ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দিল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে ডে মরিয়াস জানান, বোলসোনারো গত মাসে আদালতের দেওয়া নির্দেশ অমান্য করেছেন। তাই তাঁকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক, আইনজীবী এবং আদালতের অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ বোলসোনারোর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। গৃহবন্দি থাকাকালীন মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ব্রাজিলের সাধারণ নির্বাচনে বামপন্থী নেতা লুলার কাছে হেরে যান অতি দক্ষিণপন্থী বোলসোনারো। ভোটে হেরে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর সমর্থকেরা ব্রাজিলের সংসদ ভবন আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মামলা হয়। ব্রাজিলের আদালত বোলসোনারোকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সে দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম ইলেকটোরাল কোর্ট জানায়, আট বছর ব্রাজিলের কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি।
অন্য দিকে, বোলসোনারোর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক বরাবরই মসৃণ। কয়েক দিন আগেও প্রাক্তন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে চলা বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ট্রাম্প। গত ৯ জুলাই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিয়ো লুলা দ্য সিলভাকে শুল্ক-চিঠি পাঠান ট্রাম্প। ওই চিঠিতে ব্রাজিল থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন তিনি। চিঠিতে ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে, স্বাধীন নির্বাচনের উপর বার বার আঘাত করা হচ্ছে ব্রাজিলে। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে আমেরিকানদের বাক্স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে ব্রাজিলের উপর তাঁর গোসার কারণ যে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর বিরুদ্ধে চলা বিচারপ্রক্রিয়া, তা স্পষ্ট করে দেন ট্রাম্প। ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলাকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লেখেন, “শ্রদ্ধেয় বোলসোনারোর সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। এই বিচারপ্রক্রিয়া চলতে পারে না। এটা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।”
বোলসোনারোকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ প্রকাশ্যে আসতেই আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মরিয়াসকে নিশানা করে বলা হয়েছে, তিনি প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর অবদমিত করছেন। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসন ব্রাজিলের উপর আরও বেশি পরিমাণে শুল্ক আরোপ করতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। এখনও পর্যন্ত এই হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশ্যে কিছু না-জানানো হলেও বোলসোনারোকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক, আইনজীবী এবং আদালতের অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ বোলসোনারোর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। গৃহবন্দি থাকাকালীন মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ব্রাজিলের সাধারণ নির্বাচনে বামপন্থী নেতা লুলার কাছে হেরে যান অতি দক্ষিণপন্থী বোলসোনারো। ভোটে হেরে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর সমর্থকেরা ব্রাজিলের সংসদ ভবন আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মামলা হয়। ব্রাজিলের আদালত বোলসোনারোকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সে দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম ইলেকটোরাল কোর্ট জানায়, আট বছর ব্রাজিলের কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি।
অন্য দিকে, বোলসোনারোর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক বরাবরই মসৃণ। কয়েক দিন আগেও প্রাক্তন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে চলা বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ট্রাম্প। গত ৯ জুলাই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিয়ো লুলা দ্য সিলভাকে শুল্ক-চিঠি পাঠান ট্রাম্প। ওই চিঠিতে ব্রাজিল থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন তিনি। চিঠিতে ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে, স্বাধীন নির্বাচনের উপর বার বার আঘাত করা হচ্ছে ব্রাজিলে। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে আমেরিকানদের বাক্স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে ব্রাজিলের উপর তাঁর গোসার কারণ যে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর বিরুদ্ধে চলা বিচারপ্রক্রিয়া, তা স্পষ্ট করে দেন ট্রাম্প। ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলাকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লেখেন, “শ্রদ্ধেয় বোলসোনারোর সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। এই বিচারপ্রক্রিয়া চলতে পারে না। এটা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।”
বোলসোনারোকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ প্রকাশ্যে আসতেই আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মরিয়াসকে নিশানা করে বলা হয়েছে, তিনি প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর অবদমিত করছেন। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসন ব্রাজিলের উপর আরও বেশি পরিমাণে শুল্ক আরোপ করতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। এখনও পর্যন্ত এই হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশ্যে কিছু না-জানানো হলেও বোলসোনারোকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।