মুখের ত্বক টানটান করার জন্য ফেস রোলারের রমরমা বেড়েছে। সমাজমাধ্যমে ত্বকচর্চার রিল দেখার নেশা রয়েছে কি? তা হলে আইস রোলারের ভিডিয়ো চোখে পড়ার কথা। ফেস রোলারের প্রকারভেদে বরফঠান্ডা ফেস রোলারের জনপ্রিয়তা বেশি। ছোট একটি রোলিং মাসাজার দিয়ে সকালে ত্বকে চালিয়ে নিলে উপকার পান অনেকে। ত্বককে টানটান করা থেকে শুরু করে, নিস্তেজ ও ফোলা ভাব দূর করা, এমনকি সকালের এই রুটিন মন-মেজাজ উন্নত করতে পারে বলে দাবি করেন অনেকে। কিন্তু প্রতি দিন সকালে আইস রোলার ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে কি না, বা এর নেপথ্যে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে কি না, জেনে নেওয়া উচিত।
বরফের শীতল স্পর্শের উপকার পেতেই আইস রোলার ব্যবহার করা হয়। সারা মুখে রোলারের চাপ দিয়ে দিয়ে ত্বকের রক্তপ্রবাহ বাড়ানো হয়। মুখ ও চোখের ফোলা ভাব ও ক্লান্তি কিছুটা হ্রাস পায়। অনেকে ক্রিম বা সিরাম মাখার পর রোলার ব্যবহার করেন। তাতে পণ্য ত্বকের সঙ্গে ভাল ভাবে মিশে যেতে পারে। এর ফলে মুখ সাময়িক ভাবে টানটান হয়ে যায়। তা ছা়ড়া খানিক ক্ষণের জন্য স্নায়বিক চাপ কমিয়ে স্বস্তি দিতে পারে। ত্বকের প্রদাহও কমানো যায় আইস রোলিংয়ের মাধ্যমে। উপরন্তু ত্বকের ছিদ্রগুলিকে সংকুচিত করতে পারে বলেও বিশ্বাস।
আদৌ কতখানি উপকার পাওয়া যায়?
১. আপনি যদি ভাবেন, ত্বকে দীর্ঘমেয়াদি টানটান ভাব আনবেন, তা হলে অতও কাজ দেবে না। ‘ফেস লিফট’-এর বিকল্প নয় এটি। মুখের গঠনে পরিবর্তন আসে না। তবে চোয়াল তীক্ষ্ণ করার জন্য আইস রোলারের সঙ্গে গুয়া শা ব্যবহার করলে তাও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
২. ঠিক একই ভাবে ত্বকের ছিদ্রগুলিকে অল্প সময়ের জন্য সংকুচিত করতে পারে। ত্বকের তাপমাত্রা যে মুহূর্তে ঘরের তাপমাত্রায় চলে আসবে, তখনই ছিদ্রগুলি আবার খুলে আসবে। অর্থাৎ কেবল মাত্র শীতল প্রভাবে খানিক সময়ের জন্য উপকার মেলে। তাই বলা হয়, কোনও ফোটোশুট বা কোনও অল্প সময়ের কাজ থাকলে আইস রোলার কার্যকরী হতে পারে। ঠান্ডা জলের ঝাপ্টার থেকে খুব আলাদা কিছু নয়।
৩. এ কথা ঠিক যে, প্রদাহ কমানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পন্থা হিসেবে কাজে আসতে পারে আইস ফেস রোলার। ত্বকের উপর লাল ভাব, জ্বালা, প্রদাহ থেকে তৈরি হওয়া ব্রণ সারানোর জন্য বরফের শীতল স্পর্শ সাহায্য করতে পারে। তবে ফ্রিজ়ার থেকে বার করে সরাসরি ধাতব রোলার মুখে লাগালে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাপড়ে জড়িয়ে নেওয়া ভাল বা ফ্রিজ়ারের বদলে ফ্রিজে রাখলে ভাল।
৪. ত্বকচর্চার পণ্য শোষণের জন্য তেমন কার্যকরী নয় আইস ফেস রোলার। বরং উল্টো কাজ করতে পারে। ধরা যাক, আপনি সিরাম মেখেছেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রোলার প্রয়োগ করবেন না। ৩-৪ মিনিটের ব্যবধান প্রয়োজন।
রোজ সকালে ব্যবহার করা উচিত?
