মধ্যমগ্রাম হাই স্কুলের সামনে বোমা বিস্ফোরণে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করার পরেই ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। তদন্তে নেমে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, নিছক দুর্ঘটনা নয়, এর পেছনে রয়েছে প্রেম, প্রতিহিংসা এবং খুনের চেষ্টার এক জটিল জাল। মঙ্গলবার এই ঘটনায় এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ঘটনার সূত্রপাত ও প্রাথমিক তদন্ত
রবিবার গভীর রাতে মধ্যমগ্রাম হাই স্কুলের সামনে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ২৫ বছর বয়সী সচ্চিদানন্দ মিশ্র নামে এক যুবক। আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, যুবকের হাতে থাকা একটি ব্যাগ থেকেই বিস্ফোরণটি ঘটে।
খবর পেয়ে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ এবং বারাসত পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সোমবার সকালে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রেমের সম্পর্কের জেরেই কি এই ঘটনা?
তদন্তে নেমে এসটিএফ জানতে পারে, আটক মহিলার সঙ্গে মৃত সচ্চিদানন্দের ইনস্টাগ্রামে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যদিও মহিলা জেরায় দাবি করেছেন, গত ছয় মাস ধরে তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল না। পুলিশের অনুমান, প্রেমিকার স্বামীকে নিশানা করতেই সচ্চিদানন্দ বোমা নিয়ে এসেছিল। তবে মূল লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই কোনোভাবে বোমা ফেটে তার মৃত্যু হয়।
বোমা তৈরি এবং পরিকল্পনা
পুলিশের একটি সূত্র অনুযায়ী, সচ্চিদানন্দ ইউটিউব দেখে নিজেই এই বিস্ফোরক তৈরি করেছিল। আইটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই যুবক হরিয়ানার একটি কাঁচ কারখানায় কাজ করত। পুলিশের ধারনা, সে হরিয়ানা থেকেই বিস্ফোরকের সরঞ্জাম জোগাড় করে রাজ্যে আনে এবং এখানে বাকিটা অ্যাসেম্বেল করে। তার মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, এর আগেও সচ্চিদানন্দ তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে মধ্যমগ্রামে এসেছিল। মৃত যুবকের বাবা ছেলের দেহ ময়নাতদন্তের পর নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যে এসেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এর পিছনে আরও গভীর কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।
ঘটনার সূত্রপাত ও প্রাথমিক তদন্ত
রবিবার গভীর রাতে মধ্যমগ্রাম হাই স্কুলের সামনে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ২৫ বছর বয়সী সচ্চিদানন্দ মিশ্র নামে এক যুবক। আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, যুবকের হাতে থাকা একটি ব্যাগ থেকেই বিস্ফোরণটি ঘটে।
খবর পেয়ে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ এবং বারাসত পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সোমবার সকালে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রেমের সম্পর্কের জেরেই কি এই ঘটনা?
তদন্তে নেমে এসটিএফ জানতে পারে, আটক মহিলার সঙ্গে মৃত সচ্চিদানন্দের ইনস্টাগ্রামে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যদিও মহিলা জেরায় দাবি করেছেন, গত ছয় মাস ধরে তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল না। পুলিশের অনুমান, প্রেমিকার স্বামীকে নিশানা করতেই সচ্চিদানন্দ বোমা নিয়ে এসেছিল। তবে মূল লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই কোনোভাবে বোমা ফেটে তার মৃত্যু হয়।
বোমা তৈরি এবং পরিকল্পনা
পুলিশের একটি সূত্র অনুযায়ী, সচ্চিদানন্দ ইউটিউব দেখে নিজেই এই বিস্ফোরক তৈরি করেছিল। আইটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই যুবক হরিয়ানার একটি কাঁচ কারখানায় কাজ করত। পুলিশের ধারনা, সে হরিয়ানা থেকেই বিস্ফোরকের সরঞ্জাম জোগাড় করে রাজ্যে আনে এবং এখানে বাকিটা অ্যাসেম্বেল করে। তার মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, এর আগেও সচ্চিদানন্দ তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে মধ্যমগ্রামে এসেছিল। মৃত যুবকের বাবা ছেলের দেহ ময়নাতদন্তের পর নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যে এসেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এর পিছনে আরও গভীর কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।