দীর্ঘদিন ধরে চলমান খরার পর অবশেষে বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আমন চাষাবাদ। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের অভাবে কৃষকরা যখন চরম উৎকণ্ঠায় ছিলেন, তখন কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ যেন এনে দিয়েছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। ফলে বৃষ্টির পানিতে সিক্ত জমিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষকরা।
বর্ষা মৌসুমের মাঝামাঝি সময় পেরিয়ে গেলেও কাক্সিক্ষত বৃষ্টির দেখা মেলেনি দীর্ঘদিন। ফলে অনেক কৃষক বীজতলায় চারা প্রস্তুত রেখেও পানির অভাবে রোপণ করতে পারছিলেন না। যাঁরা সচ্ছল, তাঁরা ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ কার্যক্রম চালালেও প্রান্তিক ও মধ্যবিত্ত কৃষকরা ছিলেন পুরোপুরি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দিনাজপুরে মোট ১ হাজার ২৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম। জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ২৪৭ মিলিমিটার। তবে আগস্টে বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা জমি প্রস্তুত করছেন, কেউবা আগাছা পরিষ্কার ও সার প্রয়োগে ব্যস্ত, আবার অনেকেই চারা রোপণে সময় পার করছেন।
দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক মোস্তফা বলেন, ৩ একর জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের আমন ধান লাগাবো ভেবেছিলাম, কিন্তু বৃষ্টির অভাবে শুরু করতে পারিনি। এখন বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে চারা রোপণ করছি।
একই গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমন চাষে আমরা মূলত বৃষ্টির পানি ব্যবহার করি। এখন জমিতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় রোপণ উপযোগী হয়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানুর রহমান জানান, ফুলবাড়ী পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে এবার ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির ঘাটতির কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চারা রোপণ শেষ হবে এবং আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।
বর্ষা মৌসুমের মাঝামাঝি সময় পেরিয়ে গেলেও কাক্সিক্ষত বৃষ্টির দেখা মেলেনি দীর্ঘদিন। ফলে অনেক কৃষক বীজতলায় চারা প্রস্তুত রেখেও পানির অভাবে রোপণ করতে পারছিলেন না। যাঁরা সচ্ছল, তাঁরা ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ কার্যক্রম চালালেও প্রান্তিক ও মধ্যবিত্ত কৃষকরা ছিলেন পুরোপুরি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দিনাজপুরে মোট ১ হাজার ২৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম। জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ২৪৭ মিলিমিটার। তবে আগস্টে বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা জমি প্রস্তুত করছেন, কেউবা আগাছা পরিষ্কার ও সার প্রয়োগে ব্যস্ত, আবার অনেকেই চারা রোপণে সময় পার করছেন।
দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক মোস্তফা বলেন, ৩ একর জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের আমন ধান লাগাবো ভেবেছিলাম, কিন্তু বৃষ্টির অভাবে শুরু করতে পারিনি। এখন বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে চারা রোপণ করছি।
একই গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমন চাষে আমরা মূলত বৃষ্টির পানি ব্যবহার করি। এখন জমিতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় রোপণ উপযোগী হয়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানুর রহমান জানান, ফুলবাড়ী পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে এবার ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির ঘাটতির কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চারা রোপণ শেষ হবে এবং আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।