মা হওয়া এক অভিজ্ঞতা, এক যাত্রা। প্রতিটি মুহূর্তে নারীর শরীরে চলে নানা পরিবর্তন, আর সেই সময় প্রয়োজন পড়ে ভালোবাসা, যত্ন আর সহানুভূতির। কিন্তু অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তের কাছে সেই যাত্রাটা ছিল কষ্ট আর অপমানে ভরা—বলিউডের ছবির সেটে।
সম্প্রতি নেহা ধূপিয়ার ‘ফ্রিডম টু ফিড’ সেশনে অংশ নিয়ে নিজের গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন রাধিকা। জানালেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানানোর আগে, যখন তিনি এক বলিউড ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত, তখন এক পরিচালক তাঁর গর্ভধারণের খবর শুনে বেজায় বিরক্ত হন।
রাধিকার ভাষায়, “আমি প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ভুগছিলাম, শরীর ফুলে যাচ্ছিল, কিন্তু তবুও তিনি আমাকে টাইট জামা পরতে জোর করতেন। এমনকি যেদিন আমি খুব অসুস্থ বোধ করছিলাম, ব্যথায় কাতরাচ্ছিলাম, সেদিনও আমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে দেননি। সেই দিনগুলো খুব কষ্টের ছিল।”
এই ঘটনার সময় তিনি প্রেগন্যান্সির প্রথম ত্রৈমাসিকে ছিলেন। খাবারের প্রবল ইচ্ছা, শরীরের পরিবর্তন—সব মিলিয়ে মানসিকভাবে একটা সাপোর্ট চাচ্ছিলেন রাধিকা। কিন্তু বলিউডের সেই পরিচালক ছিলেন সম্পূর্ণ উদাসীন।
যদিও পরিচালকটির নাম প্রকাশ করেননি, তবুও রাধিকা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন যে এই অভিজ্ঞতা তাঁকে মানসিকভাবে দুঃখ দিয়েছিল। “আমি বিশেষ কিছু চাইনি, শুধু একটু মানবিকতা আশা করেছিলাম। এটা তো আমার জীবনের একটা আনন্দের খবর ছিল, সেটা শেয়ার করার পরও কেউ এমন ঠাণ্ডা প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, ভাবতেই পারিনি,” বলেন তিনি।
তবে পরিস্থিতির একেবারে উলটো দিকটাও দেখেছেন রাধিকা। একই সময়ে এক আন্তর্জাতিক প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল একেবারে আলাদা। “ওই হলিউড পরিচালক এতটা সাপোর্টিভ ছিলেন! আমি বলেছিলাম, হয়তো শুটিংয়ের শেষে আমাকে দেখে কেউ চিনতেই পারবে না, কারণ আমি অনেক খাচ্ছি। তিনি হেসে বলেছিলেন, ‘তাতে কী? তুমি তো প্রেগন্যান্ট, তুমি যেমনই হও, ঠিক আছো।’ এই কথাগুলোই আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।”
২০১৩ সালে সুরকার বেনেডিক্ট টেলরের সঙ্গে বিয়ে করেন রাধিকা আপ্তে। দীর্ঘদিন ধরে নিজের ব্যক্তিগত জীবন মিডিয়ার আড়ালে রেখেছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে তিনি তাঁর প্রেগন্যান্সির খবর শেয়ার করেন, এবং ডিসেম্বরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। কাজের দিক থেকে, রাধিকাকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘সিস্টার মিডনাইট’ সিনেমায়, যা ২০২৪ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিশ্বপ্রিমিয়ারে প্রদর্শিত হয়।
একটা সময়, একটা ঘটনা, অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়। রাধিকার এই অভিজ্ঞতা যেমন বলে দেয় বলিউডের কিছু নির্মম বাস্তবতা, তেমনই আবার আশা জাগায়—মানবিকতা আজও আছে, শুধু জায়গা বদলে নিয়েছে। একজন মা হিসেবে রাধিকা আজ আরও আত্মবিশ্বাসী। আর একজন শিল্পী হিসেবে তিনি কখনওই চুপ থাকবেন না।
সম্প্রতি নেহা ধূপিয়ার ‘ফ্রিডম টু ফিড’ সেশনে অংশ নিয়ে নিজের গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন রাধিকা। জানালেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানানোর আগে, যখন তিনি এক বলিউড ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত, তখন এক পরিচালক তাঁর গর্ভধারণের খবর শুনে বেজায় বিরক্ত হন।
রাধিকার ভাষায়, “আমি প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ভুগছিলাম, শরীর ফুলে যাচ্ছিল, কিন্তু তবুও তিনি আমাকে টাইট জামা পরতে জোর করতেন। এমনকি যেদিন আমি খুব অসুস্থ বোধ করছিলাম, ব্যথায় কাতরাচ্ছিলাম, সেদিনও আমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে দেননি। সেই দিনগুলো খুব কষ্টের ছিল।”
এই ঘটনার সময় তিনি প্রেগন্যান্সির প্রথম ত্রৈমাসিকে ছিলেন। খাবারের প্রবল ইচ্ছা, শরীরের পরিবর্তন—সব মিলিয়ে মানসিকভাবে একটা সাপোর্ট চাচ্ছিলেন রাধিকা। কিন্তু বলিউডের সেই পরিচালক ছিলেন সম্পূর্ণ উদাসীন।
যদিও পরিচালকটির নাম প্রকাশ করেননি, তবুও রাধিকা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন যে এই অভিজ্ঞতা তাঁকে মানসিকভাবে দুঃখ দিয়েছিল। “আমি বিশেষ কিছু চাইনি, শুধু একটু মানবিকতা আশা করেছিলাম। এটা তো আমার জীবনের একটা আনন্দের খবর ছিল, সেটা শেয়ার করার পরও কেউ এমন ঠাণ্ডা প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, ভাবতেই পারিনি,” বলেন তিনি।
তবে পরিস্থিতির একেবারে উলটো দিকটাও দেখেছেন রাধিকা। একই সময়ে এক আন্তর্জাতিক প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল একেবারে আলাদা। “ওই হলিউড পরিচালক এতটা সাপোর্টিভ ছিলেন! আমি বলেছিলাম, হয়তো শুটিংয়ের শেষে আমাকে দেখে কেউ চিনতেই পারবে না, কারণ আমি অনেক খাচ্ছি। তিনি হেসে বলেছিলেন, ‘তাতে কী? তুমি তো প্রেগন্যান্ট, তুমি যেমনই হও, ঠিক আছো।’ এই কথাগুলোই আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।”
২০১৩ সালে সুরকার বেনেডিক্ট টেলরের সঙ্গে বিয়ে করেন রাধিকা আপ্তে। দীর্ঘদিন ধরে নিজের ব্যক্তিগত জীবন মিডিয়ার আড়ালে রেখেছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে তিনি তাঁর প্রেগন্যান্সির খবর শেয়ার করেন, এবং ডিসেম্বরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। কাজের দিক থেকে, রাধিকাকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘সিস্টার মিডনাইট’ সিনেমায়, যা ২০২৪ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিশ্বপ্রিমিয়ারে প্রদর্শিত হয়।
একটা সময়, একটা ঘটনা, অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়। রাধিকার এই অভিজ্ঞতা যেমন বলে দেয় বলিউডের কিছু নির্মম বাস্তবতা, তেমনই আবার আশা জাগায়—মানবিকতা আজও আছে, শুধু জায়গা বদলে নিয়েছে। একজন মা হিসেবে রাধিকা আজ আরও আত্মবিশ্বাসী। আর একজন শিল্পী হিসেবে তিনি কখনওই চুপ থাকবেন না।