দুইবছর যেতে না যেতেই কোটি কোটি ব্যায়ে নির্মিত রাজশাহীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নওদাপাড়া থেকে ভদ্রামোড় পর্যন্ত মহাসড়ক খানাখন্ডে ভরে গেছে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে যানবাহন ও পথচারীদের। এছাড়াও পর্যাপ্ত সংস্কারে অভাবে প্রায় ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দূর্ঘটনা।
রাসিক শিরোইল কলোনী ১৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুমন বলেন, রাস্তার মাঝে এমন খানাখন্ডের কারণে যাহবাহন চলাচলে প্রচুর সমস্য হয়। এছাড়া প্রায় প্রতিদিন একটি না একটি মোটর-বাইক দূর্ঘটনার কথাও শুনতে পাই। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় এই রাস্তায় বেশী দূর্ঘটনা ঘটে। এই যে খানাখন্ডগুলোতে পানি ভরে থাকার কারণে ড্রাইভাররা বুঝতে পারে না, এই গর্তের গভীরতা কত? গাড়ির চাকা নামানো মাত্রই দূর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের।
মোটরসাইকেল চালক হাসান জানায়, আমার বাড়ি এই সড়কের পাশেই। আমি প্রতিনিয়িত এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। খুব কষ্ট হয়। এছাড়া প্রায় এই রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটে। গত শনিবার (১৬ আগস্ট) এই রাস্তার খানাখন্ডের জন্য একটি মোটর-সাইকেল দূর্ঘটনার শিকার হয়ে চালকের পা ভেঙ্গে গেছে ও আরহীর হাত-পা ছিলে গেছে। বর্তমানে তারা রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩১ নং ওয়ার্ডে। এছাড়া এই রাস্তার এমন বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় ২মাস আগে সাব্বিরের বাগানের সামনে সড়ক দূর্ঘটনায় পড়ে ৩৫ বছরের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সরকার যেন অতি দ্রæত এই খানাখন্ডে ভরা রাস্তা মেরামত করে আমরাদের রক্ষা করেন।
রায়েম ট্রাভেলস এর এক বাস চালক জানায়, আমাদের সময়ের গাড়ি কিন্তু রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে আমরা সময়ে গাড়ি নিয়ে যেতে পারি না। এছাড়া রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে আমাদের গাড়ির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, কখনো পাতি ভেঙ্গে যায়, আবার কখনো চাকা পামচার হয়ে যায়।
হানিফ ট্রাভেলস এর এক বাস চালক জানায়, এই খানাখন্ড রাস্তা শুধু রাজশাহীতে নই বরং বগুড়া, কুষ্টিয়া, নাটোরেও একই অবস্থা। আমাদের সময়ের গাড়ি সময়ের মধ্যেই স্ট্যান্ডে পোঁছাতে হয়। বিধায় অনেক সময় গাড়ি জোরে চালানোর সময় এই সকল ক্ষত-বিক্ষত রাস্তায় পড়ে আমাদের গাড়ি ও যাত্রিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমাদের সরকারে কাছে একটাই দাবি যাতে এই সকল রাস্তাগুলো দ্রæত মেরামত করা হয়।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আব্দুলাহ আল মঈন বলেন, রাজশাহী শহরের এই সকল ভাঙ্গা ও ক্ষতবিক্ষত রাস্তার বিষয়ে অবগত আছি। আমরাও ওই রাস্তাগুলো দিয়ে চলাফেরা করি। এই রাস্তাগুলোতে ভারি যানবহন ও অতিবৃষ্টির কারণে খুব দ্রæত নষ্ট হচ্ছে, সেগুলো মেরামতের উদ্দ্যোগ নিয়েছি। আমরা একটি দরপত্রের আহŸবান ও করেছি। আগামী ২৮ আগস্ট এই দরপত্র ওপেনিং আছে। রাজশাহী শহরের প্রধান প্রধান সড়কের খানাখন্ডগুলো মেরামত করতে শিঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এর ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী বলেন, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ভদ্রামোড় পর্যন্ত রাস্তাটি আমরা শেষ ২০০৭ সালে নির্মাণ করার পর সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করি। আমাদের কাজ রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করে দেওয়া, তবে মেরামত করা নই। এই মেরামতের কাজ সিটি কর্পোরেশন করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আরডিএ কতৃক এই রাস্তাটি ২০০৭ সালে দুইলেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হয়। এরপর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন গত বছর পুনরায় চারলেন বিশিষ্ট ও রাস্তার দুইপাশে দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করে।
