নাটোরের সিংড়ায় কবুতর চুরির অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫।
মঙ্গলবার বিকালে র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো একপ্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ৮ আগস্ট, শুক্রবার, সিংড়া পৌরসভার পার সিংড়া (মান্তা পাড়া) এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
মঙ্গলবার বিকালে র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো একপ্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ৮ আগস্ট, শুক্রবার, সিংড়া পৌরসভার পার সিংড়া (মান্তা পাড়া) এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত আকরাম হোসেনকে (২০) প্রায় এক সপ্তাহ আগে করা কবুতর চুরির অভিযোগে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয় বলে জানা গেছে। অভিযুক্তরা হলেন সিংড়া বাজার সিট কাপড়ের গলির 'লতিফ ভান্ডারী বস্ত্রবিতান'-এর মালিক লতিফ ভান্ডারীর দুই ছেলে, মোঃ মিঠু ভান্ডারী (৪০) এবং মোঃ মামুন ভান্ডারী (৩২)। তারা তাদের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আকরামকে চোর হিসেবে শনাক্ত করে।
ঘটনার দিন, ৮ আগস্ট, সকাল ১১টার দিকে, অভিযুক্ত দুই ভাই পার সিংড়া গ্রামের একটি আশ্রয়ন প্রকল্পের কাছে আকরামকে খুঁজে পায়। আকরাম পালানোর জন্য পানিতে ঝাঁপ দিলে তারা তাকে পানি থেকে তুলে এনে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আকরামকে একটি ভ্যানের মাধ্যমে মোঃ আব্দুর রশিদের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাল সাড়ে ৪টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহত আকরামের চাচাতো ভাই মোঃ রাজেশ খান বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর, র্যাব-৫ এর একটি দল গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) দিনগত রাতে রাজশাহী জেলার তানোর থানাধীন সিন্দুকাই এলাকা থেকে মিঠু ভান্ডারী ও মামুন ভান্ডারীকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদেরকে সিংড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।