সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনে হানিমুনে গিয়ে জামাইয়ের সঙ্গে শাশুড়ির বিয়ে সংক্রান্ত যে মুখরোচক গল্পটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তার সত্যতা যাচাই করে দেখা গেছে, এটি একটি পুরোনো এবং ভিন্ন ঘটনার বিকৃত উপস্থাপন।
মূল ঘটনা:
আলোচ্য ঘটনাটি ২০০৪ সালের এবং পাত্র-পাত্রীর নাম পল হোয়াইট, তার স্ত্রী লরেন ওয়াল এবং লরেনের মা জুলি। লরেনের মা জুলি তাদের বিয়ের খরচ বহন করেছিলেন এবং এর প্রতিদান স্বরূপ নবদম্পতি তাকেও হানিমুনে সঙ্গে নিয়ে যান।
হানিমুনের কিছুদিন পরেই, লরেন তার স্বামী পলের সঙ্গে মা জুলির প্রেমের সম্পর্ক আবিষ্কার করেন। এর আট সপ্তাহের মাথায় পল লরেনকে ছেড়ে চলে যান এবং নয় মাস পরে জুলির গর্ভে পলের সন্তানের জন্ম হয়। এই ঘটনার পাঁচ বছর পর পল এবং জুলি বিয়ে করেন এবং লরেন তার মেয়ের জন্য সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।
ছড়িয়ে পড়া গল্পের সঙ্গে পার্থক্য:
ভাইরাল হওয়া গল্পে দাবি করা হয়, ঘটনাটি সাম্প্রতিক এবং মদ্যপ অবস্থায় ভুল করে শাশুড়ির ঘরে ঢুকে পড়ার কারণে জামাই ও শাশুড়ির মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরবর্তীতে লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে জামাই শাশুড়িকে বিয়ে করেন।
কিন্তু, যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম "দ্য মিরর" এবং "ডেইলি স্টার" এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি কোনো দুর্ঘটনা ছিল না বরং একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল যা হানিমুনের পর থেকেই গড়ে ওঠে। তাদের বিয়েও লোকলজ্জার ভয়ে নয়, বরং তাদের সম্পর্কের পরিণতি হিসেবেই হয়েছিল।
সুতরাং, নতুন বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে গিয়ে ভুলবশত শাশুড়ির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এবং পরবর্তীতে লজ্জায় তাকে বিয়ে করার যে গল্পটি প্রচার হচ্ছে, তা প্রকৃত ঘটনার একটি অতিরঞ্জিত এবং বিকৃত সংস্করণ। মূল ঘটনাটি একটি পারিবারিক বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রেমের সম্পর্কের জটিলতা, যা বহু বছর আগের।
মূল ঘটনা:
আলোচ্য ঘটনাটি ২০০৪ সালের এবং পাত্র-পাত্রীর নাম পল হোয়াইট, তার স্ত্রী লরেন ওয়াল এবং লরেনের মা জুলি। লরেনের মা জুলি তাদের বিয়ের খরচ বহন করেছিলেন এবং এর প্রতিদান স্বরূপ নবদম্পতি তাকেও হানিমুনে সঙ্গে নিয়ে যান।
হানিমুনের কিছুদিন পরেই, লরেন তার স্বামী পলের সঙ্গে মা জুলির প্রেমের সম্পর্ক আবিষ্কার করেন। এর আট সপ্তাহের মাথায় পল লরেনকে ছেড়ে চলে যান এবং নয় মাস পরে জুলির গর্ভে পলের সন্তানের জন্ম হয়। এই ঘটনার পাঁচ বছর পর পল এবং জুলি বিয়ে করেন এবং লরেন তার মেয়ের জন্য সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।
ছড়িয়ে পড়া গল্পের সঙ্গে পার্থক্য:
ভাইরাল হওয়া গল্পে দাবি করা হয়, ঘটনাটি সাম্প্রতিক এবং মদ্যপ অবস্থায় ভুল করে শাশুড়ির ঘরে ঢুকে পড়ার কারণে জামাই ও শাশুড়ির মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরবর্তীতে লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে জামাই শাশুড়িকে বিয়ে করেন।
কিন্তু, যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম "দ্য মিরর" এবং "ডেইলি স্টার" এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি কোনো দুর্ঘটনা ছিল না বরং একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল যা হানিমুনের পর থেকেই গড়ে ওঠে। তাদের বিয়েও লোকলজ্জার ভয়ে নয়, বরং তাদের সম্পর্কের পরিণতি হিসেবেই হয়েছিল।
সুতরাং, নতুন বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে গিয়ে ভুলবশত শাশুড়ির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এবং পরবর্তীতে লজ্জায় তাকে বিয়ে করার যে গল্পটি প্রচার হচ্ছে, তা প্রকৃত ঘটনার একটি অতিরঞ্জিত এবং বিকৃত সংস্করণ। মূল ঘটনাটি একটি পারিবারিক বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রেমের সম্পর্কের জটিলতা, যা বহু বছর আগের।