শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু মাত্রা বেশ কিছুটা বেড়ে গেলেই বিপদ। ঘুম, বিপাকহার, শরীরের বহু জরুরি কাজকর্ম সম্পাদনে সাহায্য করে যে ‘কর্টিসল’, ক্ষেত্রবিশেষে সেই হরমোনই হতে দাঁড়াতে পারে বিপদের কারণ।
আর এমন ঘটনা ঘটতে পারে অজান্তেই, দৈনন্দিন অভ্যাসের ফলেই, বলছেন মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, লারা দত্ত, দিয়া মির্জ়া-সহ একাধিক তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘‘ঘুম থেকে ওঠা, দৈনন্দিন কাজেকর্মে কর্টিসলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হরমোনের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গেলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তা হতে পারে অজান্তেই।’’ কলকাতার পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক বলছেন, ‘‘একাধিক কারণ থাকতে পারে কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধির নেপথ্যে। দৈনন্দিন কিছু খাদ্যাভ্যাসও হতে পারে এর কারণ, তা নিয়ে সতর্ক না হলেই বিপদ।’’
অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত কর্টিসল হরমোনের আর এক পরিচিতি ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে, যা বেশি ক্ষরিত হলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা হতাশা বাড়তে পারে। এমনিতে ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা-সহ অনেক জরুরি কাজ রয়েছে হরমোনটির। তবে মাত্রা বেড়ে গেলেই বাড়তি মেদ জমতে পারে শরীরে, ঘুমের সমস্যা হতে পারে, উদ্বেগ বাড়তে পারে। মানসিক চাপের সঙ্গেও এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
পুষ্টিবিদ অঞ্জলি বলছেন, ‘‘সমস্যা এই যে, লোকে বুঝতেই পারেন না, পরিপার্শ্ব এবং দৈনন্দিন অভ্যাস কী ভাবে নিঃশব্দে হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তারই প্রভাব পড়ে শরীর এবং মনে। মৃত্যু, দুর্ঘটনার মতো মনখারাপ করা খবর পড়া, ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত শরীরচর্চা, সম্পর্কের টানাপড়েন, কথা কাটাকাটি— এমন অনেক সাধারণ বিষয়ই কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।’’ অনন্যা জানাচ্ছেন, চা, কফি, জাঙ্ক ফুড, মিষ্টি জাতীয় খাবার যে গুলি দেখেই লোভ লাগছে, এমন অনেক কিছুই কিন্তু হরমোনের মাত্রা বিগড়ে দিতে পারে। খাওয়া নিয়ে সচেতন না হলে অজান্তেই বেড়ে যেতে পারে কর্টিসলের মাত্রা, যার প্রভাব পড়বে মেজাজেও।
সমাধান কী ভাবে সম্ভব?
প্রথমেই খুঁজে বার করতে হবে, কোন কারণগুলি সমস্যা তৈরি করছে। সেটি চিহ্নিত করা গেলে সচেতন ভাবে তা থেকে দূরে থাকতে হবে। ঠিকমতো ঘুম, সঠিক শরীরচর্চা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারার প্রচেষ্টা এ ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
কোন খাবার কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে?
গ্রিন টি, ডার্ক চকোলেট, মজানো খাবার, কলা, ওট্স-এর মতো খাবার হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে, বলছেন অনন্যা। পাশাপাশি, কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গেলে, তা কমাতে সাহায্য করবে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, বি ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং জিঙ্কের মতো উপাদান। তালিকায় রাখতে হবে সবুজ শাকপাতা, তৈলাক্ত মাছ, ডিম, লেবু জাতীয় ফল, বাদাম, তিসি, কুমড়োর বীজের মতো খাবার।
আর এমন ঘটনা ঘটতে পারে অজান্তেই, দৈনন্দিন অভ্যাসের ফলেই, বলছেন মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, লারা দত্ত, দিয়া মির্জ়া-সহ একাধিক তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘‘ঘুম থেকে ওঠা, দৈনন্দিন কাজেকর্মে কর্টিসলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হরমোনের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গেলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তা হতে পারে অজান্তেই।’’ কলকাতার পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক বলছেন, ‘‘একাধিক কারণ থাকতে পারে কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধির নেপথ্যে। দৈনন্দিন কিছু খাদ্যাভ্যাসও হতে পারে এর কারণ, তা নিয়ে সতর্ক না হলেই বিপদ।’’
অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত কর্টিসল হরমোনের আর এক পরিচিতি ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে, যা বেশি ক্ষরিত হলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা হতাশা বাড়তে পারে। এমনিতে ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা-সহ অনেক জরুরি কাজ রয়েছে হরমোনটির। তবে মাত্রা বেড়ে গেলেই বাড়তি মেদ জমতে পারে শরীরে, ঘুমের সমস্যা হতে পারে, উদ্বেগ বাড়তে পারে। মানসিক চাপের সঙ্গেও এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
পুষ্টিবিদ অঞ্জলি বলছেন, ‘‘সমস্যা এই যে, লোকে বুঝতেই পারেন না, পরিপার্শ্ব এবং দৈনন্দিন অভ্যাস কী ভাবে নিঃশব্দে হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তারই প্রভাব পড়ে শরীর এবং মনে। মৃত্যু, দুর্ঘটনার মতো মনখারাপ করা খবর পড়া, ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত শরীরচর্চা, সম্পর্কের টানাপড়েন, কথা কাটাকাটি— এমন অনেক সাধারণ বিষয়ই কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।’’ অনন্যা জানাচ্ছেন, চা, কফি, জাঙ্ক ফুড, মিষ্টি জাতীয় খাবার যে গুলি দেখেই লোভ লাগছে, এমন অনেক কিছুই কিন্তু হরমোনের মাত্রা বিগড়ে দিতে পারে। খাওয়া নিয়ে সচেতন না হলে অজান্তেই বেড়ে যেতে পারে কর্টিসলের মাত্রা, যার প্রভাব পড়বে মেজাজেও।
সমাধান কী ভাবে সম্ভব?
প্রথমেই খুঁজে বার করতে হবে, কোন কারণগুলি সমস্যা তৈরি করছে। সেটি চিহ্নিত করা গেলে সচেতন ভাবে তা থেকে দূরে থাকতে হবে। ঠিকমতো ঘুম, সঠিক শরীরচর্চা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারার প্রচেষ্টা এ ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
কোন খাবার কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে?
গ্রিন টি, ডার্ক চকোলেট, মজানো খাবার, কলা, ওট্স-এর মতো খাবার হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে, বলছেন অনন্যা। পাশাপাশি, কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গেলে, তা কমাতে সাহায্য করবে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, বি ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং জিঙ্কের মতো উপাদান। তালিকায় রাখতে হবে সবুজ শাকপাতা, তৈলাক্ত মাছ, ডিম, লেবু জাতীয় ফল, বাদাম, তিসি, কুমড়োর বীজের মতো খাবার।