আইস রোলিং একটি ট্রেন্ড হিসেবে শুরু হলেও এতে কিছু উপকারিতা রয়েছে। তবে জাদুকরী ফল মেলার আশা করা উচিত নয়। আর তাই রোজ এটি ব্যবহার না করলেই ভাল। সকালের নিস্তেজ ত্বককে সতেজ ও ঠান্ডা করতে অনেকেই রোলিং মাসাজ করেন। কিন্তু রুটিনে বাদ পড়ে গেলে ত্বকের বিশেষ কোনও ক্ষতি হয় না। তবে যদি প্রদাহের সমস্যায় ভোগেন, তখন নিয়মি কয়েক দিন আইস রোলিং করা উচিত। নচেৎ এতও উপকারী নয় যে, এক দিনও বাদ দেওয়া যাবে না।
বরফের শীতল স্পর্শের উপকার পেতেই আইস রোলার ব্যবহার করা হয়। সারা মুখে রোলারের চাপ দিয়ে দিয়ে ত্বকের রক্তপ্রবাহ বাড়ানো হয়। মুখ ও চোখের ফোলা ভাব ও ক্লান্তি কিছুটা হ্রাস পায়। অনেকে ক্রিম বা সিরাম মাখার পর রোলার ব্যবহার করেন। তাতে পণ্য ত্বকের সঙ্গে ভাল ভাবে মিশে যেতে পারে। এর ফলে মুখ সাময়িক ভাবে টানটান হয়ে যায়। তা ছা়ড়া খানিক ক্ষণের জন্য স্নায়বিক চাপ কমিয়ে স্বস্তি দিতে পারে। ত্বকের প্রদাহও কমানো যায় আইস রোলিংয়ের মাধ্যমে। উপরন্তু ত্বকের ছিদ্রগুলিকে সংকুচিত করতে পারে বলেও বিশ্বাস।
আদৌ কতখানি উপকার পাওয়া যায়?
১. আপনি যদি ভাবেন, ত্বকে দীর্ঘমেয়াদি টানটান ভাব আনবেন, তা হলে অতও কাজ দেবে না। ‘ফেস লিফট’-এর বিকল্প নয় এটি। মুখের গঠনে পরিবর্তন আসে না। তবে চোয়াল তীক্ষ্ণ করার জন্য আইস রোলারের সঙ্গে গুয়া শা ব্যবহার করলে তাও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
২. ঠিক একই ভাবে ত্বকের ছিদ্রগুলিকে অল্প সময়ের জন্য সংকুচিত করতে পারে। ত্বকের তাপমাত্রা যে মুহূর্তে ঘরের তাপমাত্রায় চলে আসবে, তখনই ছিদ্রগুলি আবার খুলে আসবে। অর্থাৎ কেবল মাত্র শীতল প্রভাবে খানিক সময়ের জন্য উপকার মেলে। তাই বলা হয়, কোনও ফোটোশুট বা কোনও অল্প সময়ের কাজ থাকলে আইস রোলার কার্যকরী হতে পারে। ঠান্ডা জলের ঝাপ্টার থেকে খুব আলাদা কিছু নয়।
৩. এ কথা ঠিক যে, প্রদাহ কমানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পন্থা হিসেবে কাজে আসতে পারে আইস ফেস রোলার। ত্বকের উপর লাল ভাব, জ্বালা, প্রদাহ থেকে তৈরি হওয়া ব্রণ সারানোর জন্য বরফের শীতল স্পর্শ সাহায্য করতে পারে। তবে ফ্রিজ়ার থেকে বার করে সরাসরি ধাতব রোলার মুখে লাগালে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাপড়ে জড়িয়ে নেওয়া ভাল বা ফ্রিজ়ারের বদলে ফ্রিজে রাখলে ভাল।
৪. ত্বকচর্চার পণ্য শোষণের জন্য তেমন কার্যকরী নয় আইস ফেস রোলার। বরং উল্টো কাজ করতে পারে। ধরা যাক, আপনি সিরাম মেখেছেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রোলার প্রয়োগ করবেন না। ৩-৪ মিনিটের ব্যবধান প্রয়োজন।
রোজ সকালে ব্যবহার করা উচিত?
আইস রোলিং একটি ট্রেন্ড হিসেবে শুরু হলেও এতে কিছু উপকারিতা রয়েছে। তবে জাদুকরী ফল মেলার আশা করা উচিত নয়। আর তাই রোজ এটি ব্যবহার না করলেই ভাল। সকালের নিস্তেজ ত্বককে সতেজ ও ঠান্ডা করতে অনেকেই রোলিং মাসাজ করেন। কিন্তু রুটিনে বাদ পড়ে গেলে ত্বকের বিশেষ কোনও ক্ষতি হয় না। তবে যদি প্রদাহের সমস্যায় ভোগেন, তখন নিয়মি কয়েক দিন আইস রোলিং করা উচিত। নচেৎ এতও উপকারী নয় যে, এক দিনও বাদ দেওয়া যাবে না।