সম্প্রতি মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার এক চাঞ্চল্যকর পরিকল্পনার কথা ফাঁস করেছেন। তার এই জবানবন্দির মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা দেশব্যাপী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের একটি ছক প্রকাশ পেয়েছে।
পরিকল্পনার মূল রূপরেখা
জাফরিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঢাকায় জড়ো করা। চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশব্যাপী অস্থিতিশীল ও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা, যার মাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা যায়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে সিগন্যাল ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপ ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করা হচ্ছিল।
গোপন বৈঠক ও প্রশিক্ষণ
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কে বি কনভেনশন সেন্টারে একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীসহ প্রায় ৩০০-৪০০ জন উপস্থিত ছিলেন। জাফরিন নিজেও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রেখেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের জন্য শপথ গ্রহণ করেন এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল।
জাফরিনের ভূমিকা
সুমাইয়া জাফরিন এই ষড়যন্ত্রের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি 'অপারেশন ঢাকা ব্লকেড'-এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহ, গোপন কোড তৈরি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাদের একত্রিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, তিনি তার স্বামী মেজর সাদিককে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর ডিওএইচএস, কাঁটাবন ও পূর্বাচলের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় একাধিক গোপন বৈঠকে অংশ নেন।
আইনি পদক্ষেপ
এই গোপন বৈঠক ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার স্বামী মেজর সাদিককে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সেনা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত জাফরিনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরিকল্পনার মূল রূপরেখা
জাফরিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঢাকায় জড়ো করা। চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশব্যাপী অস্থিতিশীল ও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা, যার মাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা যায়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে সিগন্যাল ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপ ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করা হচ্ছিল।
গোপন বৈঠক ও প্রশিক্ষণ
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কে বি কনভেনশন সেন্টারে একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীসহ প্রায় ৩০০-৪০০ জন উপস্থিত ছিলেন। জাফরিন নিজেও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রেখেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের জন্য শপথ গ্রহণ করেন এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল।
জাফরিনের ভূমিকা
সুমাইয়া জাফরিন এই ষড়যন্ত্রের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি 'অপারেশন ঢাকা ব্লকেড'-এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহ, গোপন কোড তৈরি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাদের একত্রিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, তিনি তার স্বামী মেজর সাদিককে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর ডিওএইচএস, কাঁটাবন ও পূর্বাচলের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় একাধিক গোপন বৈঠকে অংশ নেন।
আইনি পদক্ষেপ
এই গোপন বৈঠক ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার স্বামী মেজর সাদিককে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সেনা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত জাফরিনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।