বিতর্কিত চলচ্চিত্র 'দ্য কেরালা স্টোরি' জাতীয় মঞ্চে সম্মানিত হওয়ার পাশাপাশি তীব্র সমালোচনারও সম্মুখীন হয়েছে। ছবিটি আদৌ এই সম্মানের যোগ্য কি না, তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই এর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও ব্যাপক। এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন ছবির অভিনেত্রী অদা শর্মাও, যিনি সমালোচনার জবাবে নিজেকে 'নির্লজ্জ' বলে দাবি করেছেন।
জাতীয় পুরস্কার এবং বিতর্ক
৭৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে 'দ্য কেরালা স্টোরি' সেরা নির্দেশনা (সুদীপ্ত সেন) এবং সেরা চিত্রগ্রহণের (প্রশান্তনু মহাপাত্র) জন্য দুটি পুরস্কার জেতে। তবে এই সম্মাননা প্রাপ্তি নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই পুরস্কারকে ভারতীয় সিনেমার ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্যের অপমান বলে অভিহিত করেছেন। বিরোধী দল এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এর ছাত্র সংগঠনও ছবিটিকে 'রাষ্ট্র-সমর্থিত প্রচার' এবং 'ঘৃণা-ভরা এজেন্ডা' হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর পুরস্কার প্রাপ্তির নিন্দা করেছে।
মিথ্যাচারের অভিযোগ
ছবিটির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো তথ্যের বিকৃতি। নির্মাতারা প্রথমে দাবি করেছিলেন যে কেরালা থেকে ৩২,০০০ মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে ISIS-এ যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই পরিসংখ্যানটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় এবং তথ্যগতভাবে ভুল প্রমাণিত হয়। একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা এবং সরকারি তথ্য এই দাবিকে সমর্থন করে না। ব্যাপক বিতর্কের পর নির্মাতারা ছবিটির বিবরণে বদল আনেন এবং এটিকে একটি "কাল্পনিক" ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করতে বাধ্য হন।
সমালোচকদের চোখে 'দ্য কেরালা স্টোরি'
চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে ছবিটি মূলত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। সমালোচকরা এর চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং ইসলামোফোবিক প্রচারণার জন্য ছবিটির নিন্দা করেছেন। এনডিটিভির সাইবল চ্যাটার্জি ছবিটিকে "একটি দীর্ঘ হোয়াটসঅ্যাপ ফরোয়ার্ড" বলে অভিহিত করেছেন। তবে সমালোচিত হলেও, ছবিটি বক্স অফিসে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিল।
অভিনেত্রীর বক্তব্য
এই সমস্ত অভিযোগ এবং কটাক্ষের জবাবে ছবির প্রধান অভিনেত্রী অদা শর্মা এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে 'নির্লজ্জ' বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, "সত্যিটা বলা যদি নির্লজ্জের মতো কাজ হয়, তাহলে আমি নির্লজ্জ হতে রাজি আছি। অদার মতে, যারা ছবিটিকে নির্লজ্জ বলছেন, তাদের আসলে সত্যিটা গায়ে লেগেছে, কারণ ছবিতে মিথ্যাচার থাকলে তাদের এতটা খারাপ লাগত না।
অদা আরও জানান যে, এই ছবিটি তৈরির আগে তিনি ২৫ জন মহিলার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, যারা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছেন।তাদের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতাকেই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। অদার কথায়, "আমাদের দায়িত্ব এই ঘটনাগুলি ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা।"
ছবির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন। অদা বলেন, ছবিতে কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতার নাম উল্লেখ করা হয়নি। ছবিটি শুধুমাত্র সেইসব মহিলাদের কথা বলে, যাদের মগজ ধোলাই করে পাচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, "আমি এই মহিলাদের পাশে আছি। তাতে যদি মনে হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, তা মনে হলে হোক।
জাতীয় পুরস্কার এবং বিতর্ক
৭৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে 'দ্য কেরালা স্টোরি' সেরা নির্দেশনা (সুদীপ্ত সেন) এবং সেরা চিত্রগ্রহণের (প্রশান্তনু মহাপাত্র) জন্য দুটি পুরস্কার জেতে। তবে এই সম্মাননা প্রাপ্তি নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই পুরস্কারকে ভারতীয় সিনেমার ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্যের অপমান বলে অভিহিত করেছেন। বিরোধী দল এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এর ছাত্র সংগঠনও ছবিটিকে 'রাষ্ট্র-সমর্থিত প্রচার' এবং 'ঘৃণা-ভরা এজেন্ডা' হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর পুরস্কার প্রাপ্তির নিন্দা করেছে।
মিথ্যাচারের অভিযোগ
ছবিটির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো তথ্যের বিকৃতি। নির্মাতারা প্রথমে দাবি করেছিলেন যে কেরালা থেকে ৩২,০০০ মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে ISIS-এ যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই পরিসংখ্যানটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় এবং তথ্যগতভাবে ভুল প্রমাণিত হয়। একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা এবং সরকারি তথ্য এই দাবিকে সমর্থন করে না। ব্যাপক বিতর্কের পর নির্মাতারা ছবিটির বিবরণে বদল আনেন এবং এটিকে একটি "কাল্পনিক" ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করতে বাধ্য হন।
সমালোচকদের চোখে 'দ্য কেরালা স্টোরি'
চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে ছবিটি মূলত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। সমালোচকরা এর চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং ইসলামোফোবিক প্রচারণার জন্য ছবিটির নিন্দা করেছেন। এনডিটিভির সাইবল চ্যাটার্জি ছবিটিকে "একটি দীর্ঘ হোয়াটসঅ্যাপ ফরোয়ার্ড" বলে অভিহিত করেছেন। তবে সমালোচিত হলেও, ছবিটি বক্স অফিসে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিল।
অভিনেত্রীর বক্তব্য
এই সমস্ত অভিযোগ এবং কটাক্ষের জবাবে ছবির প্রধান অভিনেত্রী অদা শর্মা এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে 'নির্লজ্জ' বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, "সত্যিটা বলা যদি নির্লজ্জের মতো কাজ হয়, তাহলে আমি নির্লজ্জ হতে রাজি আছি। অদার মতে, যারা ছবিটিকে নির্লজ্জ বলছেন, তাদের আসলে সত্যিটা গায়ে লেগেছে, কারণ ছবিতে মিথ্যাচার থাকলে তাদের এতটা খারাপ লাগত না।
অদা আরও জানান যে, এই ছবিটি তৈরির আগে তিনি ২৫ জন মহিলার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, যারা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছেন।তাদের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতাকেই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। অদার কথায়, "আমাদের দায়িত্ব এই ঘটনাগুলি ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা।"
ছবির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন। অদা বলেন, ছবিতে কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতার নাম উল্লেখ করা হয়নি। ছবিটি শুধুমাত্র সেইসব মহিলাদের কথা বলে, যাদের মগজ ধোলাই করে পাচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, "আমি এই মহিলাদের পাশে আছি। তাতে যদি মনে হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, তা মনে হলে হোক।