তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস এবং তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণ না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন।
সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই দাবি জানানো হয়।
সংগঠনগুলোর নেতারা বলেছেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানির মতামত নেওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এর আর্টিকেল ৫.৩-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন এবং তামাকজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ অকালে মারা যান। তিনি আরও বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস হলে সরকারের রাজস্ব বিপুল পরিমাণে কমে যাবে বলে যে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, তা সঠিক নয়। বাস্তবে, ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এবং ২০১৩ সালে তা সংশোধনের পর গত ১৮ বছরে এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় সাড়ে ১২ গুণ বেড়েছে, এবং একই সাথে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বর্তমানে ৯ জন উপদেষ্টা ও ৩ জন সচিবের সমন্বয়ে গঠিত একটি উপদেষ্টা পরিষদ আইনের খসড়াটি পর্যালোচনা করছে। এমন পরিস্থিতিতে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্তকে হতাশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেছেন পেশাজীবী নেতারা। তারা বলেছেন, এফসিটিসি'র আর্টিকেল ৫.৩ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার একটি রক্ষাকবচ, যা তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। বক্তারা আরও বলেন, যারা দেশের শিশুদের মৃত্যুর জন্য দায়ী, তাদের সঙ্গে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না।
বক্তারা অভিযোগ করেন যে, বাংলাদেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা মিথ্যা তথ্য প্রচার, লবিং এবং প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে আইনকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোমেনা মনি এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মো. আখতার-উজ-জামান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চিকিৎসক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শহিদুল আলম গেস্ট অব অনার হিসেবে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থা, বাংলাদেশ গ্রোসারি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
                           সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই দাবি জানানো হয়।
সংগঠনগুলোর নেতারা বলেছেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানির মতামত নেওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এর আর্টিকেল ৫.৩-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন এবং তামাকজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ অকালে মারা যান। তিনি আরও বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস হলে সরকারের রাজস্ব বিপুল পরিমাণে কমে যাবে বলে যে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, তা সঠিক নয়। বাস্তবে, ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এবং ২০১৩ সালে তা সংশোধনের পর গত ১৮ বছরে এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় সাড়ে ১২ গুণ বেড়েছে, এবং একই সাথে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বর্তমানে ৯ জন উপদেষ্টা ও ৩ জন সচিবের সমন্বয়ে গঠিত একটি উপদেষ্টা পরিষদ আইনের খসড়াটি পর্যালোচনা করছে। এমন পরিস্থিতিতে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্তকে হতাশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেছেন পেশাজীবী নেতারা। তারা বলেছেন, এফসিটিসি'র আর্টিকেল ৫.৩ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার একটি রক্ষাকবচ, যা তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। বক্তারা আরও বলেন, যারা দেশের শিশুদের মৃত্যুর জন্য দায়ী, তাদের সঙ্গে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না।
বক্তারা অভিযোগ করেন যে, বাংলাদেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা মিথ্যা তথ্য প্রচার, লবিং এবং প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে আইনকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোমেনা মনি এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মো. আখতার-উজ-জামান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চিকিৎসক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শহিদুল আলম গেস্ট অব অনার হিসেবে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থা, বাংলাদেশ গ্রোসারি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 
  প্রতিনিধি :
 প্রতিনিধি :  
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                     
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                