কেবলমাত্র একজন ছাত্রীর জন্য একটি রেলস্টেশন চালু রাখার যে অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী প্রচলিত, তা জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের কিউ-শিরাতাকি স্টেশনকে কেন্দ্র করে। যদিও এই গল্পের মূল ভিত্তি সত্য, তবে এর বহুল প্রচলিত কিছুটা অতিরঞ্জিত।
কোন দেশ কেবল একজন মেয়ের জন্য একটি রেলস্টেশন খোলা রেখেছিল?
হ্যাঁ, জাপান সরকার এই মহৎ কাজটি করেছিল। হোক্কাইডো দ্বীপের কিউ-শিরাতাকি স্টেশনটি মূলত কানা হারদা নামের একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীর জন্য চালু রাখা হয়েছিল। কম যাত্রী সংখ্যার কারণে জাপান রেলওয়ে স্টেশনটি বন্ধ করার পরিকল্পনা করলেও, কানা হারদার পড়াশোনার সুবিধার কথা মাথায় রেখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
কেন কিউ-শিরাতাকি স্টেশনটি বছরের পর বছর চালু রাখা হয়েছিল?
হোক্কাইডোর এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম ছিল। জাপান রেলওয়ে হোক্কাইডো কর্তৃপক্ষ লোকসানের কারণে কিউ-শিরাতাকি সহ মোট তিনটি স্টেশনকামি-শিরাতাকি এবং শিমো-শিরাতাকি ২০১৬ সালের মার্চ মাসে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তারা লক্ষ্য করে যে কানা হারদা নামে একজন ছাত্রী নিয়মিতভাবে স্কুলে যাতায়াতের জন্য এই স্টেশনটি ব্যবহার করে।[1] তার পড়াশোনা নিশ্চিত করার জন্য, কানা হারদার স্নাতক সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত স্টেশনটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ছাত্রীটির যাতায়াতের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
যদিও স্টেশনটি চালু ছিল, কানা হারদার যাতায়াত সহজ ছিল না। প্রতিদিন মাত্র চারটি ট্রেন এই স্টেশনে থামত, যার মধ্যে সকালে একটি এবং বিকেলে তিনটি। স্কুলের সময়সূচীর সাথে কেবল দুটি ট্রেনের সময় মিলত। এর ফলে, কানা কোনো স্কুল-পরবর্তী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারত না এবং প্রায়শই তাকে শেষ ট্রেন ধরার জন্য ক্লাস শেষেই দৌড়াতে হত। যদি এই ট্রেন পরিষেবা না থাকত, তাকে প্রায় ৭৩ মিনিট হেঁটে অন্য স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে হত।
গল্পের পেছনের কিছু তথ্য
যদিও কানা হারদাকে প্রায়শই এই স্টেশনের একমাত্র যাত্রী হিসেবে বর্ণনা করা হয়, কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি কিউ-শিরাতাকি স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠার পর আরও প্রায় ১০-১২ জন সহপাঠী সেই ট্রেনে থাকত।
এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করে যখন চীনের সিসিটিভি নিউজ নেটওয়ার্ক ইংরেজিতে একটি ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি তুলে ধরে। তবে, সেই পোস্টে কিছু তথ্যগত ভুল ছিল, যেমন স্টেশনটির নাম ভুলভাবে "কামি-শিরাতাকি" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল এবং দাবি করা হয়েছিল যে রেল কর্তৃপক্ষ তিন বছর আগে স্টেশনটি বন্ধ করার পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। বাস্তবে, স্টেশনটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ২০১৫ সালে নেওয়া হয়েছিল এবং কানা হারদার স্নাতক শেষ হওয়ার সাথে সময়সূচী মিলে যাওয়াটা ছিল কিছুটা কাকতালীয়, কারণ জাপানে মার্চ মাসেই শিক্ষাবর্ষ শেষ হয় এবং রেলের সময়সূচীও এই সময়েই বার্ষিক সংশোধন করা হয়।
এই গল্পটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৫শে মার্চ কানা হারদার স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার পর স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কোন দেশ কেবল একজন মেয়ের জন্য একটি রেলস্টেশন খোলা রেখেছিল?
হ্যাঁ, জাপান সরকার এই মহৎ কাজটি করেছিল। হোক্কাইডো দ্বীপের কিউ-শিরাতাকি স্টেশনটি মূলত কানা হারদা নামের একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীর জন্য চালু রাখা হয়েছিল। কম যাত্রী সংখ্যার কারণে জাপান রেলওয়ে স্টেশনটি বন্ধ করার পরিকল্পনা করলেও, কানা হারদার পড়াশোনার সুবিধার কথা মাথায় রেখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
কেন কিউ-শিরাতাকি স্টেশনটি বছরের পর বছর চালু রাখা হয়েছিল?
হোক্কাইডোর এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম ছিল। জাপান রেলওয়ে হোক্কাইডো কর্তৃপক্ষ লোকসানের কারণে কিউ-শিরাতাকি সহ মোট তিনটি স্টেশনকামি-শিরাতাকি এবং শিমো-শিরাতাকি ২০১৬ সালের মার্চ মাসে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তারা লক্ষ্য করে যে কানা হারদা নামে একজন ছাত্রী নিয়মিতভাবে স্কুলে যাতায়াতের জন্য এই স্টেশনটি ব্যবহার করে।[1] তার পড়াশোনা নিশ্চিত করার জন্য, কানা হারদার স্নাতক সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত স্টেশনটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ছাত্রীটির যাতায়াতের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
যদিও স্টেশনটি চালু ছিল, কানা হারদার যাতায়াত সহজ ছিল না। প্রতিদিন মাত্র চারটি ট্রেন এই স্টেশনে থামত, যার মধ্যে সকালে একটি এবং বিকেলে তিনটি। স্কুলের সময়সূচীর সাথে কেবল দুটি ট্রেনের সময় মিলত। এর ফলে, কানা কোনো স্কুল-পরবর্তী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারত না এবং প্রায়শই তাকে শেষ ট্রেন ধরার জন্য ক্লাস শেষেই দৌড়াতে হত। যদি এই ট্রেন পরিষেবা না থাকত, তাকে প্রায় ৭৩ মিনিট হেঁটে অন্য স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে হত।
গল্পের পেছনের কিছু তথ্য
যদিও কানা হারদাকে প্রায়শই এই স্টেশনের একমাত্র যাত্রী হিসেবে বর্ণনা করা হয়, কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি কিউ-শিরাতাকি স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠার পর আরও প্রায় ১০-১২ জন সহপাঠী সেই ট্রেনে থাকত।
এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করে যখন চীনের সিসিটিভি নিউজ নেটওয়ার্ক ইংরেজিতে একটি ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি তুলে ধরে। তবে, সেই পোস্টে কিছু তথ্যগত ভুল ছিল, যেমন স্টেশনটির নাম ভুলভাবে "কামি-শিরাতাকি" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল এবং দাবি করা হয়েছিল যে রেল কর্তৃপক্ষ তিন বছর আগে স্টেশনটি বন্ধ করার পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। বাস্তবে, স্টেশনটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ২০১৫ সালে নেওয়া হয়েছিল এবং কানা হারদার স্নাতক শেষ হওয়ার সাথে সময়সূচী মিলে যাওয়াটা ছিল কিছুটা কাকতালীয়, কারণ জাপানে মার্চ মাসেই শিক্ষাবর্ষ শেষ হয় এবং রেলের সময়সূচীও এই সময়েই বার্ষিক সংশোধন করা হয়।
এই গল্পটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৫শে মার্চ কানা হারদার স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার পর স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।