দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকার চরম সংকটে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন বহু রোগী টিকার আশায় হাসপাতালে আসলেও ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে গুনছেন চড়া দাম, কেউ আবার দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। কবে মিলবে জীবনরক্ষাকারী সেই কাক্সিক্ষত ইনজেকশন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২ জন রোগী জলাতঙ্কের টিকা নিতে আসেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই সরকারি টিকা নেই। ফলে চিকিৎসকেরা শুধু ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বিদায় জানাতে বাধ্য হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। কারও মুখে বিড়াল কামড়ের ভয়, কারও চোখে কুকুরের কামড়ের আতঙ্ক। কিন্তু টিকা নেই। এটাই সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।
ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মেহেজাবিন আক্তার বলেন, “গত সপ্তাহে বিড়াল কামড়ায়। হাসপাতালে এসে জানতে পারি টিকা নেই। পরে বাইরে থেকে ৬০০ টাকায় প্রথম ডোজ, ৭০০ টাকায় দ্বিতীয় ডোজ কিনে দিতে হয়েছে। প্রতিদিনের খরচ সামলে এমন ব্যয় মেটানো আমাদের পরিবারের জন্য ভীষণ কষ্টকর।”
দিনমজুর রুবেল ইসলাম কাঁপা গলায় বলেন, “কুকুর কামড়ে ডান পায়ে গভীর ক্ষত হয়েছে। ডাক্তার টিকার ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন, কিন্তু ওষুধের দোকানে দাম ৬৫০ টাকা। এই টাকা জোগাড় করতে পারছি না। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।”
চিকিৎসকেরা বলছেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধে নির্ধারিত সময়মতো সব ডোজ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। একটিও বাদ পড়লে পুরো কোর্সটাই কার্যকারিতা হারাতে পারে, এমনকি জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জানায়, ২০২৪ সালের এপ্রিল ও ডিসেম্বর মাসে যথাক্রমে ১০০ এবং ৩৪০ ডোজ টিকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। সেই টিকা দিয়ে একত্রে প্রায় ১ হাজার ৬৬০ জন রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত একটিও টিকা আসেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছা. সেলিনা আক্তার বলেন, “প্রতিদিন রোগীরা টিকার জন্য আসছেন। আমরা শুধু ব্যবস্থাপত্র দিতে পারছি। এই পরিস্থিতি খুবই কষ্টদায়ক, কারণ রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের জন্যও মানসিক চাপের।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, “প্রতিমাসে অন্তত ৪০০ ডোজ টিকার চাহিদা রয়েছে। অথচ সরবরাহ আসে হাতে গোনা কিছু, কখনো আসে না। চলতি বছর এখনো এক ডোজ টিকাও আমরা পাইনি।”
এই সংকট দ্রুত না কাটলে স্থানীয় জনগণের মাঝে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সরকারি টিকা সরবরাহের ধারাবাহিকতা নিশ্চিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২ জন রোগী জলাতঙ্কের টিকা নিতে আসেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই সরকারি টিকা নেই। ফলে চিকিৎসকেরা শুধু ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বিদায় জানাতে বাধ্য হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। কারও মুখে বিড়াল কামড়ের ভয়, কারও চোখে কুকুরের কামড়ের আতঙ্ক। কিন্তু টিকা নেই। এটাই সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।
ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মেহেজাবিন আক্তার বলেন, “গত সপ্তাহে বিড়াল কামড়ায়। হাসপাতালে এসে জানতে পারি টিকা নেই। পরে বাইরে থেকে ৬০০ টাকায় প্রথম ডোজ, ৭০০ টাকায় দ্বিতীয় ডোজ কিনে দিতে হয়েছে। প্রতিদিনের খরচ সামলে এমন ব্যয় মেটানো আমাদের পরিবারের জন্য ভীষণ কষ্টকর।”
দিনমজুর রুবেল ইসলাম কাঁপা গলায় বলেন, “কুকুর কামড়ে ডান পায়ে গভীর ক্ষত হয়েছে। ডাক্তার টিকার ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন, কিন্তু ওষুধের দোকানে দাম ৬৫০ টাকা। এই টাকা জোগাড় করতে পারছি না। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।”
চিকিৎসকেরা বলছেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধে নির্ধারিত সময়মতো সব ডোজ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। একটিও বাদ পড়লে পুরো কোর্সটাই কার্যকারিতা হারাতে পারে, এমনকি জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জানায়, ২০২৪ সালের এপ্রিল ও ডিসেম্বর মাসে যথাক্রমে ১০০ এবং ৩৪০ ডোজ টিকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। সেই টিকা দিয়ে একত্রে প্রায় ১ হাজার ৬৬০ জন রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত একটিও টিকা আসেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছা. সেলিনা আক্তার বলেন, “প্রতিদিন রোগীরা টিকার জন্য আসছেন। আমরা শুধু ব্যবস্থাপত্র দিতে পারছি। এই পরিস্থিতি খুবই কষ্টদায়ক, কারণ রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের জন্যও মানসিক চাপের।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, “প্রতিমাসে অন্তত ৪০০ ডোজ টিকার চাহিদা রয়েছে। অথচ সরবরাহ আসে হাতে গোনা কিছু, কখনো আসে না। চলতি বছর এখনো এক ডোজ টিকাও আমরা পাইনি।”
এই সংকট দ্রুত না কাটলে স্থানীয় জনগণের মাঝে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সরকারি টিকা সরবরাহের ধারাবাহিকতা নিশ্চিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।