উজানের ঢল ও অবিরাম বর্ষণে তিস্তা, যমুনা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে তিস্তা নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। পানি বৃদ্ধির কারণে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা ও নীলফামারী জেলার তিস্তাপাড়ের ১৩টি উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের ১৪০টি চর ও নদীতীরবর্তী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানিও দ্রুত বাড়ছে, তবে এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া, কঞ্জিপাড়া, কেতকির হাট, চর কালাসোনার মতো বেশ কয়েকটি চরের মানুষ বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেক চরের নিচু জমিতে এরই মধ্যে পানি উঠেছে এবং অন্তত ২২টি ছোট-বড় চরের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে, যা নদীর পানি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যে, আগামী কয়েকদিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সতর্কসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
বন্যার আশঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেক কৃষক তাদের আমন খেত ও সবজি নিয়ে চিন্তিত। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার চর বজরা এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোরে অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে এবং গবাদিপশু নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুতি রয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। পানি বৃদ্ধির কারণে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা ও নীলফামারী জেলার তিস্তাপাড়ের ১৩টি উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের ১৪০টি চর ও নদীতীরবর্তী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানিও দ্রুত বাড়ছে, তবে এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া, কঞ্জিপাড়া, কেতকির হাট, চর কালাসোনার মতো বেশ কয়েকটি চরের মানুষ বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেক চরের নিচু জমিতে এরই মধ্যে পানি উঠেছে এবং অন্তত ২২টি ছোট-বড় চরের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে, যা নদীর পানি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যে, আগামী কয়েকদিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সতর্কসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
বন্যার আশঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেক কৃষক তাদের আমন খেত ও সবজি নিয়ে চিন্তিত। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার চর বজরা এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোরে অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে এবং গবাদিপশু নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুতি রয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে।