দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে দেড় বছর বয়সী এক শিশুকে মায়ের কোল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার দুদিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
অপহরণের পর শিশুটির পরিবারের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে শিশুটিকে নিয়ে তার মা-বাবা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যান। এদিন রাত ৮টার দিকে এলিজা মার্ডি নামে এক আত্মীয়া শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে মায়ের কোল থেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে শিশুটির আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন সকালে এলিজা মার্ডি একাই বাড়ি ফিরে আসেন এবং শিশুটির বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এরই মধ্যে বিকেলে এলিজা মার্ডির চাচা শিশুটির পরিবারের কাছে ফোন করে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তবে শিশুটির পরিবার মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির অদূরে একটি জঙ্গল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা একটি শুকনো নালার মধ্যে অর্ধগলিত অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে নিখোঁজ শিশুর স্বজনেরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় উত্তেজিত গ্রামবাসী এলিজা মার্ডি, তার চাচা এবং আরও চারজনসহ মোট ছয়জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশুটির নাম লিলি বেসরা। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মতিন জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে এবং নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।