চশমার বিকল্প হিসেবে কনট্যাক্ট লেন্সের চাহিদা বরাবরই তুঙ্গে। চোখে ঝাপসাভাব কমায়, নাকের ডগায় ভারী ফ্রেমের ঝামেলা নেই, আর দৃষ্টিশক্তিতে কোনও বাধাও থাকে না। সবসময় শুধু যে চোখের সমস্যার জন্য লেন্স ব্যবহার হয় এমনটা নয়, ফ্যাশনের অঙ্গও বটে।
তবে সঠিক যত্ন না নিলে লেন্স ব্যবহারের ফলে চোখের গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যার চিকিৎসা সময়ে শুরু না হলে দৃষ্টি হারানোর কারণও হতে পারে।
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও ভিয়ান আই অ্যান্ড রেটিনা সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ নীরজ সানদুজা জানান, কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখের সংক্রমণের উচ্চতর ঝুঁকির পর্যায়ে থাকেন, বিশেষ করে এমন সংক্রমণ, যা দ্রুত চিকিৎসা না করলে স্থায়ী ক্ষতি বা অন্ধত্ব ডেকে আনতে পারে।
কেন ঝুঁকি বাড়ে?
ডাঃ সানদুজা বলেন, চোখের স্বচ্ছ সামনের অংশকে (কর্নিয়া) অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রোটিনযুক্ত টিয়ার ফিল্ম স্বাভাবিকভাবে সুরক্ষা দেয়। কনট্যাক্ট লেন্স এই প্রাকৃতিক সুরক্ষা ভেঙে দিতে পারে, ফলে চোখ সংক্রমণের জন্য বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তাছাড়া, লেন্স পরা অবস্থায় অনেকেই চোখের পাতা কম ফেলেন, যার ফলে চোখ শুকিয়ে যায় (ড্রাই আই)।
লেন্স পরা ও খোলার সময় কর্নিয়ায় ছোটখাটো ক্ষতও হতে পারে, যা শরীরে জীবাণুর প্রবেশপথ তৈরি করে।
লেন্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাইক্রোবিয়াল কেরাটাইটিস অন্যতম সাধারণ এবং বিপজ্জনক সংক্রমণ। এটি কর্নিয়ায় ব্যাকটেরিয়া (যেমন Pseudomonas aeruginosa), ফাঙ্গাস বা অ্যামিবা দ্বারা হতে পারে - বিশেষত লেন্স সঠিকভাবে পরিষ্কার বা সংরক্ষণ না করলে। আর্দ্র পরিবেশ, যেমন লেন্স কেস বা কলের জল, জীবাণুর জন্য আদর্শ জায়গা।
সংক্রমণের প্রধান ৪ কারণ কী হতে পারে? ডাঃ সানদুজার মতে -
• সঠিক স্বাস্থ্যবিধি না মানা: লেন্স ধরার আগে হাত না ধোয়া, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সলিউশন ব্যবহার, পুরনো সলিউশনে নতুন মিশিয়ে দেওয়া।
• লেন্স পরে ঘুমানো: রাতে লেন্স পরে থাকলে কর্নিয়ায় অক্সিজেনের জোগান কমে যায়, যা সংক্রমণ ও ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।
• সুইমিং বা স্নান করার সময় লেন্স ব্যবহার: দূষিত জলের সংস্পর্শে এলে বিশেষ করে Acanthamoeba সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
• অতিরিক্ত সময় লেন্স পরা: যত বেশি সময় লেন্স চোখে থাকবে, তত বেশি জীবাণু জমে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে।
প্রতিরোধের উপায়: এই ঝুঁকি এড়াতে ডাঃ সানদুজার পরামর্শ -
• কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
• সময়মতো লেন্স ও কেস বদলান
• জল লাগানো এড়িয়ে চলুন
• চক্ষুবিশেষজ্ঞের নির্দেশ মেনে চলুন
• নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করান, যাতে সমস্যা শুরুতেই ধরা পড়ে
তবে সঠিক যত্ন না নিলে লেন্স ব্যবহারের ফলে চোখের গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যার চিকিৎসা সময়ে শুরু না হলে দৃষ্টি হারানোর কারণও হতে পারে।
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও ভিয়ান আই অ্যান্ড রেটিনা সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ নীরজ সানদুজা জানান, কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখের সংক্রমণের উচ্চতর ঝুঁকির পর্যায়ে থাকেন, বিশেষ করে এমন সংক্রমণ, যা দ্রুত চিকিৎসা না করলে স্থায়ী ক্ষতি বা অন্ধত্ব ডেকে আনতে পারে।
কেন ঝুঁকি বাড়ে?
ডাঃ সানদুজা বলেন, চোখের স্বচ্ছ সামনের অংশকে (কর্নিয়া) অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রোটিনযুক্ত টিয়ার ফিল্ম স্বাভাবিকভাবে সুরক্ষা দেয়। কনট্যাক্ট লেন্স এই প্রাকৃতিক সুরক্ষা ভেঙে দিতে পারে, ফলে চোখ সংক্রমণের জন্য বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তাছাড়া, লেন্স পরা অবস্থায় অনেকেই চোখের পাতা কম ফেলেন, যার ফলে চোখ শুকিয়ে যায় (ড্রাই আই)।
লেন্স পরা ও খোলার সময় কর্নিয়ায় ছোটখাটো ক্ষতও হতে পারে, যা শরীরে জীবাণুর প্রবেশপথ তৈরি করে।
লেন্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাইক্রোবিয়াল কেরাটাইটিস অন্যতম সাধারণ এবং বিপজ্জনক সংক্রমণ। এটি কর্নিয়ায় ব্যাকটেরিয়া (যেমন Pseudomonas aeruginosa), ফাঙ্গাস বা অ্যামিবা দ্বারা হতে পারে - বিশেষত লেন্স সঠিকভাবে পরিষ্কার বা সংরক্ষণ না করলে। আর্দ্র পরিবেশ, যেমন লেন্স কেস বা কলের জল, জীবাণুর জন্য আদর্শ জায়গা।
সংক্রমণের প্রধান ৪ কারণ কী হতে পারে? ডাঃ সানদুজার মতে -
• সঠিক স্বাস্থ্যবিধি না মানা: লেন্স ধরার আগে হাত না ধোয়া, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সলিউশন ব্যবহার, পুরনো সলিউশনে নতুন মিশিয়ে দেওয়া।
• লেন্স পরে ঘুমানো: রাতে লেন্স পরে থাকলে কর্নিয়ায় অক্সিজেনের জোগান কমে যায়, যা সংক্রমণ ও ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।
• সুইমিং বা স্নান করার সময় লেন্স ব্যবহার: দূষিত জলের সংস্পর্শে এলে বিশেষ করে Acanthamoeba সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
• অতিরিক্ত সময় লেন্স পরা: যত বেশি সময় লেন্স চোখে থাকবে, তত বেশি জীবাণু জমে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে।
প্রতিরোধের উপায়: এই ঝুঁকি এড়াতে ডাঃ সানদুজার পরামর্শ -
• কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
• সময়মতো লেন্স ও কেস বদলান
• জল লাগানো এড়িয়ে চলুন
• চক্ষুবিশেষজ্ঞের নির্দেশ মেনে চলুন
• নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করান, যাতে সমস্যা শুরুতেই ধরা পড়ে