ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমি নাকি বিয়ে নিয়ে খুব প্রেশার দিই ওকে নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন খুলনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে টিডিপির প্রশংসনীয় উদ্যোগ: স্বেচ্ছাশ্রমে সুইজগেট খাল পরিষ্কার আনসার ভিডিপি'র মহাপরিচালকের শফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমি পরিদর্শনে রাজশাহীতে ঋণের দায়ে ও খাওয়ার অভাবে চার মৃত্যু, ধার করে চল্লিশা ক্যাটরিনাকে বিয়ের আগে রাধিকার সঙ্গে সম্পর্ক? অভিনেত্রীর বা়ড়ি থেকে পাওয়া গেল ভিকির বিশেষ জিনিস রাশিয়া থেকে তেল কিনে যাচ্ছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সদস্যেরাও! পাকিস্তান, চিনের আকাশ হামলা ঠেকাতে থ্রিডি রেডার পেল নৌসেনা, স্পেনের সহযোগিতায় বানাল টাটা শতায়ুর সংখ্যায় লাখ ছুঁইছুঁই জাপানে, নতুন তথ্য প্রকাশ করল সরকার! বেশি দিন বাঁচার রহস্য কী? শাহরুখ কন্যা সুহানার ২ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ভিডিও, রইল নায়িকা রাধিকার পর্ন ভিডিও এখন বাজারে নোয়াখালীতে ৪২৫ কচ্ছপ উদ্ধার মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১০ শাহজাদপুরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সেলিম রেজা গ্রেফতার ফেনীতে দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার, ৪টি চোরাই গরু উদ্ধার গাছ প্রিয় রাণীশংকৈলের করিমুল রাজশাহীতে প্রাথমিক শিক্ষায় অচলাবস্থা: এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ, ব্যালট বাক্সের নমুনা তৈরি রাজশাহীতে ২৪ লাখ টাকার স্বর্ণলংকার উদ্ধার; নারী-সহ দুই চোর গ্রেফতার গোদাগাড়ী খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল মজুদের অভিযোগ

দ্বীনের পথে হজরত আবু হোরায়রার (রা.) ত্যাগ

  • আপলোড সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ০২:৪৯:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ০২:৪৯:১৩ অপরাহ্ন
দ্বীনের পথে হজরত আবু হোরায়রার (রা.) ত্যাগ ছবি: সংগৃহীত
আবু হোরায়রা (রা.) নবিজি হজরত মোহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একজন সাহাবি। তার প্রকৃত নাম আবদুর রহমান ইবনে সাখর। বিড়াল পোষার অভ্যাসের কারণে তিনি ‘আবু হোরায়রা’ বা বিড়ালের বাবা নামে প্রসিদ্ধ হন। নবিজির (রা.) হাদিস বর্ণনার জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি নবিজির (সা.) বহুসংখ্যাক হাদিস বর্ণনা করেছেন। বিভিন্ন গ্রন্থে সংকলিত হাদিসমূহের মধ্যে তার বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। প্রায় আটশত তাবেঈ তার কাছ থেকে হাদিস শুনেছেন এবং বর্ণনা করেছেন।

আবু হোরায়রা (রা.) ষষ্ঠ বা সপ্তম হিজরিতে ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর নবিজির (সা.) ওফাত পর্যন্ত প্রায় তিন/চার বছর সর্বক্ষণ তিনি নবিজির (সা.) সাথে থাকতেন। এ পুরো সময় জ্ঞান অর্জনই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। তিনি অন্য বেশিরভাগ সাহাবির মতো উপার্জনের জন্য কৃষি, ব্যবসা বা অন্যান্য কাজে জড়িত হননি। যে কারণে অনেক সময় তাকে অনাহারে-অর্ধাহারে কষ্ট করতে হতো।

তাবেঈ মুজাহিদ (রহ.) থেকে বর্ণিত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম! যিনি ছাড়া অর কোনো মাবুদ নেই, আমি অনেক সময় ক্ষুধার জ্বালায় আমার পেট মাটিতে রেখে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতাম। অনেক সময় ক্ষুধার জালায় আমার পেটে পাথর বেঁধে রাখতাম। একদিনের ঘটনা। আমি ক্ষুধার যন্ত্রণায় বাধ্য হয়ে নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবিগণের যাতায়াতের পথে বসে থাকলাম।

