রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী শিক্ষকদের ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের ছবিসহ নামের তালিকা প্রকাশ এবং বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আগামী ৭ আগস্ট দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে এই তালিকা প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করবেন দলটি। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন ছিল স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের এক ঐতিহাসিক লড়াই।
সেই আন্দোলনে যেসব শিক্ষক তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন এবং যাদের মদদে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ ও পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘তৎকালীন ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের ভিসি, প্রো-ভিসি ও প্রক্টরের নির্দেশ ও উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল। এখনো লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেই ফ্যাসিস্ট সাবেক ভিসি, প্রো-ভিসি ও প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এবং নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।’
বিগত প্রশাসনের সঙ্গে বর্তমান প্রশাসনের তুলনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, বিগত প্রশাসনের মতো বর্তমান প্রশাসনও কিছুটা একই আচরণ করছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি যে, এই প্রশাসন শিক্ষক নিয়োগে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মনোনীত প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে বিভিন্ন অবৈধ ও বিতর্কিত পন্থা অবলম্বন করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী।’ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে জহুরুল ইসলাম জানান, আগামী ৭ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী শিক্ষকদের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ পালন করা হবে। এ সময় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে সব ফ্যাসিবাদী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু, দপ্তর সম্পাদক নাফিউল জীবনসহ দলের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৭ আগস্ট দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে এই তালিকা প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করবেন দলটি। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন ছিল স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের এক ঐতিহাসিক লড়াই।
সেই আন্দোলনে যেসব শিক্ষক তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন এবং যাদের মদদে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ ও পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘তৎকালীন ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের ভিসি, প্রো-ভিসি ও প্রক্টরের নির্দেশ ও উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল। এখনো লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেই ফ্যাসিস্ট সাবেক ভিসি, প্রো-ভিসি ও প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এবং নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।’
বিগত প্রশাসনের সঙ্গে বর্তমান প্রশাসনের তুলনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, বিগত প্রশাসনের মতো বর্তমান প্রশাসনও কিছুটা একই আচরণ করছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি যে, এই প্রশাসন শিক্ষক নিয়োগে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মনোনীত প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে বিভিন্ন অবৈধ ও বিতর্কিত পন্থা অবলম্বন করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী।’ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে জহুরুল ইসলাম জানান, আগামী ৭ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী শিক্ষকদের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ পালন করা হবে। এ সময় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে সব ফ্যাসিবাদী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু, দপ্তর সম্পাদক নাফিউল জীবনসহ দলের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।