রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বহালের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আন্দোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরাও। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বাড়ছে সেশনজটের শঙ্কা।
শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দাবি, সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এ সুবিধা আছে। আর শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী দেশে কোটার স্থান নেই।
পোষ্য কোটা বা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহালসহ আট দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) টানা পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা থাকলেও ব্যতিক্রম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এই সংকট নিরসনেই এই কর্মসূচি বলছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
আন্দোলনরত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বিদ্যমান। সেক্ষেত্রে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো কেন? দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা আন্দোলনটা স্থগিত রেখেছিলাম। এখন দেখলাম যে আমাদের সন্তানদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় যেখানে ভর্তি করার সুযোগ রাখা ছিল যারা পাশ করেছে, সেখান থেকে যখন আমরা নিরাশ হই তখন আবারও আন্দোলন শুরু করি।’
শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিকে অযৌক্তিক বলছেন শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘পোষ্য কোটার একটি অযৌক্তিক দাবি নিয়ে যে শিক্ষক ও কর্মচারীরা আবারও দাঁড়াচ্ছেন, এটা আসলে আমাদের জন্য খুবই অ্যালার্মিং একটি বিষয়। রাকসু নিয়ে যে একটা আমেজ ছিল, এটাকে ধুলিস্যাত করার জন্য আমরা দেখছি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌথ ষড়যন্ত্র।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মুখোমুখি অবস্থানে স্থবির ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে দুই পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসনের দিক থেকে আমরা বলব যে এটি আমাদের জন্য কিছুটা বিব্রতকর। কারণ শিক্ষার্থীরা পড়বে, শিক্ষকরা পড়াবেন এবং অন্যরা সহযোগিতা করবেন। দুই পক্ষের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক থাকা দরকার। এই জায়গাটা যদি না থাকে, বিশেষ করে আজকে দেখুন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ আছে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটা সবচেয়ে ক্ষতিকর।’
উল্লেখ্য গত ২ জানুয়ারি, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোষ্য কোটা বাতিল করে প্রশাসন।
শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দাবি, সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এ সুবিধা আছে। আর শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী দেশে কোটার স্থান নেই।
পোষ্য কোটা বা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহালসহ আট দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) টানা পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা থাকলেও ব্যতিক্রম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এই সংকট নিরসনেই এই কর্মসূচি বলছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
আন্দোলনরত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বিদ্যমান। সেক্ষেত্রে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো কেন? দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা আন্দোলনটা স্থগিত রেখেছিলাম। এখন দেখলাম যে আমাদের সন্তানদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় যেখানে ভর্তি করার সুযোগ রাখা ছিল যারা পাশ করেছে, সেখান থেকে যখন আমরা নিরাশ হই তখন আবারও আন্দোলন শুরু করি।’
শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিকে অযৌক্তিক বলছেন শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘পোষ্য কোটার একটি অযৌক্তিক দাবি নিয়ে যে শিক্ষক ও কর্মচারীরা আবারও দাঁড়াচ্ছেন, এটা আসলে আমাদের জন্য খুবই অ্যালার্মিং একটি বিষয়। রাকসু নিয়ে যে একটা আমেজ ছিল, এটাকে ধুলিস্যাত করার জন্য আমরা দেখছি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌথ ষড়যন্ত্র।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মুখোমুখি অবস্থানে স্থবির ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে দুই পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসনের দিক থেকে আমরা বলব যে এটি আমাদের জন্য কিছুটা বিব্রতকর। কারণ শিক্ষার্থীরা পড়বে, শিক্ষকরা পড়াবেন এবং অন্যরা সহযোগিতা করবেন। দুই পক্ষের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক থাকা দরকার। এই জায়গাটা যদি না থাকে, বিশেষ করে আজকে দেখুন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ আছে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটা সবচেয়ে ক্ষতিকর।’
উল্লেখ্য গত ২ জানুয়ারি, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোষ্য কোটা বাতিল করে প্রশাসন।