কিছুক্ষণ পর আবু বকর (রা.) ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তাকে কোরআনের একটা আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম এই উদ্দেশ্যে যে, তিনি হয়তো বুঝতে পারবেন আমি ক্ষুধার্ত এবং আমার খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তিনি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলে গেলেন, আমার অবস্থা বুঝতে পারলেন না। কিছুক্ষণ পর ওমর (রা.) যাচ্ছিলেন। আমি তাকেও কোরআনের একটি আয়াতের ব্যাপারে প্রশ্ন করলাম। কিন্তু তিনিও উত্তর দিয়ে চলে গেলেন, আমার অবস্থা বুঝতে পারলেন না।

কিছুক্ষণ পর ওই পথ দিয়ে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে দেখেই মুচকি হাসলেন। আমার মধ্যে কী অস্থিরতা চলছে আমার চেহারা দেখেই তিনি তা বুঝতে পারলেন। বললেন, তুমি আমার সঙ্গে চল। আমি তার অনুসরণ করলাম।

নবিজি (সা.) ঘরে ঢোকার অনুমতি চাইলেন এবং আমাকে ঢোকার অনুমতি দিলেন। ঘরে একটি গ্লাসে কিছু পরিমান দুধ ছিল। তিনি বললেন, এ দুধ কোথা থেকে এসেছে? ঘরের অন্যরা বললেন, এটা আপনার জন্য অমুক পুরুষ অথবা অমুক নারী হাদিয়া হিসেবে পাঠিয়েছে। নবিজি (সা.) আমাকে বললেন, তুমি সুফফাবাসীদের ডেকে নিয়ে এসো।

সুফফাবাসীরা ইসলামের মেহমান ছিলেন। তাদের কোনো পরিবার ছিল না, তাদের কোনো সম্পদ ছিল না এবং তাদের কারো উপর নির্ভরশীল হওয়ারও সুযোগ ছিল না। যখন কোন সদকা আসত তখন নবিজি (সা.) তা তাদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। তিনি সদকা নিজের জন্য গ্রহন করতেন না। আর যখন কোনো হাদিয়া আসত, তখন তার কিছু অংশ নবিজি (সা.) তাদের দিয়ে দিতেন এবং তা থেকে নিজের জন্যও কিছু রাখতেন। নবিজির (সা.) নির্দেশ শুনে আমার মনে কিছুটা হতাশা এলো। মনে মনে ভাবলাম যে এ সামান্য দুধ সুফফার এতজন মানুষ কীভাবে খাবে? কারোই তো ক্ষুধা মিটবে না। এ সামান্য দুধ আমার জন্যই যথেষ্ট হতো। এটা পান করলে শরীরে কিছুটা শক্তি পেতাম।

কিন্তু আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশ না মেনে কোন উপায় নেই। আমি সুফফাবাসীদের ডেকে আনলাম। তারা এসে ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি চাইলে তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তারা ঘরে ঢুকে বসলে নবিজি (সা.) আমাকেই নির্দেশ দিলেন আমি যেন সবাইকে দুধ পান করাই। আমার আশা রইলো না যে, এ দুধ থেকে আমি কিছু পাব। আমি দুধের গ্লাস নিয়ে একে একে সবাইকে পান করাতে লাগলাম। প্রত্যেকেই দুধের গ্লাস নিয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে দুধ পান করছিলেন। আমি আশ্চর্য হয়ে আমি লক্ষ করছিলাম দুধ শেষ হয়ে যাচ্ছে না, এমন কি কমছেও না। সবাইকে দুধ পান করিয়ে আমি নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পর্যন্ত পৌছলাম।

নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুধের গ্লাসটি হাতে নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, এখন তো আমি আর তুমি আছি। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি ঠিক বলছেন। তিনি বললেন, এবার তুমি পান কর। তখন আমি বসে কিছু পান করলাম। তিনি বললেন, আরও পান কর। আমি আরও পান করলাম। তিনি বারবার আমাকে পান করার নির্দেশ দিতে লাগলেন। এক পর্যায়ে আমি বলতে বাধ্য হলাম যে, আর পারছি না, যে সত্তা আপনাকে সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন, তার কসম! আমার পেটে আর জায়গা নেই। নবিজি (সা.) বললেন, তাহলে আমাকে দাও। আমি দুধের গ্লাসটি তাকে দিলাম। তিনি আলহামদুলিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ বলে অবশিষ্ট দুধ পান করলেন।

সূত্র: সহিহ বুখারি: ৬০০৮

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ, ব্যালট বাক্সের নমুনা তৈরি

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ, ব্যালট বাক্সের নমুনা তৈরি