রাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা, নির্বাচনী আচরণবিধি, পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা ও শতভাগ আবাসিকতার রোডম্যাপ প্রকাশ করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে 'আরইউ স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স'। 
সোমবার (২০ মে) বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সমাবেশে আগত শিক্ষার্থীরা প্যারিস রোড ব্লক করে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, আজকের ছাত্র সমাবেশের অন্যতম প্রধান দাবি হলো—অনতিবিলম্বে রাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা ও পূর্ণাঙ্গ তফসিল প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ যত দ্রুত সম্ভব প্রকাশ করতে হবে। যদি প্রশাসন তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের ব্যর্থতা স্বীকার করে সকল অনাবাসিক শিক্ষার্থীর উপযুক্ত অনাবাসিক ভাতা প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সকল শিক্ষার্থীকে এই রাকসু নির্বাচন এবং শতভাগ আবাসিকতার আন্দোলনের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেওয়া হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলো কার্যকর করা। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমান প্রশাসন নিজেদের বিপ্লবী প্রশাসন দাবি করলেও শিক্ষার্থীদের চোখে তাদের উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ দেখতে পাওয়া যায় না। রাকসু নির্বাচন ও শতভাগ আবাসন নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা এর আগেও অনেক মানববন্ধন করেছি, কিন্তু প্রশাসন এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
রাবির আরেক সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আজ আমরা যে প্রধান দুইটা দাবি নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি, সেই দাবি দুইটা ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত এবং রাকসু নির্বাচন কার্যকর করা এখন প্রতিটি শিক্ষার্থীর দাবি। ক্যাম্পাসে শত শত বিঘা জমি পড়ে আছে, প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করা কোনো ব্যাপার বলে আমি মনে করি না। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রশাসনের ভিষণ উদাসীন আছে বলে মনে করছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের ৯ দফার অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি হলো ছাত্র সংসদ বাস্তবায়ন এবং লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে তার কিছুই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা প্রশাসনের কাছে যতো দাবি করছি তারা শুধু সাময়িক আশ্বাস দিচ্ছে আমাদের, কিছুই বাস্তবায়ন করছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একটা কাজই ভালোমতো পারে তা হলো তদন্ত কমিটি গঠন করতে, কিন্তু তা কখনো ফলপ্রসূ হয় না। আজকের এই সমাবেশ থেকে একটাই কথা, রাকসু নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না।
শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের নিরবতা ও আশ্বাসের রাজনীতিতে তারা ক্ষুব্ধ। আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রাকসু নির্বাচন ও শতভাগ আবাসিকতা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
                           সোমবার (২০ মে) বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সমাবেশে আগত শিক্ষার্থীরা প্যারিস রোড ব্লক করে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, আজকের ছাত্র সমাবেশের অন্যতম প্রধান দাবি হলো—অনতিবিলম্বে রাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা ও পূর্ণাঙ্গ তফসিল প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ যত দ্রুত সম্ভব প্রকাশ করতে হবে। যদি প্রশাসন তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের ব্যর্থতা স্বীকার করে সকল অনাবাসিক শিক্ষার্থীর উপযুক্ত অনাবাসিক ভাতা প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সকল শিক্ষার্থীকে এই রাকসু নির্বাচন এবং শতভাগ আবাসিকতার আন্দোলনের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেওয়া হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলো কার্যকর করা। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমান প্রশাসন নিজেদের বিপ্লবী প্রশাসন দাবি করলেও শিক্ষার্থীদের চোখে তাদের উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ দেখতে পাওয়া যায় না। রাকসু নির্বাচন ও শতভাগ আবাসন নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা এর আগেও অনেক মানববন্ধন করেছি, কিন্তু প্রশাসন এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
রাবির আরেক সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আজ আমরা যে প্রধান দুইটা দাবি নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি, সেই দাবি দুইটা ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত এবং রাকসু নির্বাচন কার্যকর করা এখন প্রতিটি শিক্ষার্থীর দাবি। ক্যাম্পাসে শত শত বিঘা জমি পড়ে আছে, প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করা কোনো ব্যাপার বলে আমি মনে করি না। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রশাসনের ভিষণ উদাসীন আছে বলে মনে করছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের ৯ দফার অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি হলো ছাত্র সংসদ বাস্তবায়ন এবং লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে তার কিছুই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা প্রশাসনের কাছে যতো দাবি করছি তারা শুধু সাময়িক আশ্বাস দিচ্ছে আমাদের, কিছুই বাস্তবায়ন করছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একটা কাজই ভালোমতো পারে তা হলো তদন্ত কমিটি গঠন করতে, কিন্তু তা কখনো ফলপ্রসূ হয় না। আজকের এই সমাবেশ থেকে একটাই কথা, রাকসু নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না।
শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের নিরবতা ও আশ্বাসের রাজনীতিতে তারা ক্ষুব্ধ। আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রাকসু নির্বাচন ও শতভাগ আবাসিকতা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
 
  এম শামীম
 এম শামীম  
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                