স্বাস্থ্যকর খাবার ভেবে খাচ্ছেন, অথচ আপনার অলক্ষ্যেই সেই খাবারে মিশে শরীরে প্রবেশ করছে ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক’। অর্থাৎ, অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা। খাবার থেকে পানীয় জলে, সবেতেই মিশে রয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। বোতলবন্দি মিনারেল ওয়াটারের জলও সুরক্ষিত নয়। তাতেও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম প্লাস্টিক কণা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি সর্বত্রই। খাবারের কথা না হয় বাদই দেওয়া হল, সবচেয়ে বেশি ভয় পানীয় জল নিয়ে। তাতে মিশে যদি রোজই হাজার হাজার প্লাস্টিক কণা শরীরে সেঁধিয়ে যায়, তা হলে যে সব রোগ বাসা বাঁধবে, তাদের নাম শুনলেই আতঙ্কে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়। কিন্তু বাড়িতে জল বিশুদ্ধকরণের উপায় কী? ফিল্টার ছাড়া গতি নেই। বোতলের জল যদি কিনে আনেন, তা হলে সেই জলও পরিশোধন করা প্রয়োজন। কী ভাবে সহজে জল থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক ছেঁকে বার করা যাবে, তার একটি সহজ পদ্ধতি শিখিয়েছেন চিনা বিজ্ঞানীরা।
চিনের গুয়াংঝৌ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও জিনান ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা পানীয় জল পরিশোধনের উপায় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই গবেষণা করছেন। জল থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূর করার এক পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের মতে, জল ফুটিয়ে নিলেই মাইক্রোপ্লাস্টিক অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। কারণ হিসেবে গবেষকদের ব্যাখ্যা, জল ফোটালে এতে থাকা ক্যালসিয়াম কার্বনেট (লাইমস্কেল) জমাট বাঁধে এবং স্ফটিক তৈরি করে। এই স্ফটিকগুলি মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণাগুলিকে আটকে ফেলে। যে জলে ক্যালসিয়াম বা খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেশি (অর্থাৎ 'হার্ড ওয়াটার') সেই জলে এই পদ্ধতি বেশি কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জল ফুটিয়ে ছেঁকে নিলে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক দূর করা সম্ভব। জল ফুটিয়ে তা পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এই ফোটানো জল কিন্তু আর প্লাস্টিক বা কাচের বোতলে ভরা যাবে না। সরাসরি খেয়ে নিতে হবে, না হলে আবারও বোতল থেকে গুঁড়ো প্লাস্টিক মিশে যাবে তাতে।
গবেষকদের মতে, পানীয় জলে যে সব মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পলিপ্রপিলেন, নাইলন ও পলিইথাইলিনের মতো রাসায়নিক। দোকান থেকে যে জল বা নরম পানীয়ের বোতল কেনা হয়, তার মধ্যেও মিশে থাকে প্লাস্টিকের কণা। এক একটি বোতলে দশ হাজারেরও বেশি প্লাস্টিক কণার হদিশ মিলেছে। প্রতি লিটারে হিসেব করলে যার গড় পরিমাণ হয় ১০.৪ শতাংশ। যে প্লাস্টিক পদার্থ দিয়ে বোতল বা তার তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকেই জলে মিশছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। এই ধরনের বিষাক্ত জল দীর্ঘ দিন ধরে খেলে ক্যানসার, অটিজ়ম, শুক্রাণু কমে যাওয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। হতে পারে কিডনির রোগও। তবে জল ফোটানো ছাড়াও রিভার্স অসমোসিস প্রক্রিয়াও প্লাস্টিক দূর করার জন্য উপযোগী। রিভার্স অসোমিসের সুবিধা আছে, এমন ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহার করা যেতে পারে।
চিনের গুয়াংঝৌ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও জিনান ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা পানীয় জল পরিশোধনের উপায় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই গবেষণা করছেন। জল থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূর করার এক পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের মতে, জল ফুটিয়ে নিলেই মাইক্রোপ্লাস্টিক অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। কারণ হিসেবে গবেষকদের ব্যাখ্যা, জল ফোটালে এতে থাকা ক্যালসিয়াম কার্বনেট (লাইমস্কেল) জমাট বাঁধে এবং স্ফটিক তৈরি করে। এই স্ফটিকগুলি মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণাগুলিকে আটকে ফেলে। যে জলে ক্যালসিয়াম বা খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেশি (অর্থাৎ 'হার্ড ওয়াটার') সেই জলে এই পদ্ধতি বেশি কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জল ফুটিয়ে ছেঁকে নিলে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক দূর করা সম্ভব। জল ফুটিয়ে তা পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এই ফোটানো জল কিন্তু আর প্লাস্টিক বা কাচের বোতলে ভরা যাবে না। সরাসরি খেয়ে নিতে হবে, না হলে আবারও বোতল থেকে গুঁড়ো প্লাস্টিক মিশে যাবে তাতে।
গবেষকদের মতে, পানীয় জলে যে সব মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পলিপ্রপিলেন, নাইলন ও পলিইথাইলিনের মতো রাসায়নিক। দোকান থেকে যে জল বা নরম পানীয়ের বোতল কেনা হয়, তার মধ্যেও মিশে থাকে প্লাস্টিকের কণা। এক একটি বোতলে দশ হাজারেরও বেশি প্লাস্টিক কণার হদিশ মিলেছে। প্রতি লিটারে হিসেব করলে যার গড় পরিমাণ হয় ১০.৪ শতাংশ। যে প্লাস্টিক পদার্থ দিয়ে বোতল বা তার তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকেই জলে মিশছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। এই ধরনের বিষাক্ত জল দীর্ঘ দিন ধরে খেলে ক্যানসার, অটিজ়ম, শুক্রাণু কমে যাওয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। হতে পারে কিডনির রোগও। তবে জল ফোটানো ছাড়াও রিভার্স অসমোসিস প্রক্রিয়াও প্লাস্টিক দূর করার জন্য উপযোগী। রিভার্স অসোমিসের সুবিধা আছে, এমন ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহার করা যেতে পারে।