তিনি আরও বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে আমরাও চলাফেরা করি নিয়মিত। কিন্তু এক বছর না যেতেই এমন বেহাল অবস্থা হওয়ার কথা ছিল না। রাস্তার নির্মানে ব্যায় হয়েছিল কত টাকা? এমন প্রশ্নের উত্তর আরডিএ এবং রাসিক উভয় কর্তৃপক্ষই বলতে রাজি হননি।
রাসিক শিরোইল কলোনী ১৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুমন বলেন, রাস্তার মাঝে এমন খানাখন্ডের কারণে যাহবাহন চলাচলে প্রচুর সমস্য হয়। এছাড়া প্রায় প্রতিদিন একটি না একটি মোটর-বাইক দূর্ঘটনার কথাও শুনতে পাই। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় এই রাস্তায় বেশী দূর্ঘটনা ঘটে। এই যে খানাখন্ডগুলোতে পানি ভরে থাকার কারণে ড্রাইভাররা বুঝতে পারে না, এই গর্তের গভীরতা কত? গাড়ির চাকা নামানো মাত্রই দূর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের।
মোটরসাইকেল চালক হাসান জানায়, আমার বাড়ি এই সড়কের পাশেই। আমি প্রতিনিয়িত এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। খুব কষ্ট হয়। এছাড়া প্রায় এই রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটে। গত শনিবার (১৬ আগস্ট) এই রাস্তার খানাখন্ডের জন্য একটি মোটর-সাইকেল দূর্ঘটনার শিকার হয়ে চালকের পা ভেঙ্গে গেছে ও আরহীর হাত-পা ছিলে গেছে। বর্তমানে তারা রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩১ নং ওয়ার্ডে। এছাড়া এই রাস্তার এমন বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় ২মাস আগে সাব্বিরের বাগানের সামনে সড়ক দূর্ঘটনায় পড়ে ৩৫ বছরের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সরকার যেন অতি দ্রæত এই খানাখন্ডে ভরা রাস্তা মেরামত করে আমরাদের রক্ষা করেন।
রায়েম ট্রাভেলস এর এক বাস চালক জানায়, আমাদের সময়ের গাড়ি কিন্তু রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে আমরা সময়ে গাড়ি নিয়ে যেতে পারি না। এছাড়া রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে আমাদের গাড়ির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, কখনো পাতি ভেঙ্গে যায়, আবার কখনো চাকা পামচার হয়ে যায়।
হানিফ ট্রাভেলস এর এক বাস চালক জানায়, এই খানাখন্ড রাস্তা শুধু রাজশাহীতে নই বরং বগুড়া, কুষ্টিয়া, নাটোরেও একই অবস্থা। আমাদের সময়ের গাড়ি সময়ের মধ্যেই স্ট্যান্ডে পোঁছাতে হয়। বিধায় অনেক সময় গাড়ি জোরে চালানোর সময় এই সকল ক্ষত-বিক্ষত রাস্তায় পড়ে আমাদের গাড়ি ও যাত্রিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমাদের সরকারে কাছে একটাই দাবি যাতে এই সকল রাস্তাগুলো দ্রæত মেরামত করা হয়।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আব্দুলাহ আল মঈন বলেন, রাজশাহী শহরের এই সকল ভাঙ্গা ও ক্ষতবিক্ষত রাস্তার বিষয়ে অবগত আছি। আমরাও ওই রাস্তাগুলো দিয়ে চলাফেরা করি। এই রাস্তাগুলোতে ভারি যানবহন ও অতিবৃষ্টির কারণে খুব দ্রæত নষ্ট হচ্ছে, সেগুলো মেরামতের উদ্দ্যোগ নিয়েছি। আমরা একটি দরপত্রের আহŸবান ও করেছি। আগামী ২৮ আগস্ট এই দরপত্র ওপেনিং আছে। রাজশাহী শহরের প্রধান প্রধান সড়কের খানাখন্ডগুলো মেরামত করতে শিঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এর ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী বলেন, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ভদ্রামোড় পর্যন্ত রাস্তাটি আমরা শেষ ২০০৭ সালে নির্মাণ করার পর সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করি। আমাদের কাজ রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করে দেওয়া, তবে মেরামত করা নই। এই মেরামতের কাজ সিটি কর্পোরেশন করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আরডিএ কতৃক এই রাস্তাটি ২০০৭ সালে দুইলেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হয়। এরপর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন গত বছর পুনরায় চারলেন বিশিষ্ট ও রাস্তার দুইপাশে দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করে।
তিনি আরও বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে আমরাও চলাফেরা করি নিয়মিত। কিন্তু এক বছর না যেতেই এমন বেহাল অবস্থা হওয়ার কথা ছিল না। রাস্তার নির্মানে ব্যায় হয়েছিল কত টাকা? এমন প্রশ্নের উত্তর আরডিএ এবং রাসিক উভয় কর্তৃপক্ষই বলতে রাজি হননি।