার। সন্ধ্যার পর সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক সেনাকর্মকর্তারা সেনাবাহিনীকে ছাউনিতে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। সেনাবাহিনী থেকে বলা হয়, তারাও জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে না। তাই শেখ হাসিনার ক্ষমতার মসনদটা নড়বড়ে হতে থাকে ক্রমান্বয়ে।